Loading..

ম্যাগাজিন

০৮ মে, ২০২১ ০৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

আমেরিকানদের গল্প: একটি কমিউনিটি নতুন করে গড়ে তোলা

আমেরিকানদের গল্প: একটি কমিউনিটি নতুন করে গড়ে তোলা

এটি আমেরিকান নাগরিকদের নিয়ে চার খণ্ডের রেকর্ডিং সিরিজের তৃতীয় পর্ব। অন্যগুলো হলো সান্তার সহায়তাকারীর বংশধরট্যাক্সিচালক বাবা ও ছেলে এবং এক বিশেষ দায়িত্ব পাওয়া চ্যাপলিনের কাহিনী।

গল্প কেবল ক্যাম্প ফায়ারের চারপাশে বসে বা বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর সময় বলার বিষয় নয়। অনেক সময় একটি সময় বা স্থানকে চিহ্নিত করা যায় গল্প দিয়ে। কখনো তা তুলে ধরে সর্বজনীন সত্যকেও। এজন্যই বিভিন্ন দুঃখের গল্প, মজার গল্প এবং এমনকি হৃদয়কে নাড়া দেওয়া ভাবগম্ভীর গল্প সংরক্ষণ করে লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের ফোকলাইফ সেন্টার। এ লাইব্রেরির কথ্য ইতিহাসের সংগ্রহের সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। বিশ্বে মানব কণ্ঠের  বৃহত্তম একক সংগ্রহ এটাই।

প্রকল্পটি এসেছে রেডিও অনুষ্ঠানের প্রযোজক ডেভ আইসের মাথা থেকে। ২০০৩ সালে তিনি এর নাম দেন স্টোরি কোর। স্টোরি কোর হচ্ছে অনুদানের  অর্থে চলা একটি স্বাধীন অলাভজনক সংস্থা।

প্রথম প্রথম দু’জন ব্যক্তি নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল টার্মিনালের একটি রেকর্ডিং বুথে কথোপকথনের মাধ্যমে গল্পগুলো তুলে ধরতেন। এখন আটলান্টা এবং শিকাগোতেও সাউন্ড বুথ এবং মোবাইল রেকর্ডিং ব্যবস্থা যোগ করা হয়েছে। করোনা

করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর  স্টোরি কোর  ফোন ও কম্পিউটার দিয়ে  সাক্ষাত্কার নেওয়ার  একটি নতুন ব্যবস্থার সূচনা করে যার মাধ্যমে  সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ঘরবন্দি সময়ে আমেরিকানরা গল্প বলার একটা সুযোগ পান।

স্টোরি কোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কলিন রস বলেন, ‘অন্যদের কাহিনি শোনার মাধ্যমে আমরা বিশ্বব্যাপী মানবজাতির অভিন্ন ছবিটি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারি।…অন্যের কথা শোনা ভালোবাসার এক ধরনের বহিঃপ্রকাশ। ক্রমেই তা হয়ে উঠছে মানুষে মানুষে মমতা ও সহানুভূতি গড়ে তোলার এক জরুরি কৌশল।

শেয়ারআমেরিকা আমাদের পছন্দের গল্পগুলো তুলে ধরছে।এর মধ্যে একটি হচ্ছে হারিকেনের আঘাত কাটিয়ে উঠতে নিজের এলাকার মানুষকে সহায়তা করতে এক ব্যক্তির দৃঢ়সংকল্প নিয়ে।গল্পটি এরকম:

একটি  ক্যান খাবার নিয়ে কমিউনিটির  পাশে দাঁড়ানো

২০০৫ সালে হারিকেন ক্যাটরিনা বারনেল কোটলনের নিউ অরলিন্সের দারিদ্র্যপীড়িত পাড়াটির অনেকটাই ভাসিয়ে নিয়েছিল।তারপরের দীর্ঘ তিন বছর একটি ট্রেলারে কাটিয়েছিলেন তিনি।

প্রলয়ঙ্করী সেই ঝড়ের পর অন্য অনেকেই লোয়ার নাইন্থ ওয়ার্ড পাড়া ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। অনেক লোক আর ফিরে আসেননি। সেখানে কোটলন ঠিকই একটা প্রয়োজনীয় কাজ খুঁজে নিলেন। ধ্বংসস্তুপের মধ্যে এলাকার জন্য একটি বিপণি গড়ে তুললেন তিনি।

২০২০ সালে করোনা ভাইরাস আঘাত হানার পরে আবার দৃশ্যপটে এলো কোটলনের লোয়ার নাইন্থ ওয়ার্ড বিপণি। অসুস্থতা আর বেকারত্বের মুখোমুখি নুতন করে বিপর্যস্ত এলাকাবাসীকে সহায়তা করেছে এ বিপণি। বাজার কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের বিনামূল্যে খাবার দিয়েছে। কখনো কখনো আবার দিয়েছে ঋণ। কোটলন ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’ অনুষ্ঠানকে এ বিষয়ে বলেন, ‘আমি আমার সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে এটা করেছি।…তবে আমি রাতে খুব ভাল ঘুমাই। আমার কোনো আক্ষেপ নেই।’

স্টোরি কোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোটলনের মা লিলি প্রথম প্রথম ছেলের উদ্যোগ নিয়ে তার সংশয় হওয়ার কথা বলেন। সেই সঙ্গে তার প্রশংসাও করেন। মায়ের কথায়, ‘বারনেল কোথাও সম্ভাবনা থাকলে ঠিকই তা দেখে। অন্যরা হয়তো লক্ষ্য করে না।’

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি