Loading..

খবর-দার

০৩ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ০৯:০৮ পূর্বাহ্ণ

ভূমি সংক্রান্ত মামলা অনলাইনে তদারকি হবে

সংগৃহীত 

ভূমি সংক্রান্ত দেওয়ানি মামলার সহজ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং অনলাইনে তদারকির জন্য সিভিল স্যুট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএসএমএস) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নির্বাচিত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সিএসএমএস স্থাপনে একটি চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার যুগ্মসচিব মো. মাহমুদ হাসান এবং মাইসফট হ্যাভেন (বিডি) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোফাক্কারুল ইসলাম। এ সময় ভূমি সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে যত মামলা হয় তার বেশিরভাগই ভূমি সংক্রান্ত। এসব দেওয়ানি মামলার সহজ, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে সিভিল স্যুট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম স্থাপনে গত বছরের জুলাইয়ে পদক্ষেপ নেয় মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সিএসএমএস স্থাপন করা হলে আদালতের তথ্য হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না এবং মামলায় তথ্য বিবরণী আদালতে দেয়া হয়েছে কিনা, তথ্য বিবরণী কীভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, মামলার সর্বশেষ অবস্থা কী ইত্যাদি বিষয়েও সিস্টেম থেকে তথ্য নেয়া যাবে। আদালতের তারিখ ও আদেশ পর্যবেক্ষণের জন্য নতুন এই সিস্টেমে সরকারি কৌঁসুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

জানা গেছে, ভূমি তথ্য সিস্টেম ফ্রেমওয়ার্কের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ করে সিএসএমএস স্থাপন করা হবে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সঙ্গে এই সিস্টেমের যোগসূত্র থাকবে। ই-মিউটেশন সিস্টেমের সঙ্গেও এই সিস্টেমটি একীভূত করা হবে।

এর ফলে ইউনিয়ন থেকে তথ্য বিবরণী দেয়া শুরু করে আদালত পর্যন্ত তথ্য বিবরণীর কপি জমা পর্যন্ত অনলাইন সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা থেকে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের মামলাসহ সব দেওয়ানি আদালতের মামলায় সরকার পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হয়। সরকারের কোটি কোটি টাকা মূল্যমানের সম্পত্তি নিয়ে এসব মামলা পরিচালিত হয়।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার কর্মকার, মুহাম্মদ সালেহউদ্দীন, প্রদীপ কুমার দাসসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

আরএমএম/এসএস/এমএস