Loading..

প্রকাশনা

০২ অক্টোবর, ২০২০ ০৬:৩৫ অপরাহ্ণ

“শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যাচাইঃ প্রেক্ষিত ম্যানেজিং কমিটির নিয়োগ”

শিক্ষক নিবন্ধন সনদ যাচাইঃ প্রেক্ষিত ম্যানেজিং কমিটির নিয়োগ

 

কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের নিবন্ধন সনদের তথ্য চেয়েছে এনটিআরসিএবিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের নিবন্ধন সনদের বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ২০০৫-২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে নিয়োগ পাওয়া এসব নিবন্ধিত শিক্ষকদের সনদের বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের। নিবন্ধন পরীক্ষায় পাসের সাল, রোল নম্বর, বিষয় ইত্যাদি উল্লেখ করে শিক্ষকদের সুস্পষ্ট তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে হয়েছে। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তা এনটিআরসিএতে পাঠাতে হবে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের। ধারণা করা যায়, সনদের সঠিকতা যাচাই করার জন্য সনদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সারাদেশে জালসনদধারী শত শত শিক্ষক বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত শত শত শিক্ষক জালসনদ নিয়ে কমিটির মাধ্যমে ঘুষ দিয়ে নিয়োগ পেয়ে এমপিওভুক্ত আছেন। বছরের পর বছর তারা এমপিও বাবদ অবৈধভাবে ভোগ করছেন সরকারের কোটি কোটি টাকা। অপরদিকে নিবন্ধিত প্রার্থীরা শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার আশায় দীর্ঘদিন অপেক্ষা করছেন। কালেভদ্রে প্রতিষ্ঠান সরকারি হলে জাল সনদধারী শিক্ষকদের কু-কর্মের কথা নজরে আসে। আর তা না হলে শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে ঘাপটি মেরে থেকে এমপিওভোগ করছেন তারা। জালিয়াত শিক্ষকরা সরকারের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সাথে সাথে জাতির অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করছেন। যদিও জালসনদধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বারবারই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণের কথা জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ।গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করার সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা  'জাল সনদে ও ভুয়া ইনডেক্স দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষকদের জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসার  ব্যাপারে মতপ্রকাশ করেন। কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের সব তথ্য এনটিআরসিএর নিকট পৌছালে প্রকৃত সনদধারীদের তথ্য ও  ভুয়া সনদধারীদের তথ্য পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে প্রকৃত শিক্ষকগণ উপকৃত হবে। উপকৃত হবে শিক্ষা প্রশাসন। প্রকৃত শিক্ষকগণ শিক্ষকের মর্যাদা পাবে, আর অশিক্ষকগণ তাদের প্রাপ্য পাবেন এই  প্রত্যাশা রইল সরকার বাহাদুরের নিকট।

 

শাহীন আক্তার,

সহকারী শিক্ষক,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

ফরিদা বিদ্যায়তন,আদর্শ সদর, কুমিল্লা।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি