আমরা প্রতিদিন নির্ভর করি এমন বহু আধুনিক বহু সুযোগ-সুবিধা এসেছে আফ্রিকান-আমেরিকান নারীদের অবদানে।
আমরা যেভাবে মুভি দেখি, অনলাইন বৈঠক করি এবং আমাদের বাড়িঘর উষ্ণ ও নিরাপদ রাখি সেগুলো এ পর্যায়ে এসেছে কৃষ্ণাঙ্গ নারী উদ্ভাবকদের কল্যাণে। তাঁদের পণ্যের বিকাশ সাধনে বিরোধিতা এবং রাষ্ট্রীয় বর্ণবাদী আচরণ ও বহু প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তাঁরা নতুন প্রযুক্তি বিকাশে সাফল্য অর্জন করেন।
উইমেনস হিস্ট্রি মান্থ উদযাপনকালে শেয়ার-আমেরিকা এমন কিছু কৃষ্ণাঙ্গ নারীর কীর্তি তুলে ধরছে যাদের অবদানে আমাদের পৃথিবী বদলে গেছে।
লিসা গেলোবটার (১৯৭১-) অনলাইন স্ট্রিমিং ও খেলার জন্য ব্যবহৃত ইন্টারনেট প্রযুক্তি বিকাশে অবদান রাখেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী গেলোবটার। তাঁর উদ্ভাবনাগুলো কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করে যার মধ্যে রয়েছে জিফ (GIF)-এর জন্য আবশ্যক অ্যানিমেশন পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমেই লেখা বার্তা ও অনলাইন চ্যাটগুলো সচল থাকে।
ক্যাথরিন জনসন (১৯১৮-২০২০) পথিকৃৎ গণিতবিদ জনসন কৃত হিসাব-নিকাশের ভিত্তিতেই নাসা’র মহাকাশযাত্রা কার্যক্রম সাফল্য পেয়েছিলো। ১৯৬১ সালে তিনি প্রথম মহাশূন্যচারী আমেরিকান অ্যালেন শেফার্ডর মহাকাশযাত্রার পথ-পরিক্রমার হিসাব বের করেছিলেন। মহাশূন্য গবেষণায় জনসন ও অন্যান্য আফ্রো-আমেরিকান গণিতবিদ ও প্রকৌশলীদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৬ সালে হলিউডের তুমুল ব্যবসাসফল ছায়াছবি হিডেন ফিগার্স নির্মিত হয়।