Loading..

শিক্ষায় অগ্রযাত্রা

১৮ জুন, ২০২১ ০৮:৫২ অপরাহ্ণ

গন্ধক

গন্ধক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(সালফার থেকে পুনর্নির্দেশিত)
গন্ধক   ১৬S
Sulfur-sample.jpg
Sulfur Spectrum.jpg
Spectral lines of sulfur
পরিচয়
নাম, প্রতীকগন্ধক, S
উচ্চারণ/ˈsʌlfər/ SUL-fər
উপস্থিতিLemon yellow sintered microcrystals
পর্যায় সারণীতে গন্ধক
হাইড্রোজেন (other non-metal)

হিলিয়াম (noble gas)
লিথিয়াম (alkali metal)
বেরিলিয়াম (alkaline earth metal)

বোরন (metalloid)
কার্বন (other non-metal)
নাইট্রোজেন (other non-metal)
অক্সিজেন (other non-metal)
ফ্লোরিন (halogen)
নিয়ন (noble gas)
সোডিয়াম (alkali metal)
ম্যাগনেসিয়াম (alkaline earth metal)

অ্যালুমিনিয়াম (post-transition metal)
সিলিকন (metalloid)
ফসফরাস (other non-metal)
সালফার (other non-metal)
ক্লোরিন (halogen)
আর্গন (noble gas)
পটাশিয়াম (alkali metal)
ক্যালসিয়াম (alkaline earth metal)

স্ক্যানডিয়াম (transition metal)
টাইটানিয়াম (transition metal)
ভ্যানাডিয়াম (transition metal)
ক্রোমিয়াম (transition metal)
ম্যাঙ্গানিজ (transition metal)
লোহা (transition metal)
কোবাল্ট (transition metal)
নিকেল (transition metal)
তামা (transition metal)
দস্তা (transition metal)
গ্যালিয়াম (post-transition metal)
জার্মেনিয়াম (metalloid)
আর্সেনিক (metalloid)
সেলেনিয়াম (other non-metal)
ব্রোমিন (halogen)
ক্রিপ্টন (noble gas)
রুবিডিয়াম (alkali metal)
স্ট্রনসিয়াম (alkaline earth metal)


ইটরিয়াম (transition metal)
জিরকোনিয়াম (transition metal)
নাইওবিয়াম (transition metal)
মলিবডিনাম (transition metal)
টেকনিসিয়াম (transition metal)
রুথেনিয়াম (transition metal)
রোহডিয়াম (transition metal)
প্যালাডিয়াম (transition metal)
রুপা (transition metal)
ক্যাডমিয়াম (transition metal)
ইন্ডিয়াম (post-transition metal)
টিন (post-transition metal)
অ্যান্টিমনি (metalloid)
টেলুরিয়াম (metalloid)
আয়োডিন (halogen)
জেনন (noble gas)
সিজিয়াম (alkali metal)
বেরিয়াম (alkaline earth metal)
ল্যান্থানাম (lanthanoid)
সিরিয়াম (lanthanoid)
প্রাসিওডিমিয়াম (lanthanoid)
নিওডিমিয়াম (lanthanoid)
প্রমিথিয়াম (lanthanoid)
সামারিয়াম (lanthanoid)
ইউরোপিয়াম (lanthanoid)
গ্যাডোলিনিয়াম (lanthanoid)
টারবিয়াম (lanthanoid)
ডিসপ্রোসিয়াম (lanthanoid)
হলমিয়াম (lanthanoid)
এরবিয়াম (lanthanoid)
থুলিয়াম (lanthanoid)
ইটারবিয়াম (lanthanoid)
লুটেসিয়াম (lanthanoid)
হ্যাফনিয়াম (transition metal)
ট্যানটালাম (transition metal)
টাংস্টেন (transition metal)
রিনিয়াম (transition metal)
অসমিয়াম (transition metal)
ইরিডিয়াম (transition metal)
প্লাটিনাম (transition metal)
সোনা (transition metal)
পারদ (transition metal)
থ্যালিয়াম (post-transition metal)
সীসা (post-transition metal)
বিসমাথ (post-transition metal)
পোলোনিয়াম (post-transition metal)
এস্টাটিন (halogen)
রেডন (noble gas)
ফ্রান্সিয়াম (alkali metal)
রেডিয়াম (alkaline earth metal)
অ্যাক্টিনিয়াম (actinoid)
থোরিয়াম (actinoid)
প্রোটেক্টিনিয়াম (actinoid)
ইউরেনিয়াম (actinoid)
নেপচুনিয়াম (actinoid)
প্লুটোনিয়াম (actinoid)
অ্যামেরিসিয়াম (actinoid)
কুরিয়াম (actinoid)
বার্কেলিয়াম (actinoid)
ক্যালিফোর্নিয়াম (actinoid)
আইনস্টাইনিয়াম (actinoid)
ফার্মিয়াম (actinoid)
মেন্ডেলেভিয়াম (actinoid)
নোবেলিয়াম (actinoid)
লরেনসিয়াম (actinoid)
রাদারফোর্ডিয়াম (transition metal)
ডুবনিয়াম (transition metal)
সিবোরজিয়াম (transition metal)
বোহরিয়াম (transition metal)
হ্যাসিয়াম (transition metal)
মিটনেরিয়াম (unknown chemical properties)
ডার্মস্টেটিয়াম (unknown chemical properties)
রন্টজেনিয়াম (unknown chemical properties)
কোপার্নিসিয়াম (transition metal)
ইউনুনট্রিয়াম (unknown chemical properties)
ফেরোভিয়াম (unknown chemical properties)
ইউনুনপেন্টিয়াম (unknown chemical properties)
লিভেরমোরিয়াম (unknown chemical properties)
ইউনুনসেপটিয়াম (unknown chemical properties)
ইউনুনকটিয়াম (unknown chemical properties)
O

S

Se
ফসফরাসগন্ধকক্লোরিন
পারমাণবিক সংখ্যা16
আদর্শ পারমাণবিক ভর32.065(5)
মৌলের শ্রেণীঅধাতু
শ্রেণী, পর্যায়, ব্লক১৬, পর্যায় 3, p-ব্লক
ইলেকট্রন বিন্যাস[Ne] 3s2 3p4
per shell: 2, 8, 6
ভৌত বৈশিষ্ট্য
দশাকঠিন
গলনাঙ্ক388.36 কে ​(115.21 °সে, ​239.38 °ফা)
স্ফুটনাঙ্ক717.8 K ​(444.6 °সে, ​832.3 °ফা)
ঘনত্ব (ক.তা.-র কাছে)(alpha) 2.07 g·cm−৩ (০ °সে-এ, ১০১.৩২৫ kPa)
(beta) 1.96 g·cm−৩
(gamma) 1.92 g·cm−৩
তরলের ঘনত্বm.p.: 1.819 g·cm−৩
পরম বিন্দু1314 কে, 20.7 MPa
ফিউশনের এনথালপি(mono) 1.727 kJ·mol−১
বাষ্পীভবনের এনথালপি(mono) 45 kJ·mol−১
তাপ ধারকত্ব22.75 J·mol−১·K−১
বাষ্প চাপ
P (Pa) ১০ ১০০ ১ k ১০ k ১০ k
at T (K) 375 408 449 508 591 717
পারমাণবিক বৈশিষ্ট্য
জারণ অবস্থা6, 5, 4, 3, 2, 1, -1, -2 ​strongly acidic oxide
তড়িৎ-চুম্বকত্ব2.58 (পলিং স্কেল)
আয়নীকরণ বিভব
(আরও)
সমযোজী ব্যাসার্ধ105±3 pm
ভ্যান ডার ওয়ালস ব্যাসার্ধ180 pm
বিবিধ
কেলাসের গঠনorthorhombic
Orthorhombic জন্য কেলাসের গঠন{{{name}}}
তাপীয় পরিবাহিতা(amorphous)
0.205 W·m−১·K−১
তড়িৎ রোধকত্ব ও পরিবাহিতা২০ °সে-এ: (amorphous)
2×1015  Ω·m
চুম্বকত্বdiamagnetic[১]
আয়তন গুণাঙ্ক7.7 GPa
(মোজ) কাঠিন্য2.0
ক্যাস নিবন্ধন সংখ্যা7704-34-9
সবচেয়ে স্থিতিশীল আইসোটোপ
মূল নিবন্ধ: গন্ধকের আইসোটোপ
iso NA অর্ধায়ু DM DE (MeV) DP
32S 95.02% S 16টি নিউট্রন নিয়ে স্থিত হয়
33S 0.75% S 17টি নিউট্রন নিয়ে স্থিত হয়
34S 4.21% S 18টি নিউট্রন নিয়ে স্থিত হয়
35S syn 87.32 d β 0.167 35Cl
36S 0.02% S 20টি নিউট্রন নিয়ে স্থিত হয়
· তথ্যসূত্র

গন্ধক তথা সালফার (Sulfur or sulphur (IPA: /ˈsʌlfə/)) প্রাচীনকাল থেকে পরিচিত একটি মৌলিক পদার্থ। বৈশিষ্টপূর্ণ হলুদ রঙের কারণে একে সহজেই চেনা যায়। অজৈব এবং জৈব উভয় রসায়নে এর গুরুত্ব অপরিসীম। সালফার জীবনের জন্যে অপরিহার্য। কুড়িটি মোট অ্যামিনো অ্যাসিডের মধ্যে দুটি অ্যামিনো অ্যাসিডে সালফার আছে।

সালফার একটি বহুযোজী অধাতব রাসায়নিক পদার্থ। এর পারমাণবিক সংখ্যা ১৬ ও চিহ্ন "S"। সালফার প্রকৃতিতে বিশুদ্ধ রূপে অথবা সালফাইড বা সালফেট রূপে পাওয়া যায়। বহু ধাতব খনিজ প্রাকৃতিতে প্রধানতঃ সালফাইড রূপে বিদ্যমান (যেমন পাইরাইট, চাল্কোপাইরাইট)।

বিশুদ্ধ সালফারের তিনটি রুপভেদঃ

  • হলুদ সালফার
  • লাল সালফার
  • কালো সালফার

এদের মধ্যে হলুদ সালফার সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। বিশুদ্ধ হলুদ সালফার নিজে হলুদ বর্ণের গন্ধহীন স্বাদহীন কেলাসিত পদার্থ। কিন্তু সালফাইড বিশেষ করে হাইড্রোজেন সালফাইড "পঁচা" গন্ধ বিশিষ্ট (খুব সম্ভবতঃ গন্ধক নামের উৎস) এবং সায়ানাইডের থেকেও বিষাক্ত।

সার কারখানায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হলেও, সালফারের অন্যান্য ব্যবহারগুলির মধ্যে কয়েকটি হল

  • গান পাউডার (বারুদ)
  • দেয়াশলাই
  • কীটনাশক
  • অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল
  • রবার ভাল্কানাইজেসন

আবিষ্কারের ইতিহাস

অনেক আগে থেকেই মানুষ গন্ধকের কথা জানতো। এর বেশ কিছু প্রমাণ রয়েছে। যেমন, প্রাচীন গ্রিসে মহাকবি হোমারের সময়ে সালফার পুড়িয়ে প্রাপ্ত পদার্থ দ্বারা ঘরবাড়ি জীবাণুমুক্ত করা হতো। এই দহনের ফলে যে প্রকৃতপক্ষে সালফার ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হতো তা কিন্তু তারা জানতো না। এ হিসেবে সালফার তথা গন্ধক অনেক প্রাচীন। তখনকার সময়ে গন্ধকের আরও কিছু ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে রঙ্জন বস্তু প্রস্তুতিতে, সুতোর উপর বিশেষ প্রলেপ তৈরীতে এবং আতসবাজীর কাজে। শেষোক্ত ব্যবহারটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ধারণা করা হয় বাইজানটিয়াম অঞ্চলে খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে গ্রিক-ফায়ার নামে একটি বস্তু উদ্ভাবিত হয় যা আতসবাজীতে ব্যবহৃত হতো। এর উপাদানের মধ্যে ছিল একভাগ চূর্ণীত গন্ধক, দুই ভাগ কয়লা এবং ৬ ভাগ সোরা। বর্তমানকালে যে ধোঁয়াসৃষ্টিকারী কৃষ্ণ বর্ণের বারুদ প্রস্তুত করা হয় তার সাথে সেই পদার্থের উপাদানের বিশেষ কোন পার্থক্য নেই।

মধ্যযুগেও গন্ধক ব্যবহারের একটি বিশেষ তাৎপর্য ছিল। কারণ এটি দাহ্য এবং যেকোন পদার্থের সাথে সহজেই যুক্ত হতে পারে। কিমিয়াবিদরা মনে করতেন গন্ধক একটি দাহ্য মৌল এবং সমস্ত ধাতুর মৌলিক উপাদান। অনেকে এর এমন ধর্মের কথা উল্লেখ করেছেন যা কখনই সম্ভব নয়। অবশ্য অনেক কিমিয়াবিদই আবার এর ধর্মের উপযুক্ত ব্যাখ্যা প্রদানে সমর্থ হয়েছিলেন। তবে এর প্রকৃত ব্যাখ্যা প্রদান সম্ভব হয় ঊনবিংশ শতাব্দীতে। এ সময় বিজ্ঞানী ল্যাভয়সিয়ের প্রথম নির্ধারণ করেন যে এটি মৌলিক পদার্থ। কিন্তু এর সঠিক গাঠনিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে সন্দেহ রয়েই গিয়েছিল। ১৮০৮ সালে বিজ্ঞানী এইচ. ডেভি পরীক্ষা করে দেখতে পান, সসাধারণ অবস্থায় সব গন্ধকের সাথেই সামান্য পরিমাণ অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন যুক্ত থাকে। এতে এর মৌলিকত্ব নিয়ে আবার প্রশন তোলা হয়। অবশেষে ১৮০৯ সালে গে-লুস্যাক নিঃসন্দেহে প্রমাণ করেন যে এটি মৌলিক। ডেভির সন্দেহের কারণ ছিল বিভিন্ন স্থানে প্রাপ্ত গন্ধকের মধ্যে অক্সিজেনের পরিমাণের পার্থক্য হতো। আধুনিক রসায়নের ভিত্তিতে বলা যায়, ডেভি গন্ধকের সাথে যে অক্সিজেন পেয়েছিলেন তা গন্ধকের অক্সাইড থেকে পাওয়া যায়নি, বরং তা তিনি পেয়েছিলেন ধাতব অক্সিসালফাইড যৌগ থেকে।

ধর্ম

ভৌত ধর্ম

সালফার একটি বহুরূপী পদার্থ, বিভিন্ন রাসায়নিক গঠন-এর জন্য বিভিন্য বহু রূপীতা দেখায়। এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হল অক্টা সালফার। অক্টা-সালফার নরম, হালকা হলুদ, স্বাধারণ অবস্থায় কঠিন, ম্যাচের কাঠির মত হালকা গন্ধযুক্ত পদার্থ।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি