Loading..

খবর-দার

১৩ নভেম্বর, ২০২০ ০৯:১৬ অপরাহ্ণ

উল্লেখযোগ্য ১০টি আঁশযুক্ত ফল
উল্লেখযোগ্য ১০টি আঁশযুক্ত ফল

সাধারণভাবে আঁশ হলো খাবারের সেই অংশটুকু যা আমাদের পরিপাকতন্ত্র হজম করতে পারে না! হজম হয় না বলে খাবারের এ অংশ থেকে আমরা ক্যালোরিও পাই না। অধিক ক্যালোরি না পাওয়া গেলেও আঁশ আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরি। এই খাদ্যআঁশের কল্যাণেই হৃদরোগ, রক্তনালীর রোগ, ডায়াবেটিস, পিত্তথলি, লিভারের রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এছাড়াও পরিপাকতন্ত্রে ক্যান্সার, অ্যাপেন্ডিসাইটিস ইত্যাদি হওয়ার ঝুঁকি কমে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
কোনো কিছু খেতে গিয়ে দাঁতের ফাঁকে যদি খাবারটি আঁশজাতীয় কিছু আটকে যায় খুব বিরক্তি লাগে, তাই না? অথবা জুস খেতে গিয়ে যদি দেখেন জুসের ভেতর ফলের একগাদা আঁশ তাহলে বিরক্তি চরম পর্যায়ে চলে যায়! কিন্তু জানেন কি, খাবারের এই আঁশ শরীরের জন্য কতখানি উপকারী? যাঁরা বেশি পরিমাণে আঁশযুক্ত খাবার খান তাঁদের পরিপাকতন্ত্রে ক্যান্সার, অ্যাপেন্ডিসাইটিস ইত্যাদি হওয়ার ঝুঁকি কমে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও তাঁরা মুক্ত থাকেন। সাধারণভাবে আঁশ হলো খাবারের সেই অংশটুকু যা আমাদের পরিপাকতন্ত্র হজম করতে পারে না! এর কারণ হলো আঁশজাতীয় অংশ হজম করার মতো প্রয়োজনীয় এনজাইম আমাদের পরিপাকতন্ত্রে নেই। হজম হয় না বলে খাবারের এ অংশ থেকে আমরা ক্যালোরিও পাই না। প্রয়োজনীয় শক্তি বা ক্যালোরি না পাওয়া গেলেও আঁশ আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরি। এই খাদ্যআঁশের কল্যাণেই হৃদরোগ, রক্তনালীর রোগ, ডায়াবেটিস, পিত্তথলি, লিভারের রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। আসুন জেনে আঁশযুক্ত ১০ টি ফল সম্পর্কে -
১. শুকনো ডুমুর :
শুকনো ফল হিসেবে আমরা যে ডুমুর খাই, তাতে রয়েছে অতি উচ্চমাত্রায় আঁশ। প্রতি ১০০ গ্রাম শুকনো ডুমুরে রয়েছে ৯.৮ গ্রাম খাদ্যআঁশ। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়ামও।
২. আমড়া :
আমাদের দেশের অতি পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফল হলো আমড়া। টক স্বাদের এই ফলটিতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ার খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে ৫.৭ গ্রাম আঁশ। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।
৩. পেয়ারা :
আরেকটি অতি পরিচিত ফল হলো পেয়ারা। বর্ষাকালীন এ ফলটিতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যআঁশ। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় রয়েছে ৫.৪ গ্রাম আঁশ। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।
৪. সজনে :
সজনে ডাঁটা আমাদের দেশে বহুল পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি সবজি। বিশেষ সজনে দিয়ে ডাল চচ্চড়ি খুব জনপ্রিয় একটি তরকারি। প্রতি ১০০ গ্রাম সজনে ডাঁটায় রয়েছে ৪.৮ গ্রাম খাদ্যআঁশ।
৫. ঢেঁরস :
আঙুলের মতো দেখতে সবুজ রঙের এই সবজিটি খেতে ভীষণ মজা। বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে মুচমুচে ঢেঁরস ভাজি অনেকেরই প্রিয় খাবার। বিশেষ করে কচি থাকা অবস্থাতেই সবজি হিসেবে ঢেঁরসের গ্রহণযোগ্যতা বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁরসে রয়েছে ৩.২ গ্রাম খাদ্যআঁশ।
৬. বেগুন :
নাম বেগুন হলেও বেগুন অনেক গুণের সবজি। বেগুন মূলত শীতকালীন সবজি হলেও বর্তমানে প্রায় বারো মাসই বেগুন পাওয়া যায়। বেগুনেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যআঁশ। প্রতি ১০০ গ্রাম বেগুনে রয়েছে ৩ গ্রাম খাদ্যআঁশ।
৭. কলা :
বারোমাসি ফল হিসেবে প্রথমেই যে ফলটির কথা মাথায় আসে, সেটি হলো কলা! সহজলভ্য এবং দামে সস্তা বলে সব ধরনের মানুষের নাগালেই রয়েছে এই ফলটি। অন্যান্য খাদ্য উপাদানের পাশাপাশি এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যআঁশও। প্রতি ১০০ গ্রাম কলায় রয়েছে ২.৬ গ্রাম খাদ্যআঁশ। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৮. কামরাঙ্গা :
ভিটামিন সি-এর আধার হিসেবে পরিচিত এ ফলটি স্বাদেও অনন্য। টক স্বাদের রসালো এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যআঁশ। প্রতি ১০০ গ্রাম কামারাঙ্গায় রয়েছে ২.৮ গ্রাম খাদ্যআঁশ।
৯. আপেল :
আপেল একটি বিদেশি ফল হলেও এটি আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে রোগীর পথ্য হিসেবে আপেল পরিগণিত হয়। আপেলেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। প্রতি ১০০ গ্রাম খোসাসহ আপেলে রয়েছে ২.৪ গ্রাম খাদ্যআঁশ। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
১০. কাঁঠাল :
কাঁঠাল জাতীয় ফল হলেও আঁশের দিক থেকে বেশ পেছনেই রয়েছে। গ্রীষ্মকালীন এই ফলটির কোনো অংশই ফেলনা নয়! সুমিষ্ট ফল কাঁঠালের খাদ্যযোগ্য অংশের প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে ২ গ্রাম খাদ্যআঁশ।