Loading..

প্রেজেন্টেশন

১৩ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ১০:৩৩ অপরাহ্ণ

শাকসবজি চাষ পদ্ধতি : লাউ চাষ

লাউ চাষ
ভূমিকা :
বাংলাদেশে লাউ একটি জনপ্রিয় সবজি। লাউয়ের চেয়ে এর শাক বেশি পুষ্টিকর।
লাউয়ের জাত :
বাংলাদেশে লাউয়ের অনেক জাত চোখে পড়ে। ফলের আকার-আকৃতি এবং গাছের লতানোর পরিমাণ থেকেও জাতগুলো পাথর্ক্য করা যায়। যাহোক দেশীয় উন্নত এবং গবেষণালব্ধ কিছু জাতের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
ক) দেশীয় জাত : গাঢ় সবুজ থেকে হালকা সবুজ।
খ) উন্নত জাত:বারিলাউ ১, বারিলাউ ২ : লম্বা হালকা সবুজ
গ) হাইব্রিড জাত : গোলাকার বা লম্বা
মাটি :
প্রায় অনেক মাটিতেই লাউ ভালো উৎপাদিত হয়। তবে দোআঁশ মাটিতে লাউয়ের ফলন ভালো হয়। বেলে মাটিতে জৈব পদার্থ যোগ করে প্রয়োজনীয় সেচ দিয়ে সহজে লাউ চাষ করা যায়।
বীজ বপনের সময় : আগস্ট-নভেম্বর
মাটি তৈরি, মাদা তৈরি, মাদায় সার প্রয়োগ ও মাদায় গর্ত তৈরি প্রভৃতি চালকুমড়া চাষের বর্ণনার অনুরূপ।


বীজ বপন :
প্রতিমাদায় ৪-৫টি বীজ বপন করতে হবে। ৪-৫ দিনের মধ্যেই বীজ অঙ্কুরিত হবে।
বাউনি ও মাচা তৈরি :
গাছ যখন ১৫-২০ সেন্টিমিটার বড় হয় তখন গাছের গোড়ার পাশে বাঁশের ডগা কঞ্চিসহ মাটিতে পুঁতে দিতে হয়।
পরিচর্যা :
চারা একটু বড় হলে প্রতি মাদায় ২টি করে চারা রেখে বাকিগুলো তুলে ফেলতে হবে। মাটি নিড়ানি দিয়ে আলগা করে ঝুরঝুরা করতে হবে। লাউগাছে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি প্রতিদিন দিতে হবে।

বালাই ব্যবস্থাপনা :
এ সবজিতে রেড পামকিন বিটল পোকার আক্রমণ হতে পারে। এ পোকা দেখা দেওয়ার সাথে সাথে ধরে ধরে মেরে ফেলতে হবে। তাছাড়া কিছু প্রজাতির ঘাসের মাধ্যমে লাউয়ের মোজাইক ভাইরাস রোগ হতে পারে।
ফসল সংগ্রহ :
ফল তোলা বা সংগ্রহ করার উপযুক্ত পর্যায় হবে যখন-
ফলের গায়ে প্রচুর শুং এর উপস্থিতি থাকবে।
ফলের গায়ে নোখ দিয়ে চাপ দিলে খুব সহজেই নখ ডেবে যাবে।
পরাগায়ণের ১২-১৫ দিন পর ফল সংগ্রহের উপযোগী হয়।
ফলন :
বারি লাউ-১ এবং বারি লাউ-২ চাষ করলে যথাক্রমে হেক্টর প্রতি ৩৫-৪৫ টন (১৪০-১৮০ কেজি/শতক) পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।