Loading..

ভিডিও ক্লাস

২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ০৭:৪৬ অপরাহ্ণ

কিশোর অপরাধ-৮ম,মোঃ মোকলেছ উদ্দিন, নান্দিয়া সাঙ্গুন আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা।

কিশোর অপরাধ-৮ম,মোঃ মোকলেছ উদ্দিন, নান্দিয়া সাঙ্গুন আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা।কিশোর ‘অপরাধ' এবং বাংলাদেশের বাস্তবতা বাংলাদেশের আইন ও সাধারণ মানুষের মনোভাব কি শিশুবান্ধব? একদিকে শিশুরা যেমন হত্যা-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, অন্যদিকে নানা ‘অপরাধের' কথা বলে তাদের আটক করা হচ্ছে সাধারণ আইনে৷ তার ওপর সংশোধন কেন্দ্রগুলোও শিশুদের উপযোগী নয়!বাংলাদেশে ২০১৩ সালে প্রণীত শিশু আইন অনুযায়ী, এখন ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত যে কেউ শিশু হিসেবে বিবেচিত হবে৷ শুধু তাই নয়, নয় বছরের কম বয়সি শিশুকে কোনো অপরাধের অভিযোগে আটক বা শাস্তি দেয়া যাবে না৷ ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কাউকে আটক করা হলে তাদের হ্যান্ডকাপ পড়ানো যাবে না৷ আর শিশু-কিশোরদের বিচার হতে হবে শিশু-কিশোর আদালতে৷ আদালত তাদের বিচার শেষে ‘অপরাধের' প্রমাণ পেলে শিশু কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হবে অভিযুক্তদের৷ আদালত যতদিন নির্দেশ দেবে, ততদিন তারা সেখানে থাকবে৷ বলা বাহুল্য, এই সব কেন্দ্রে শিশুদের মানসিক, চারিত্রিক, শিক্ষা এবং আত্মিক উন্নয়ন ঘটানোর কথা৷ কিন্তু বাস্তবে কী হয় তা কয়েকটি উদাহরণ দিলেই স্পষ্ট হয়ে উঠবে৷ গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গাজীপুরের টঙ্গীতে শিশু-কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে ২০ জন শিশু-কিশোর তাদের নির্যাতন এবং ঠিকমত খাবার না দেয়ার ‘রক্তাক্ত প্রতিবাদ' জানায়৷ তারা ধারালো ব্লেড দিয়ে তাদের হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে প্রতিবাদ জানালে এবং তা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হলে, ব্যাপক আলোচনায় আসে৷ কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হলো, পরে সমাজসেবা অধিদপ্তর তদন্ত করে ঐ শিশু-কিশোরদেরই দায়ী করে৷ এমনকি তাদের ‘বেয়াড়া' বলে তদন্ত প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়৷