Loading..

ম্যাগাজিন

১৯ এপ্রিল, ২০২১ ০৪:৩৮ অপরাহ্ণ

পেঁপের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ

পেঁপের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ

পেঁপে একটি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি ফল। পুষ্টিগুন বিবেচনায় পেঁপে অনেক ফলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তাই পেঁপের আরেক নাম পাওয়ার ফ্রুট কারণ, এতে রয়েছে অনেক রোগের নিরাময় ক্ষমতা। সহজলভ্য এবং কম দামে পাওয়া যায় বলে এর জনপ্রিয়তাও অনেক। পেঁপে কাঁচা ও পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। কাঁচা পেঁপে সালাদে ও রান্নায় এবং পাকা পেঁপে ফল হিসেবে খাওয়া যায়। এর পেপেইন নামের উপাদান আমিষকে হজম করে সহজেই এবং পরিপাক তন্ত্রকে পরিষ্কার করে। ক্যালরির পরিমাণ অনেক কম থাকায় এটি ওজন কমাতেও বেশ সহায়ক। তাছাড়া পাকা পেঁপে কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে সাহায্য করে। প্রচুর আঁশ ও ক্যারোটিন থাকায় এটি অন্ত্রের ক্যানসারের ঝুঁকিও কমায়। পেঁপে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। আসুন জেনে নেয়া যাক পাকা পেঁপের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে। পাকা পেঁপে পাকা পেঁপে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি ও ই আছে। এই ভিটামিন গুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বক, চুল ও মাড়ির জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ যা চোখের জন্য উপকারী। হজমশক্তি বাড়ায় পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম আছে যা খাবার হজমে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও প্রচুর পানি ও দ্রবণীয় ফাইবার আছে। যারা হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন তাঁরা নিয়মিত পাকা বা কাঁচা পেঁপে খেতে পারেন। এক্ষেত্রে পেঁপে খুব উপকারি।

ওজন কমায় প্রাকৃতিকভাবে আমাদের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে পেঁপে। পেঁপেতে ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম থাকে এবং উপকারী ফাইবার বা আঁশ বেশি থাকে বলে যারা ওজন সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা পেপে খেতে পারেন নিয়মিত। কোলেস্টেরল কমায় পেঁপেতে কোনো কোলেস্টেরল নেই। আর পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ধমনীতে কোলেস্টেরল জমতে বাঁধা প্রদান করে। অন্যান্য কোলেস্টেরল যুক্ত খাবারের বদলে পেঁপে খান। তাহলে আপনার কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ত্বকের জন্য উপকারী ত্বকের জন্য পেঁপে অনেক উপকারী। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে, একজিমা রোধ করতে, এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে পেঁপে খুবই উপকারী। ভিটামিন বি এর অভাব পূরন করে পেঁপেতে আছে ভিটামিন বি-১ ও ভিটামিন বি-৬, এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ফলেট নামের একটি উপকারি ভিটামিন আছে। তাই ভিটামিন বি এর অভাব পূরণ করার জন্য নিয়মিত পেঁপে খাওয়া উচিত। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যারোটিনের উত্‍স পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, ফ্লেভানয়েড, লুটেইন, ক্রিপ্টোক্সান্থিন আছে যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফুসফুস ও অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকির হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে চিনির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেঁপে একটি আর্দশ ফল। যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পেঁপে রাখা উচিত। পেঁপে ডায়াবেটিস হওয়া প্রতিরোধ করে। হাড় মজবুত করে পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং কপার রয়েছে, নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যালসিয়াম তৈরি হয় যা হাড় মজবুত করে। তাছাড়া আর্থারাইটিস, অস্টিও আর্থারাইটিস দূর করতে সাহায্য করে পেঁপে। ক্যান্সার প্রতিরোধক পেঁপে ক্যান্সার নিরাময়েও ভূমিকা রাখে, পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনোক্সিড যা দেহে ক্যান্সারের কোষ তৈরিতে বাঁধা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁপের বিটা কেরোটিন উপাদান কোলন ক্যান্সার, প্রোসটেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। উচ্চরক্তচাপ কমায় পেঁপে আমাদের দেহের সঠিক রক্ত সরবরাহে কাজ করে। আমাদের দেহে জমা থাকা সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে যা হৃদপিণ্ডের রোগের জন্য দায়ী। উচ্চরক্তচাপ আক্রান্তরা কাঁচা বা পাঁকা পেঁপে খেতে পারেন। দুটোই উপকারী। তাছাড়া শ্বাস- প্রশ্বাসের আরোগ্য ক্ষেত্রে পেঁপের ভূমিকা অনেক। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার ফলে শ্বাস- প্রশ্বাসের সমস্যা কমে যায়। দাঁতের যন্ত্রণার অব্যর্থ ওষুধ হল পেঁপে। অন্ত্রের কৃমি রোধ করে পেঁপে। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাঁরা পাকা পেঁপের বদলে কাঁচা পেঁপে খান। কারণ পাকা পেঁপে খেলে ডায়াবেটিস বেড়ে যেতে পারে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি