Loading..

খবর-দার

০৮ মে, ২০২১ ০১:১৪ পূর্বাহ্ণ

স্টার্টআপের নীতিমালা তৈরি করবে সরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টার্টআপের নীতিমালা তৈরি করবে সরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী

 যুগান্তর প্রতিবেদন 
 ০৬ মে ২০২১, ০৮:৪৬ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
32Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
linkedin sharing button
স্টার্টআপের নীতিমালা তৈরি করবে সরকার: পরিকল্পনামন্ত্রী

বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপ খাত সম্ভাবনাময়। বিশেষ করে করোনা পরবর্তীতে সময়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এখাত বিশাল অবদান রাখতে পারে। আর এই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারের নীতি সহায়তা জরুরি। এক্ষেত্রে আগামী বাজেটেও সুনির্দিষ্ট কিছু ঘোষণা দরকার।

বৃহস্পতিবার এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) ভার্চুয়ালি এই আলোচনার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, বিএসইসি কমিশনার প্রফেসর ড. শেখ শামছুদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের।

ভিসিপিয়াব সভাপতি শামীম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান।

বক্তারা বলেন, করোনায় অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপের জন্য বিনিয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে অল্টারনেটিভ ফান্ড ম্যানেজারদের জন্য কর অব্যাহতি ও কেন্দ্রীয় থেকে তহবিল গঠন করতে হবে। 

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সরকার ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপ খাতকে সহযোগিতা করছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মিলে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা যৌথভাবে এমন পরিবেশ তৈরির পরিকল্পনা করছি, যেখানে স্টার্টআপগুলো সত্যিকারভাবে দেশের অর্থনীতিতে গুরূত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এছাড়াও উদ্যোক্তাদের টিকে থাকা ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা সহজ করতে প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি করবে সরকার। 

প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, স্টার্টআপে বিনিয়োগ বাড়ানো এবং যথাযথ নিয়মে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি জরুরি। এজন্য আমরা প্রতিনিয়তই নতুন আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করছি। তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে স্টার্টআপগুলো উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক মডেল ব্যবহার করে। শেয়ারবাজারে সম্পৃক্ততা এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা এসব ব্যবসাকে সহযোগিতায় কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য যাতে তারা দেশের অর্থনীতিতে সর্বাধুনিক উদ্ভাবন নিয়ে আসতে পারে।

শামীম আহসান বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আগামী ১৫ বছরে বিশ্বের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান ইমপ্যাক্ট তৈরিকারী ব্যবসায় উদ্যোগী হবে। আর বিশ্বের অধিকাংশ জনগণ এসব কোম্পানি থেকেই পণ্য ও সেবা কিনবেন। করোনায় কম ক্ষতিগ্রস্ত হতে এবং একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি তৈরিতে সহায়তা করবে। এই ইমপ্যাক্ট ইকোসিস্টেমকে সহায়ক নীতিমালা ও ট্যাক্স ছাড়ের মাধ্যমে দ্রুত প্রবৃদ্ধি ঘটাতে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থা যেমন অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে এগিয়ে আসতে হবে।

ড. শেখ শামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের অর্থনীতিতে নতুন স্টার্টআপ ব্যবসা তৈরিতে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। স্টার্টআপগুলোকে শুধু যে সব শহরে প্রযুক্তির সমৃদ্ধি রয়েছে, সেসব শহর আর উচ্চশিক্ষিত ও সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির কাছে সেবা পৌঁছলে হবে না। এর পরিবর্তে তাদের ব্যবসায়ে ভিন্নতা আনতে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। অধিকসংখ্যক মানুষের কাছে সেবা পৌঁছাতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফরাহ মো. নাছের বলেন, স্টার্টআপ এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে বর্তমান নীতিমালার অধীনে সম্ভব সর্বোচ্চ পরিমাণ সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইতোমধ্যেই ঋণ সুবিধার জন্য বাজারে চাহিদা তৈরি হয়েছে এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে ব্যাংকিং খাতকে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে।

আরিফ খান বলেন, আজকের স্টার্টআপগুলোই বাংলাদেশে আগামী দশকের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। গত ৫ বছরে সরকার প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে। এতে ধারাবাহিকতায় ক্রমবর্ধমান স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের প্রধান প্রতিবন্ধকতাগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। এইখাতে সম্ভাবনা কাজে লাগাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অংশীদারদের অনুরোধ জানাই। 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত, মাইক্রোসফটের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের প্রধান অংশীদার কর্মকর্তা আনহ ফাম, সহজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা কাদির, ভিসিপিয়াবের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন, চালডালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিম আলিম, বিডি ভেঞ্চারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিক-উল-আজম, মাসলিন ক্যপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ হাফিজ, অ্যালায়েন্স ক্যাপিটাল এ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএইচ আসাদুল ইসলাম এবং অ্যাথেনা ভেঞ্চার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব এইচ মজুমদার প্রমুখ।