Loading..

ম্যাগাজিন

০৫ নভেম্বর, ২০২০ ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ

আমেরিকার ইলেকশন ও ইসলামিক রাষ্ট্রের চিন্তা ধারা

বাংলাদেশি, ইসলাম বা বৈশ্বিক পার্সপেক্টিভ যেদিক দিয়েই দেখা হোক বাইডেন ছাড়া হাতে অপশন নাই।
ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত America again great করতে কার্যত ব্যর্থ বলাই যায়। ভাবসিলাম করোনার ধাক্কায় ট্রাম্প ডমিনেন্ট বিহেভিয়ার থেকে বের হয়ে আসবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে America First নীতি তেই স্থির থাকলো।
ট্রাম্পই হয়ত প্রথম প্রেসিডেন্ট যার সামনে হাভার্ড এম আই টির মত দেশে সায়েন্স মুখ থুবড়ে পড়ে। ফলাফল - কষ্টের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং অথবা কারেন্ট করোনা প্যান্ডেমিক সবটাতেই সায়েন্স পলিটিক্স আর বিজনেসের কাছে পরাজিত।
ট্রাম্প সবসময় জিরোসাম নীতিতে অবিচল থেকেছে। করোনার মত ছোয়াচে প্যান্ডেমিক এ যেখানে কো অপরেটিভ স্কিমে খেলা লাগতো সেখানেও সে আমেরিকাকে ডমিনেন্ট রেখে করোনা হ্যান্ডেল করতে চেয়েছে। করোনার মাঝেও বানিজ্য যুদ্ধ, ইরানের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তারই বহিঃপ্রকাশ। ইরান পারমাণবিক চুক্তিও এর শামিল।
চীন যে বিশ্ব অর্থনীতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং বিশ্ব অর্থনীতি- বানিজ্যে একে ঘাটা মানে আত্মঘাতীসিদ্ধান্ত সেটাও ট্রাম্প মানতে চায়নি তার জিরো সাম নীতিতে ডমিনেন্ট রাখার কারণে। ফলাফল - সারা বিশ্বে বানিজ্য, সাপ্লাই চেইন এ ধাক্কা, ব্রডার সেন্স এ এন্টি গ্লোবালাইজেশন কে প্রমোটের চেষ্টা। টিপিপির মত আঞ্চলিক চুক্তির উপরেও হাত।
ট্রাম্প শাসনামলে মুসলমানদের উপর আঘাত ছিল বিশাল, হেভি ওয়েটের। নূন্যতম ডিপ্লোম্যাটিক কোড of কন্ডাক্ট ও মানা হয়নি কাশেম সোলাইমানী হত্যাকাণ্ডে। যে israel- জেরুজালেম ইস্যু নিয়ে ১৯৪৮ থেকে এত বড় বড় ঘটনা, ট্রাম্প কোন কিছুকেই তোয়াক্কা না করে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করলো জেরুজালেমে, মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেওয়া হল তেল আবিব থেকে জেরুজালেম। এ যে কত সিগ্নিফেকেন্স এর ঘটনা মুসলমান দের জন্য!
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসলে বেশ কিছু ঝামেলা আছে বিশ্বের জন্য। আমার কাছে সবচেয়ে ভয়ংকর সম্ভাব্য ঘটনা মনে হয় ইভাঞ্জেলিক্যাল ক্রুসেড। আমেরিকা তে ইংরেজ প্রোটেস্ট্যান্ট রা বসতি গড়ে তোলার পর তাদের অনেকের মাঝে এই বিশ্বাস তৈরি হয় যে ইহুদীদের জন্য ইসরাইলের মত আমেরিকাও তাদের ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিশ্রুত ভূমি। তারা মনে করে বিশ্বকে রক্ষার জন্য ঈশ্বর আমেরিকাকে মহান দায়িত্ব দিয়েছে। Hollywood এর সুপার হিরো মুভিগুলোতে কিন্তু এই ধারণাই তুলে ধরা হয়! ট্রাম্পের একটিভিটি বৃহৎ পরিসরে এক ধর্মযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে বিশ্বকে। এই ইভাঞ্জেলিক্যাল চেতনা থেকেই ৯/১১ এর পর আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া তে এত আমেরিকান তৎপরতা।
যাহোক, আমেরিকার হাতে বর্তমানে এই প্যান্ডেমিক অবস্থায় দুইটা অপশান, এ দুই অপশান আবার দুই প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থীর সাথে সুন্দর ভাবে মিলে যায়। প্রথমটা: আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ডমিনেন্সে ফোকাস, যা কিনা জিরো সাম জিও পলিটিক্স কে প্রমোট kore- ট্রাম্প এই মতবাদ পুষ্ট।
আর দ্বিতীয়টা: আমেরিকান সিটিজেন ওয়েলফেয়ারে ফোকাস, যা নেগোশিয়েটিভ জিও পলিটিক্স কে প্রমোট করে- বাইডেন ধরে নেওয়া যায় এই মতবাদ পুষ্ট। অন্তত বর্তমান প্যান্ডেমিক কন্ডিশনে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি