সহকারী প্রধান শিক্ষক
২০ নভেম্বর, ২০২০ ১০:৪৪ অপরাহ্ণ
শিশুদের চেতনায় দেশপ্রেম
শিশু যখন ভাষা শিখতে শুরু করে তখন
থেকেই শিশুকে যুদ্ধবিষয়ক সত্য ঘটনাগুলো বলা যেতে পারে। স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস, হিরোশিমা দিবস ইত্যাদি দিনগুলোর সঙ্গে শিশুকে পরিচিত করা।
জাতীয় পতাকা দেখানো, বাড়িতে জাতীয় পতাকা রাখা আর
শুদ্ধভাবে জাতীয় সংগীত শোনানো, জাতীয় পতাকা আর জাতীয় সংগীতকে
কীভাবে সম্মান জানাতে হয় তা শেখানো।
শিশুকে জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বধ্যভূমি, শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ইত্যাদি
স্থানে নিয়ে যাওয়া
শিশুকে তার বয়সের উপযোগী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গল্প, কবিতা, মুক্তিযোদ্ধাদের চিঠি, ডায়েরি পড়তে দেওয়া, বিশ্বযুদ্ধের ওপর লেখা বই পড়তে
উৎসাহিত করা। দেশাত্মবোধক গান শুনতে আগ্রহী করা।
শিশুদের উপযোগী বিভিন্ন যুদ্ধের নাটক-চলচ্চিত্র দেখতে উৎসাহিত
করা।
পাকিস্তানি বাহিনী আর তাদের এ দেশীয় দোসরদের বীভৎসতা আর
নির্মমতা জানানোর পাশাপাশি বাঙালির বীরত্বগাথাও শিশুকে জানানো।
মুক্তিযুদ্ধে
বাংলাদেশের বীর সেনানী, সেক্টর কমান্ডার, শহীদ বুদ্ধিজীবী, খেতাবপ্রাপ্তদের জীবনী পড়তে দেওয়া।
একাত্তরে
স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির নৃশংসতা এবং বর্তমান সময়ে তাদের অপতৎপরতা সম্পর্কে
শিশুকে ধারণা দেওয়া।
শিশুকে
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান, গল্প, অভিনয় বা ছবি আঁকার প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক
শিশুর যেকোনো কৌতূহল বা প্রশ্নের প্রকৃত উত্তর দেওয়া, সেগুলো এড়িয়ে না যাওয়া।