সহকারী শিক্ষক
২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ০১:৫৪ অপরাহ্ণ
সকল শুভানুধ্যায়ীগণদের প্রতি রইলো প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।সবাই ভীষণ ভালো থাকুন।
“৫২ থেকে ৭১ এর কসম”
৫২ থেকে ৭১ এ মুঠো মুঠো রক্ত দিয়ে
গেছে সময়;
লাল রং বুকে নিয়ে হারিয়ে গেছে গৃহস্থ
রাত;
কতদিন আতঙ্কের গোধুলিতে নজর রেখেছে
ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধারা।
পাকিস্তানি হায়েনারা যে অষ্টাদশী যুবতীকে
বিবস্ত্র অবস্থায় গাছে ঝুলিয়ে রেখেছিল-
সেই যুবতী আমার বাবার নোলক পরা বোন!
যে বৃদ্ধার চোখের জলে আগুন লাগিয়ে
দিয়েছিল-
সেই বৃদ্ধা আমার মায়ের মা!
ঐ যে গলির মোড়ের রশিদ সেদিন যুদ্ধে
গিয়েছিল,
ঐ যে পুকুরপাড়ে টং-এ বসা কার্ত্তিক সেদিন দুটো পা হারিয়েছিল!
এখনো রশিদ। কার্ত্তিক
নিজেকে পোড়ায়!
বাংলাভাষা, পতাকা, মানচিত্র দিয়ে সাজানো বাংলাদেশের
শরীর।
এসবের ফলে পেয়েছি সিঁড়িতে পরে থাকা
কালো চশমাটা ও রক্তাক্ত নিথর দেহ ৭ই মার্চের অগ্নিঝরা ভাষণদাতার।
এতো রক্ত দেওয়ার পরও তবুও রক্তের চাহিদা
দিনদিন বাড়ছে।
৫২ থেকে ৭১ এ ঝরে গেছে কতগুলি সোনালি
পাতা।
আমাদের দিয়ে গেছে আশ্চর্য আলো-সেই আলো ছিনতাই হচ্ছে অমুক/ তমুকের
বুলেটে!
বক্তৃতায়, ভাষণে, বড় বড় বিশেষণ ব্যবহার করে
স্বার্থ হাসিলের জন্য।
আসবো আসবো করে ন্যায়নীতি আসে নে যাদের
জন্য।
৫২ থেকে ৭১ এর কসম- অমুক/ তমুকের ফাঁসি চাই,
দিতে হবে।
@মেহেনাজ পারভীন
সহকারী শিক্ষক
ঝানজিরাপাড়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়।
দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর।