Loading..

খবর-দার

১৩ জুলাই, ২০২০ ১২:৫০ অপরাহ্ণ

স্লিপের টাকা বরাদ্দে শিক্ষকদের থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপের বরাদ্দের নামে প্রধান শিক্ষকদের নিকট থেকে ঘুষ আদায়সহ নিয়মবর্হিভূতভাবে ভ্যাটের টাকা জমা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজসে স্লিপের ভ্যাট ও আয়করসহ ১১ শতাংশ ঘুষের দুই থেকে তিন হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে। আর এ টাকাগুলো শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নাজিম উদ্দিন মণ্ডলের কাছে জমা দিচ্ছেন।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১৩৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৬টি বিদ্যালয়ে ৭০ হাজার টাকা করে, একটি বিদ্যালয়ে ৮৫ হাজার টাকা এবং ১১৬টি বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর বিপরীতে প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে ৯ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ আইটির টাকা জমা নেয়া হচ্ছে। স্লিপের টাকা বিদ্যালয়ের মা ও অভিভাবক সমাবেশ, স্টেশনারি সামগ্রী ক্রয়, ভাল ফলাফলে শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করাসহ অন্যান্য কাজে ব্যয় করা হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং সালে মো. ফজলুর রহমান এই উপজেলায় শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি বিভিন্ন অনিয়ম করছেন। জানা যায়, শিক্ষকরা অফিসের সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নাজিম উদ্দিন মণ্ডলের কাছে টাকা জমা দেন। টাকা নেয়ার পর একটি কাগজে বিদ্যালয়ের নাম লিখে রাখেন। ভ্যাটের টাকার সাথে ঘুষ হিসেবে আরও দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে নেয়া হয়। কোন শিক্ষক টাকা দিতে না চাইলে বিভিন্নভাবে তাকে হয়রানির শিকার হতে হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশকিছু শিক্ষকরা বলেন, স্লিপের বরাদ্দের জন্য আগে তারা চালান ফরমের মাধ্যমে স্কুলের নামে সরাসরি ব্যাংকে টাকা জমা দিতেন। কিন্তু এই শিক্ষা অফিসার এখানে যোগদানের পর তিনি সরাসরি শিক্ষা অফিসে টাকা জমা নিয়েছেন। তবে কোন রশিদ দেয়া হচ্ছে না। অপারেটর নাজিম উদ্দিন মণ্ডল বলেন, বিদ্যালয়ের বরাদ্দের ভিত্তিতে আয়কর ও ভ্যাটসহ ১১ শতাংশ হিসেবে টাকা জমা নেয়া হয়েছে। এর বাহিরে কোন অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়নি। শিক্ষা অফিসারের নির্দেশেই তিনি এই টাকা জমা নেন।

বদলগাছী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান বলেন, ভ্যাট ও আয়কর এর বাহিরে অতিরিক্ত কোন টাকা নেয়া হয়নি। নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক মো. ইউসুফ রেজা বলেন, শিক্ষা অফিসে ভ্যাটের টাকা সরাসরি জমা দেয়ার কোন বিধান নাই। প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভ্যাটের টাকা ট্রেজারি চালানে মাধ্যমে ব্যাংকে জমা দিয়ে শুধু ওই ট্রেজারি চালানের কপি শিক্ষা অফিসে জমা দিবে। যদি ভ্যাট আয়কর ছাড়া বাড়তি টাকা নেয়ার কোন অভিযোগ আসে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।