Loading..

মুজিব শতবর্ষ

১৯ জুন, ২০২১ ০৫:১৫ অপরাহ্ণ

৭ই মার্চের ভাষনের কয়েকটি দিক ওকিছু বিশ্লেষণ

৭ই মার্চের ভাষনের কয়েকটি দিক ওকিছু বিশ্লেষণ

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ ১৯৭১এ ১৮ মিনিটের ভাষণটি তার স্বভাব সুলব তাৎক্ষানিক বক্তব্য ছিল,কোন পুর্বে তৈরী বক্তৃতা নয়। এটিকে অনেকেই রাজনীতির কবিতা  বলে থাকেন।তুলনা করা হয় আব্রাহাম,লিংকন, উইনস্টন চার্চিল, মার্টিং লুথার কিং ও পেরিক্লিসের মহতি যুগান্তকারী ভাষণগুলোর সাথে।এর মহত্ব ও বিরাটত্বের কারণে ২০১৮সনে  জাতিসংঘের এডুকেশন, কালচার ও সাইন্টিফিক অর্গানাইজেশন  বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের অসাধারণ ভাষণটিকে পৃথিবীর অন্যতম ওয়াল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতিকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ভাষণটির অসাধারণত্ব,এর স্বতঃস্ফুর্ততা,নির্ভিকতা,সম্যক উপলদ্ধি ও তেজস্বী উচ্চারণ প্রকৃতপক্ষে বাঙময় করে তোলে।ভাষণটি অবশ্যই বহুমাত্রিক গুরুগম্ভীর ও ওজনদান- পরোক্ষভাবে নয় অথচ প্রকৃতপক্ষে বাঙালী ও শেখ  মুজিবের স্বপ্ন সাধনার সাধিনতা ও মুক্তির সুস্পষ্ট উচ্চারণ এটি।সামগ্রিক বিচারে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি স্বাধিনতাকে সংজ্ঞায়িত করেছে, চুড়ান্তভাবে স্বধীনতা অর্জনের  দিক নির্দিশনা দিয়েছে,প্রকাশ করছে স্বাধীন  বাংলাদেশের সংবিধানের রূপরেখা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্বাধীনতা এবং কল্যাণ রাষ্ট্রে বিশেষ করে  কম ভাগ্যবানদের অর্থনৈতিক মুক্তিসহ সোনার বাংলা  গড়ে তোলা।দুঃখী মানূষের মুখে হাসি ফোটানোর বলিষ্ঠ প্রত্যয় আছে এ ভাষণের বাক্যগুলোর অন্তরে অন্তরে।স্বাধীনতা সংগ্রামে চুড়ান্ত আঘাতে বিজয়ের ফসল ঘরে তোলার জন্য বঙ্গবন্ধু বললেন, “আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি- তোমাদের যার কাছে যা আছে তাই নিয়ে—“ ,প্রতিপক্ষ দখলদার বাহিনীর প্রতিপক্ষ দখলদার বাহিনীর সদস্যদের  নিরুৎসাহিত করার মানসে বললের যে,তারা আমাদের ভাই এবং তারা যেন ব্যারাকে ফিরে যান।“আর তোমরা গুলি করার চেষ্টা  করোনা।সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বধীনতার সংগ্রাম।“ অন্যথা করলে কি হবে সেরকমভাবেই তিনি চাপ দিলেন, আমরা ভাতে মারব,আমরা পানিতে মারব।; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের উদাত্ত আহবান  “ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল”স্বাধীনতার মহামন্ত্রে উজ্জীবিত লক্ষ কোটি বাঙালীকে বাশের লাঠি আর কুড়াল নিয়ে ২৬ সশে মার্চ প্রথম প্রহরে সুসজ্জিত পাকিস্তানী দখলদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী প্রত্য্য নিয়ে রাস্তায় নেমে আসার নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নাই।  


আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি