সহকারী শিক্ষক
০৫ নভেম্বর, ২০২০ ০২:১৭ অপরাহ্ণ
অ্যাসাইনমেন্ট লিখার নিয়মঃ
প্রিয় শিক্ষার্থীরা!
কিভাবে অ্যাসাইনমেন্ট লেখা শুরু করবে ? এসো জেনে নেই -
★শিক্ষামন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা এবং সিলেবাসের আলোকে প্রত্যেক বিষয়ের উপর সংশ্লিষ্ট শিক্ষক তোমাদের নির্ধারিত যেকোন একটি বা দুইটি বিষয়ের নিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট/কাজ করতে দিবেন।
★সাধারণত শিক্ষকগণ তোমাদের পাঠ্য বই থেকে অ্যাসাইনমেন্ট/কাজ দিবেন; যা তোমরা পাঠ্য বইয়ের সাম্প্রতিক প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী বিভিন্ন অধ্যায় বা টপিক পড়লে সহজেই তা করতে পারবে।
এক্ষেত্রে নিন্মোক্ত তথ্য উৎস ব্যবহার করা যেতে পারে-
★পাঠ্যপুস্তক(সাম্প্রতিক প্রকাশিত সিলেবাস অনুযায়ী)
★সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সহায়ক বই;
★পত্র-পত্রিকা, সাময়িকী, জার্নাল;
শিক্ষক মনোনিত বই (যদি মনে করেন);
★ইন্টারনেট (গুগল সার্চ, উইকিপিডিয়া, বাংলাপিডিয়া)
★সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের নোট/গাইড লাইন এবং সংসদ
টিভির ক্লাস লেকচার;
★বিভিন্ন স্কুল/মাদরাসা প্রচারিত অনলাইন ক্লাস।
♦অ্যাসাইনমেন্ট লেখার ধরন:
বিষয়: বাংলা ১ম পত্র
শিরোনাম: তোমার ভ্রমন থেকে অর্জিত জ্ঞান লিপিবদ্ধ কর।
শ্রেণি: অষ্টম
তোমার অ্যাসাইনমেন্ট হবে উচ্চতর দক্ষতামুলক ; যা পাঠ্যপুস্তকের তথ্য-উপাত্ত আর তোমার পারিপার্শ্বিক বাস্তবতার নিরিখে লেখতে হবে।
*ভূমিকা;
*বর্ণনা/সংজ্ঞার্থ,
* ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ,
*ভ্রম থেকে অর্জিত জ্ঞান ;
* বিভিন্ন উদাহরন ;
* সমস্যা/প্রতিবন্ধকতা;
*সমাধানের উপায়;
*প্রশাসনের ভূমিকা;
* বিদ্যালয়ের ভূমিকা;
* সুপারিশ/মতামত ;
*উপসংহার।
♦অ্যাসাইনমেন্ট-এর রূপরেখা-
অ্যাসাইনমেন্টের রূপরেখার সর্বজন স্বীকৃত কোনাে কাঠামাে নেই। তোমার প্রতিষ্ঠানে অ্যাসাইনমেন্টের জন্য যদি নির্দিষ্ট কোনাে রূপরেখা থাকে তা অবশ্যই মেনে চলতে হবে। তবে সাধারণভাবে যে বিষয়গুলাে বিবেচনায় লিখতে হবে তা হলো-
★ভূমিকা :
এখানে সমস্যার একটি সুস্পষ্ট বর্ণনা থাকবে। অ্যাসাইনমেন্টে ব্যবহৃত শব্দ ও পদগুলাের সংজ্ঞা থাকবে এবং সমস্যা বা অ্যাসাইনমেন্টের সীমাবব্ধতা এখানে লিখতে হবে। তাৎপর্য ও পটভূমি এর মধ্যে থাকবে।এখানে আনুষঙ্গিক বই পত্রের পর্যালােচনা থাকতে পারে, সমস্যা বা বিষয়টির পরিধি বর্ণিত হতে পারে। ভূমিকায় পুরাে অ্যাসাইনমেন্ট সম্পর্কিত মােটামুটি একটি ধারনা থাকবে।
★মূল অংশ:
এই অংশে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিষয়টির উত্তরণ ঘটবে। ভূমিকায় বর্ণিত সমস্যাটির প্রগতিশীল সমাধানের জন্য এখানে বিস্তারিত লেখা হয়। পুরাে অ্যাসাইনমেন্টের মূল অংশ এখানে উপস্থাপিত হবে।এই অংশটিকে সচল রাখার জন্য কোনাে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে হারিয়ে গেলে চলবে না।
★উপসংহার :
এখানে পর্যবেক্ষণ, গবেষণা নির্বাচিত বিষয়টির ফলাফল উপস্থাপন করবে।এতে সমস্যার সমাধান ও সমস্যার সমাধানের পথনির্দেশ থাকতে পারে, সাথে সাথে সুপারিশও থাকবে।
♦অ্যাসাইনমেন্ট-এর কভার পৃষ্ঠা কেমন হবে :
অ্যাসাইনমেন্ট-এর জন্য শিরােনাম পৃষ্ঠা গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে নিম্নোক্তভাবে লিখতে হবে-
★ বিষয়ের নাম:
★কোর্সের নাম / কাজ :
★বিদ্যালয়/প্রতিষ্ঠানের নাম;
★জমাদানের তারিখ :
★বিষয় শিক্ষকের নাম :
★শিক্ষার্থীর নাম :
শ্রেণি :-----------------রোল :-----------------বিভাগ:---------
★শিরোনাম পৃষ্টার পর ২য় পৃষ্টায় সূচিপত্র লিখবে।
★ প্রত্যেক পৃষ্ঠার এক পার্শ্বে পৃষ্ঠা নাম্বার লিখতে হবে!
♦অ্যাসাইনমেন্টের প্রয়ােজনীয় কিছু বিষয় :
*শিরােনাম পৃষ্ঠার পর বিস্তারিত সূচিপত্র দিয়ে পরবর্তী প়ষ্টায় নাম্বার দিবে!
*অ্যাসাইনমেন্ট-এর লেখা হবে অনেকটা গবেষণাধর্মী
তবে লেখার ভাষা গুরুগম্ভীর হবে না
★অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে গবেষকের মন কিংবা অনুসন্ধিৎসু মনে লিখতে হবে। গ্রুপ স্টাডি করেও অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে পারবে।
*শুধুমাত্র নম্বর পাবার জন্যই নয় বরং বাস্তবতা তুলে ধরে যথাসম্ভব সুন্দর উপস্থাপন করবে।
* শিক্ষকদের নির্দেশনা মেনে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করতে হবে।
*তোমার অ্যাসানমেন্ট হতে পারে সৃজনশীলতার প্রকৃষ্ট।
দৃষ্টান্ত।
♦শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নির্দেশনা:
১ নভেম্বর-২০২০ ইং তারিখ হতে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এর নির্দেশনা মােতাবেক, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য বিষয় ভিত্তিক এসাইন্টমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু হবে। একমাস ব্যাপী মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলবে।
মূল্যায়ন পরীক্ষা (এসাইন্টমেন্ট) তৈরির জন্য যা আগে তৈরি করে রাখতে হবে এবং যা মনে রাখতে হবে, তা হলাে -
★A4 সাইজের কাগজের খাতা
★খাতার কভার পৃষ্ঠায় বিদ্যালয়ের নাম, নিজের নাম, শ্রেণি, শাখা, রােল নম্বর, বিষয়, তারিখ সাইন কলম দিয়ে সুন্দর করে লিখতে হবে।
★প্রতি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা খাতা একই নিয়মে তৈরী করতে হবে।
★খাতায় কোন ভাবে লাল কালির কলম ব্যবহার করা যাবে না।
★সব গুলাে খাতা একই সাইজের হতে হবে।
★হাতের লেখা সুন্দর ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হতে হবে।
★অন্য জনের থেকে দেখে এসাইন্টমেন্ট তৈরি করা যাবে না।
★নিজের অর্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে এসাইন্টমেন্ট তৈরি করতে হবে যাতে তােমার শিখন ফল প্রতিফলিত হয়।
★শিক্ষকের দেয়া নির্ধারিত তারিখে লিখিত খাতা বিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে।
★জমাদানের ব্যর্থতার জন্য কোন প্রকার সুপারিশ, অনুরােধ, আবেদনপত্র গ্রহন করা হলো।
মোছাঃ শিরীন সুলতানা
সহকারী শিক্ষক
মিরপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়
মিরপুর , কুষ্টিয়া।
তারিখ : ০৫.১১.২০২০ খ্রি.