Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:২৪ অপরাহ্ণ

শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট।

শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালুর জন্য চলতি বছরের মার্চে কনটেন্ট ফিল্টারিং প্রযুক্তি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এতে পর্নোসাইটসহ বিপদগামী অন্যান্য সাইট বা অ্যাপ বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের সম্মেলন কক্ষে ইউনিসেফ আয়োজিত বাংলাদেশে শিশুদের জন্য অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নিরাপদ ইন্টারনেট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অনলাইনে বাংলাদেশের ৩২ শতাংশ শিশু ডিজিটাল সহিংসতা ও উৎপীড়নের মতো বিপদের মুখে রয়েছে বলে নিজেদের এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ইউনিসেফ।

১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৩২ শতাংশ শিশু অনলাইন সহিংসতা, অনলাইনে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ডিজিটাল উৎপীড়নের শিকার হওয়ার মতো বিপদের মুখে রয়েছে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে। দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১ হাজার ২৮১ স্কুল বয়সী শিশুর ওপর ‘বাংলাদেশে শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা’ শিরোনামে এ জরিপ করে সংস্থাটি।

এসময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিশুদের ইন্টারনেট সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রাথমিক স্তর থেকে তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটাল শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের ডিজিটাল হতে হবে, একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে হবে। শিশুরা কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের মনে রাখতে হবে শিশুদের কাছে আমরা কী ধরনের কনটেন্ট সরবরাহ করছি?’

শিশু উপযোগী কনটেন্ট খুব একটা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, শিশুরা পছন্দ করে এমন কনটেন্ট দরকার আমাদের। ‘শিশুদের জ্ঞানার্জনের পদ্ধতির সঙ্গে আমাদের বিদ্যমান পদ্ধতিটি বিপরীতমুখী। সরকারের এখনকার চেষ্টা হচ্ছে শিশুসহ নাগরিকদের খারাপ কনটেন্ট থেকে রক্ষা করা। আবার খারাপ কনটেন্টগুলোর উৎপত্তিস্থল কিন্তু বাংলাদেশ নয়।

সে জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য। আরও একটি বড় বিষয় হচ্ছে, যারা কনটেন্টগুলো দুনিয়াব্যাপী ছড়াচ্ছেন তারা তাদের নিজেদের স্ট্যান্ডার্ডে চলেন, আমাদের স্ট্যান্ডার্ডে চলেন না। তবে এ ক্ষেত্রেও সাম্প্রতিক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। আমাদের দেশের আইন পরিপন্থী অনেক বিষয়ের প্রতি তারা সম্মান দেখাতে সম্মত হয়েছে।

ইন্টারনেট থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতে অভিভাবকদেরও সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্যারেন্টাইল গাইড’ নামে ইন্টারনেটের একটা অপশন আছে যা প্রয়োগ করে খারাপ কনটেন্ট থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখা সম্ভব।

তথ্য বা ডেটা নিরাপদ রাখা বর্তমান ডিজিটাল বিপ্লবের যুগে আরও একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়েও নজর দেয়া হবে। ইতিমধ্যে কনটেন্ট ফিল্টারিং করার সক্ষমতা বাংলাদেশ অর্জন করেছে। আগামী মার্চে এ প্রযুক্তি চালু করা সম্ভব। এটি চালু হলে পর্নোসহ বিপদগামী অনেক সাইট বন্ধ করে শিশুদের রক্ষা করতে পারব।’

এদিকে ইন্টারনেট একটি নির্দয় মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে শিশুদের জন্য ইন্টারনেটকে নিরাপদ একটি জায়গায় পরিণত করতে ইউনিসেফের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার।


facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
linkedin sharing button

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি