Loading..

মুজিব শতবর্ষ

১৭ এপ্রিল, ২০২১ ০৪:১১ অপরাহ্ণ

মুজিবনগর সরকার গঠনের পটভূমি

২৫শে মার্চ কাল রাত্রিতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নৃসংশ গণহত্যায় রক্তস্নাত বাংলার মাটি। জ্বলে পুড়ে ছাড়-খার তবুও মাথা নোয়াবার নয়। বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে বঙ্গবন্ধুর ডাকে দুর্গ গড়ে উঠেছে। কিন্তু একটি জনযুদ্ধকে নেতৃত্ব দিতে সরকার গঠনের প্রয়োজনীতা থেকেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শপথ নেয় অস্থায়ী মুজিব নগর সরকার। ১৭ই এপ্রিল, ১৯৭১। এদিন মুজিবনগর সরকার' নামে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। পাকিস্তান কারাগারে বন্দী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে তাকে রাষ্ট্রপতি করে ' আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতাযুদ্ধকালীন এই সরকারের দক্ষ নেতৃত্ব ও পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি লাভ করে স্বাধীনতা। এরই মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায় মুক্তিযুদ্ধ। যেকোন মুহুর্তে পাকিস্তানে বিমান হামলার আশঙ্কা মাথায় নিয়ে বেলা ১১টায় তৎকালীন কৃষ্টিয়ার মেহেরপুরের বৈদনাথতলায় বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। কোরান তেলাওয়াতের পর হাজারো কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উত্তোলন হয় বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা। শুরুতেই বাংলাদেশকে 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ' হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর শুরু হয় শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানিকতা। শপথ গ্রহণের পর মুজিবনগর সরকারকে সশস্ত্র বাহিনী গার্ড অফ অনার প্রদান করে। প্রকাশ্য শপথ গ্রহণ ছিলো মুক্তিযুদ্ধের টার্নিং পয়েন্ট। যুদ্ধের নয় মাস মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণে প্রাণে, রণাঙ্গনের রণে রণে, ধ্বনিত, প্রতিধ্বনিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর বজ্র কণ্ঠের সেই ঘোষণা,‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে । বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তার নির্দেশিত পথেই জাতীয় নেতৃবৃন্দ দক্ষ হাতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। তাদের দক্ষ নেতৃত্বগুণেই মুক্তিযোদ্ধারা শেখ মুজিবুর রহমানের চেতনা ও আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধ থেকে ‘জয় বাংলা শ্লোগানে কণ্ঠে তুলে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন হানাদার বধে। ছিনিয়ে এনেছেন বিজয়ের সেই লাল সবুজ পতাকা।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি