প্রধান শিক্ষক
২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০৬:৩৭ অপরাহ্ণ
জীব বিজ্ঞান দশম, ৭ম অধ্যায়
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: দশম
বিষয়: জীব বিজ্ঞান
অধ্যায়: সপ্তম অধ্যায়
এলার্জি, এ্যাজমা, হাপানী ও
শ্বাসকষ্ট
এলার্জি, এ্যাজমা/হাপানি এবং
শ্বাসকষ্ট এই বিষয়গুলি একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠ। দেখা যায় এলার্জির তীব্রতা বাড়লে
এ্যাজমা আক্রান্ত রোগীদের শ্বাসকষ্টও বেড়ে যায়। তাই যারা এ সমস্যায় ভুগছেন তাদের
কিছুটা নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করাই উচিত। ঔষুধ ছাড়া শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রিত জীবন
যাপন করলেও এ সমস্যার তীব্রতা অনেকাংশে কমিয়ে
আনা সম্ভব। এই সংক্রান্ত রোগীদের চলাফেরা, ওঠাবসা, খাবার-দাবার
এক কোথায় জীবনযাত্রার সকল বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। নিচে তার জন্য কিছু করণীয় এবং
বর্জনীয় টিপস উপস্থাপন করা হলো।
- ধূলাবালি থেকে বাচতে রাস্তা ঘটে চলাচলের সমসয় মুখে মাস্ক
ব্যবহার করুন।
- বাসা বাড়িতে কার্পেট ব্যবহার না করাই অতি উত্তম।
- ঘরে ধূঁপ ব্যবহার করেবেন না ।
- উচ্চ মাত্রার সুগন্ধি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
- যেকোন প্রকার স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।
- বাসায় বিড়াল, কুকুর বা অন্য কোনো প্রাণী পোষা থেকে বিরত
থাকুন।
- ঘর ঝাড়ু দেওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন বা
গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন।
- মশার কয়েলও শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে থাকে এর থেকে
নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করুন।
- স্প্রে করার সময় নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করুন
কারণ এটাও বেশ ক্ষতিকর।
- যে কোনো উপায়ে ধূমপান পরিহার করা অপরিহার্য।
- ঠান্ডা জল এবং শীতল খাবার গ্রহণ করা পরিহার করুন।
- বাসা বাড়িতে ফ্রীজে রাখা খাবার ভালো করে গরম করে
গ্রহন করুন।
- পুরাতন বই পত্র এবং বিছানা বা কার্পেট ঝেড়ে
নেওয়ার সময়ও মাস্ক ব্যবহার করুন বা গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন।
- শীতকালে লেপ-তোষক ভাল করে রোদে
শুকিয়ে ব্যবহার করুন।
- শীতের সময় শীতবস্ত্র ধুঁয়ে ব্যবহার করুন ।
- শীত থেকে বাচতে উলেন কাপড়ের পরিবর্তে সুতি অথবা জিন্সের কাপড়
ব্যবহার করুন।
- ছোট বা বড় ফুল ধরা গাছের নিচে বা তার আশেপাশে
বসবেন না । ফুলের পাপড়ি
আপনার শ্বাসকষ্ট বাড়াবে।
- রান্না করার সময় মশলার ঝাঁঝাঁলো গন্ধ এড়াতে
মাস্ক বা শুকনো কাপড় ব্যবহার করুন।
- ঘরে যাতে তেলাপোকা এবং ছারপোকা বাসা
বাধতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখুন।
- লক্ষ্য রাখুন কি কি কারণে আপনার এলার্জি, এ্যাজমা ও
শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন আরো কি কি করা
দরকার।
ইলিশ মাছ, চিংড়ি, গরুর
মাংস, দুধ, হাঁসের ডিম (সাদা অংশ), মিষ্টি কুমড়া, কচু, বেগুন, আপেল, কলা এ
সকল খাদ্য আপনার এলার্জি ও শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দিবে। তাই এসব থেকে সাবধান
থাকুন।
- সবসময় হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করুন।
- ভয়, হতাশা ও চিন্তাগ্রস্থ হবেন না কখনো । বিষয়টা ইতিবাচক
দৃষ্টিতে নিন।
- ভুলে যান যে আপনার এ্যাজমা ও
শ্বাসকষ্ট সমস্যা রয়েছে।
- শ্বাস গ্রহনের পর প্রায় পনের সেকেন্ড শ্বাস ধরে
রাখার অভ্যাস করুন।
- প্রতিদিন কিছু সময় শ্বাসের ব্যায়াম
করার চেষ্টা করুন।
- সুযোগ পেলে কিছুটা সময় জোরে জোরে শ্বাস
নিন।
- দুই ঠোট শীষ দেওয়ার ভঙ্গিতে এনে ধীরে ধীরে মুখ
দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন।
- শ্বাসকষ্ট বেশি হলে বা শ্বাসকষ্ট না কমলে
দেরী না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।