সহকারী শিক্ষক
১৫ এপ্রিল, ২০২১ ০১:১৪ অপরাহ্ণ
নিমাই চন্দ্র মন্ডল, সহকারী শিক্ষক, পলাশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মনিরামপুর, যশোর।
ঢাকায় ছিলাম
আমরা যদি দেশ নেতারুপে শেখ মুজিবুর রহমানের মতো এক অসামান্য পুরুষকে পেয়ে
থাকি তবে একথা স্বীকার করতেই হবে, তাঁর ঠিক সময়কে ব্যাপ্ত করে যাঁরা বলিষ্ঠ নেতৃত্ব
নিয়ে বাংলাদেশের ভাগ্যকাশে উদিত হয়ে ছিলেন, তাঁর অবশ্যই শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে
নেতৃত্বদানের অন্তরালে আর এক হিতৈষী ছিলেন। এমনই জ্যোতিস্ক- খচিত আকাশ যখন বাংলাদশকে
ব্যাপ্ত করেছেন, তেমনই এক শুভলগ্নে জন নেত্রী শেখ হাসিনার উদায় হয়েছিল। ৮০-র দশকে স্বৈরাচারী
সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আবিরভাব হয়েছিল। হয়তো বা এক বিরাট যুগ পরিবর্তন –ধারায় এক বিশেষ
ক্ষণ তৈরি হয়েছিল, যে-ক্ষণে তিনি রাজনৈতিক জীবনে ‘আওয়ামী লীগের দক্ষিণপন্থাকে ধরে স্বাধীনতার
লড়াইকে গন আন্দোলনের রুপ দিতে পেরে ছিলেন। শেখ হাসিনা অধিকার করে ছিলেন এক আদর্শময়
মহৎ জীবন। আমাদের বুঝতে সুবিধা হবে যদি একটি সত্য ঘটনার উল্লেখ করতে পারি। শেখ হাসিনার
জীবন ছিল ঘটনাবহুল। তবুও এই ঘটনাটির উল্লেখ কারণ হলো, এতে তাঁর চরিত্রের দৃঢ়তা, সহনশীলতা,
রসিকতা, নির্লিপ্ততা, শব্দবাণে প্রতিপক্ষকে বেঁধার ক্ষমতা ইত্যাদি দুর্লভ গুণ খুব সুন্দরভাবে
প্রকাশ পেয়েছে। জীবনের পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে পুরানো খোলসকে জীর্ণবস্তের মতো পরিত্যাগ
করে নবজন্মের উষার আলোয় তিনি উদ্ভাসিত হয়েছিলেন। একটি ভিন্ন মতাদর্শের পথ তৈরি করে
দেশের মানুষকে তাদের নিজ স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার অধিকার সম্পর্কে সচেতন তুলতে সফল হয়েছিলেন।
রাজনীতিতে কঠোর পরিশ্রমের পর তাঁর শরীর ভেঙে পড়ে।
১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালের কতিপয় সামরিক বাহিনীর বিপথগামী সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে
রক্ষা পান। শেখ হাসিনা সাড়ে ছয় বছর বিদেশে কাটিয়ে ১৭ মে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরতে সক্ষম
হন। তাঁর দুই শিশুসন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল কে ছোট বোন শেখ রেহেনার
কাছে রেখে দেশে ফেরেন জীবনের ঝুকি নিয়ে। একুশে আগস্ট আমি নিজে ঢাকায় ছিলাম নিজে চোখে
দেখেছি। ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার ইতিহাস আমার স্মৃতিতে আজও জেগে আছে। শেখ হাসিনা
চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন নজীর স্থাপন
করলেন শেখ হাসিনা।