Loading..

ম্যাগাজিন

২৯ অক্টোবর, ২০২০ ০২:১০ অপরাহ্ণ

সুস্থ জীবনের জন্য মেডিটেশন/ধ্যান

সুস্থ জীবনের জন্য মেডিটেশন/ধ্যান

এই যে আমরা শরীর-মন সুস্থ রাখতে 'মেডিটেশন' বা 'ধ্যান' করি-- আসলে সেটা সময় অপচয়ের নামান্তর? এমন ভাবনা যদি মনে উঁকিও মারে, অবাক হওয়ার কিচ্ছু নেই। কারণ, নেট যুগের জেট গতি-র সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে যে রেটে আমরা ইঁদুর-দৌড় দৌড়োচ্ছি তাতে সেকেন্ড নষ্ট হওয়ার মানে লাখ টাকার অপচয়! কিন্তু একটু ভাবলেই দেখা যাবে, রোজের টেনশন, কাজের চাপ, অতিরিক্ত চিন্তার ধাক্কা সামলে সুস্থ থাকার একমাত্র দাওয়াই 'মেডিটেশন'। কীভাবে?

ব্যথা কমাতে: আজকের দিনে ব্যথায় কষ্ট পান না, এমন মানুষ বোধহয় নেই। পিঠ, কোমর, শিরদাঁড়া-সহ শরীরের কোথাও না কোথাও ব্যথার কামড়ে জীবন জেরবার। জানেন কী, রাগের বহিঃপ্রকাশ হল শরীরের ব্যথা! অর্থাত্‍ কোনওভাবে রাগ কমাতে পারলে ব্যথাও কমবে। এর জন্য মনকে শান্ত রাখা জরুরি। আর মন শান্ত রাখার অব্যর্থ ওষুধ মেডিটেশন।

মগজাস্ত্রের ধার বাড়াতে: মস্তিষ্ককে আরও প্রখর করে তুলতে চাইলে ধ্যান করতেই হবে। যে কোনও রকমের মানসিক বাধা যেমন, অবসাদ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি কমানোর জোরালো অথচ সহজ উপায় যোগাভ্যাস। নিয়মিত এই অভ্যাস থাকলে জীবনের যাবতীয় সমস্যার সমাধান নিজেই করতে পারবেন।

মানসিক দৃঢ়তা: রোজের ঝামেলায় জেরবার হয়ে মানসিক দৃঢ়তা একেবারে তলানিতে ঠেকেছে? এর থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় মেডিটেশন। কারণ, ধ্যান করলে মানসিক স্থৈর্য এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, প্রচণ্ড মানসিক চাপেও আপনি অবিচল থাকতে পারবেন।

ধৈর্য বাড়াতে: আপনি কি অল্পেই অধৈর্য? নাকের ডগায় রাগ নিয়ে ঘোরেন? এমনটা যদি হামেশাই হয় তো আপনাকে কিছুটা সময় ধ্যানের পিছনে খরচ করতেই হবে। নিয়মিত মেডিটেশন করলে ধৈর্য বাড়ে। আর সামান্য কারণে রাগের পরিমাণও কমতে থাকে।

লক্ষ্যে স্থির থাকতে: মনঃসংযোগ বাড়াতে যথেষ্ট সাহায্য করে মেডিটেশন। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ওয়াই-ফাই এবং সোশ্যআল নেটওয়র্কিং সাইটের যথেচ্ছ ব্যবহার আদতে আমাদের লক্ষ্যভ্রষ্ট করে। তাই দিনের কিছুটা সময়ও যদি মেডিটেশন করা যায় তাহলে বিক্ষিপ্ত মন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এবং আমরাও আমাদের লক্ষ্যে স্থির থাকতে পারি।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি