Loading..

খবর-দার

১৮ এপ্রিল, ২০২১ ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ

আজ ১৮ ই এপ্রিল শতাব্দীর সেরা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন এর ৬৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী

আলবার্ট আইনস্টাইন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আলবার্ট আইনস্টাইন
Albert Einstein Head.jpg
১৯৪৭ সালে আলবার্ট আইনস্টাইন
জন্ম১৪ মার্চ ১৮৭৯
উল্‌ম, উরটেমবার্গ (Württemberg), জার্মান সাম্রাজ্য
মৃত্যু১৮ এপ্রিল ১৯৫৫ (বয়স ৭৬)
প্রিন্সটননিউ জার্সিযুক্তরাষ্ট্র
বাসস্থানজার্মানিইতালিসুইজারল্যান্ডমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
নাগরিকত্বজার্মান (১৮৭৯-৯৬, ১৯১৪-৩৩)
রাষ্ট্রহীন (১৮৯৬-১৯০১)
সুইজারল্যান্ডীয় (১৯০১-৫৫)
অস্ট্রিয় (১৯১১-১৯১২)
মার্কিন (১৯৪০-৫৫)
কর্মক্ষেত্রপদার্থবিজ্ঞান
প্রতিষ্ঠানসুইজারল্যান্ডীয় পেটেন্ট অফিস (বার্ন) (১৯০২-১৯০৯)
বার্ন বিশ্ববিদ্যালয় (১৯০৮-১৯০৯)
জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় (১৯০৯-১৯১১)
চার্লস ইউনিভার্সিটি অফ প্রাগ (১৯১১-১৯১২)
ইটিএইচ জুরিখ (১৯১২-১৯১৪)
প্রুশীয় বিজ্ঞান একাডেমি (১৯১৪-১৯৩৩)
হুমবোল্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বার্লিন (১৯১৪-১৯৩৩)
কাইজার ভিলহেম ইনস্টিটিউট (পরিচালক, ১৯১৭-১৯৩৩)
জার্মান ফিজিক্যাল সোসাইটি (সভাপতি, ১৯১৬-১৯১৮)
লিডেন বিশ্ববিদ্যালয় (পরিদর্শন, ১৯২০)
ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিস (১৯৩৩-১৯৫৫)
ক্যালটেক (পরিদর্শন, ১৯৩১-১৯৩৩)
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (পরিদর্শন, ১৯৩১-১৯৩৩)
প্রাক্তন ছাত্রইটিএইচ জুরিখ (ফেডারেল শিক্ষকতার ডিপ্লোমা, ১৯০০)
জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় (পিএইচডি, ১৯০৫)
সন্দর্ভসমূহEine neue Bestimmung der Moleküldimensionen (A New Determination of Molecular Dimensions)
পিএইচডি উপদেষ্টাআলফ্রেড ক্লাইনার
পরিচিতির কারণসাধারণ আপেক্ষিকতা
বিশেষ আপেক্ষিকতা
আলোক তড়িৎ ক্রিয়া
E = mc2 (ভর-শক্তি সমতা)
E = hf (প্ল্যাঙ্ক–আইনস্টাইন সম্পর্ক)
ব্রাউনীয় গতি
আইনস্টাইন ক্ষেত্র সমীকরণ
বসু-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান
বোস-আইনস্টাইন ঘনীভবন
মহাকর্ষীয় তরঙ্গ
মহাজাগতিক ধ্রুবক
একীভূত ক্ষেত্র তত্ত্ব
ইপিআর প্যারাডক্স
যাদের দ্বারা প্রভাবান্বিত
যাদেরকে প্রভাবিত
করেছেন
উল্লেখযোগ্য
পুরস্কার
বার্নার্ড পদক (১৯২০)
নোবেল পুরস্কার.png পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার (১৯২১)
মাতেউচি পদক (১৯২১)
ফেলো অফ দ্য রয়েল সোসাইটি (১৯২১)
কপলি পদক (১৯২৫)
রয়েল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি স্বর্ণপদক (১৯২৬)
মাক্স প্লাংক পদক (১৯২৯)
জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমির সদস্য (১৯৪২)
টাইম ম্যাগাজিনের শতাব্দীসেরা ব্যক্তিত্ব (১৯৯৯)
স্ত্রী/স্বামীমিলেভা মেরিক (বি. ১৯০৩বিচ্ছেদ. ১৯১৯)
এলসা লভেন্থাল (বি. ১৯১৯; মৃত্যু[১][২] ১৯৩৬)
স্বাক্ষর
মেনু
0:00
১১ এপ্রিল, ১৯৪৩ আর্জেন্টিনার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে লা প্লাতার রেডিওতে আলবার্ট আইনস্টাইনের একটি বক্তৃতার শুরুর অংশ

আলবার্ট আইনস্টাইন (জার্মানAlbert Einstein আল্‌বেয়াট্‌ আয়ন্‌শ্‌টায়ন্‌ [ˈalbɛʁt ˈʔaɪnʃtaɪn] (এই শব্দ সম্পর্কেশুনুন)) (১৪ মার্চ ১৮৭৯ - ১৮ এপ্রিল ১৯৫৫) জার্মানিতে জন্মগ্রহণকারী একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি মূলত আপেক্ষিকতার তত্ত্ব (আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের দুটি স্তম্ভের একটি) এবং ভর-শক্তি সমতুল্যতার সূত্র, E = mc2 ( যা "বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত সমীকরণ" হিসেবে খেতাব দেওয়া হয়েছে ) আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত। তিনি ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে তার বিশেষ অবদান এবং আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কিত গবেষণার জন্য তিনি এই পুরস্কার লাভ করেন।[৩]

আইনস্টাইন জার্মান সাম্রাজ্যে জন্মগ্রহন করেছিলেন। তার পিতা একটি তড়িৎরাসায়নিক কারখানা পরিচালনা করতেন। তবে আইনস্টাইন ১৮৯৫ সালে সুইজারল্যান্ডে চলে আসেন এবং পরের বছর জার্মান নাগরিকত্ব ত্যাগ করেন। পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিতে বিশেষায়িত হওয়ায় ১৯০০ সালে জ্যুরিখের ফেডারেল পলিটেকনিক স্কুল থেকে একাডেমিক শিক্ষা ডিপ্লোমা অর্জন করেন। পরের বছর তিনি সুইজারল্যান্ডের নাগরিকত্ব অর্জন করেছিলেন, যা তিনি আর ত্যাগ করেন নি। প্রাথমিকভাবে কাজ সন্ধানের জন্য সংগ্রাম করতে হলেও ১৯০২ থেকে ১৯০৯ সাল পর্যন্ত বার্নের সুইজারল্যান্ডীয় পেটেন্ট অফিসে পেটেন্ট পরীক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

আইনস্টাইন পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রচুর গবেষণা করেছেন এবং নতুন উদ্ভাবন ও আবিষ্কারে তার অবদান অনেক। সবচেয়ে বিখ্যাত অবদান আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্ব (যা বলবিজ্ঞান ও তড়িচ্চৌম্বকত্বকে একীভূত করেছিল) এবং আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব (যা অসম গতির ক্ষেত্রে আপেক্ষিকতার তত্ত্ব প্রয়োগের মাধ্যমে একটি নতুন মহাকর্ষ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছিল)। তার অন্যান্য অবদানের মধ্যে রয়েছে আপেক্ষিকতাভিত্তিক বিশ্বতত্ত্ব, কৈশিক ক্রিয়াক্রান্তিক উপলবৎ বর্ণময়তাপরিসংখ্যানিক বলবিজ্ঞান ও কোয়ান্টাম তত্ত্বের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান যা তাকে অণুর ব্রাউনীয় গতি ব্যাখ্যা করার দিকে পরিচালিত করেছিল, আণবিক ক্রান্তিকের সম্ভ্যাব্যতা, এক-আণবিক গ্যাসের কোয়ান্টাম তত্ত্ব, নিম্ন বিকরণ ঘনত্বে আলোর তাপীয় ধর্ম (বিকিরণের একটি তত্ত্ব যা ফোটন তত্ত্বের ভিত্তি রচনা করেছিল), একীভূত ক্ষেত্র তত্ত্বের প্রথম ধারণা দিয়েছিলেন এবং পদার্থবিজ্ঞানের জ্যামিতিকীকরণ করেছিলেন।

১৯৩৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে থাকাকালীন সময়ে এডলফ হিটলার জার্মানির ক্ষমতায় আসে। ইহুদী হওয়ার কারণে আইনস্টাইন আর জার্মানিতে ফিরে যান নি। আমেরিকাতেই তিনি থিতু হোন এবং ১৯৪০ সালে আমেরিকার নাগরিকত্ব পান।[৪] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে আগে তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টকে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি জার্মান পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচী সম্পর্কে সতর্ক করেন এবং আমেরিকাকেও একই ধরনের গবেষণা শুরুর তাগিদ দেন। তার এই চিঠির মাধ্যমেই ম্যানহাটন প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়। আইনস্টাইন মিত্রবাহিনীকে সমর্থন করলেও পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের বিরুদ্ধে ছিলেন। পরে ব্রিটিশ দার্শনিক বারট্রান্ড রাসেল সঙ্গে মিলে পারমাণবিক অস্ত্রের বিপদের কথা তুলে ধরে রাসেল-আইনস্টাইন ইশতেহার রচনা করেন। ১৯৫৫ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর এডভান্সড স্টাডির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

আইনস্টাইন ৩০০টিরও অধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র এবং ১৫০টির বেশি বিজ্ঞান-বহির্ভূত গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন।[৫] ১৯৯৯ সালে টাইম সাময়িকী আইনস্টাইনকে "শতাব্দীর সেরা ব্যক্তি" হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়া বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীদের একটি ভোটের মাধ্যমে জানা গেছে, তাকে প্রায় সকলেই সর্বকালের সেরা পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।[৬] দৈনন্দিন জীবনে মেধাবী এবং প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন কাউকে প্রায়শই "আইনস্টাইন" বলে সম্বোধন করা হয়। অর্থাৎ এটি প্রতিভা শব্দের সমার্থক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৭] ইউজিন উইগনার তাকে তাঁর সমসাময়িকদের সাথে তুলনা করতে গিয়ে লিখেছিলেন যে "জেনসি ভন নিউম্যানের চেয়ে আইনস্টাইনের বোধশক্তি আরও বেশি প্রখর ছিল। তার চিন্তাশক্তি নিউম্যানের চেয়ে ভেদ্য এবং বাস্তবিক ছিল।"