Loading..

খবর-দার

১০ অক্টোবর, ২০২১ ০৮:৫২ অপরাহ্ণ

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজন যেভাবে

চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীদের প্রতি বিষয়ে ৩২ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে শিক্ষার্থীদের। এরমধ্যে রচনামূলকে ২০ নম্বর ও নৈর্ব্যত্তিকে থাকবে ১২ নম্বর।  আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৪৫ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এরমধ্যে ৩০ নম্বর রচনামূলক পরীক্ষা ও ১৫ নম্বরের নৈর্ব্যাত্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। রচনামূলক ও নৈব্যাক্তিকের নম্বরকে ১০০ নম্বরে রূপান্তর করে প্রাপ্ত নম্বরে রূপান্তর করে প্রাপ্ত নম্বর নির্ধারণ করা হবে। 

এসব তথ্য জানিয়ে রোববার (১০ অক্টোবর) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজন প্রকাশ করেছে ঢাকা বোর্ড।

এসএসসির নম্বর বিভাজন যেভাবে :

ঢাকা বোর্ড প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতরগণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষায় রচনামূলক অংশে শিক্ষার্থীদের মোট ৩২ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এরমধ্যে রচনামূলকে ২০ নম্বর ও নৈর্ব্যত্তিকে ১২ নম্বরের পরীক্ষা হবে। 

বিজ্ঞান বিভাগেরর বিষয়গুলোতে রচনামূলক অংশে ৮টি প্রশ্ন থাকলেও যেকোন দুইটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষার্থীদের। নম্বর ১০ করে ২০। আর নৈর্ব্যত্তিকে ২৫ টি প্রশ্নের মধ্যে ১২টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। নৈর্ব্যাক্তিকে নম্বর ১২। এ ৩১ নম্বরে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের। 

বোর্ড বলছে, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ২০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে ও নৈর্ব্যত্তিকের ১২ নম্বরকে ১৫ নম্বরে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীদের মোট নম্বর নির্ধারণ করা হবে। 

এদিকে এসএসসির মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মোট পরীক্ষার হবে ৪৫ নম্বরের। রচনামূলক অংশে ৩০ নম্বর ও নৈর্ব্যত্তিকে ১৫ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এরমধ্যে রচনামূলক অংশে মোট ১১টি প্রশ্ন থাকলেও উত্তর করতে হবে যেকোন তিনটি প্রশ্ন। প্রতিটির মান ১০ নম্বর। আর নৈর্ব্যত্তিকে ৩০টি প্রশ্ন থাকলেও উত্তর দিতে হবে ১৫টি প্রশ্নের। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ১ নম্বর করে মোট নম্বর ১৫।

বোর্ড জানিয়েছে, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের ৩০ নম্বরকে ৭০ নম্বরে ও নৈর্ব্যত্তিকের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীদের মোট নম্বর নির্ধারণ করা হবে। 

প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট। এর মধ্যে রচনামূলকে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ও নৈর্ব্যত্তিকের জন্য সময় থাকবে ১৫ মিনিট।

এইচএসসির নম্বর বিভাজন যেভাবে :

এইচএসসি পরীক্ষার নম্বর বিভাজন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিজ্ঞান বিভাগের প্রতি পত্রের পরীক্ষা হবে মোট ৩২ নম্বরে। এরমধ্যে রচনামূলকে ২০ ও নৈব্যাক্তিকে থাকবে ১২ নম্বর। রচনামূলক অংশে প্রতিটি পত্রে  মোট ৮টি প্রশ্ন থাকবে। এরমধ্যে ২টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রতিটিতে ১০ নম্বর। আর নৈর্ব্যত্তিকে ২৫টি প্রশ্ন থাকবে, এরমধ্যে উত্তর করতে হবে ১২টির। প্রতিটির মান ১ নম্বর।

বোর্ড বলছে, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ২০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে ও নৈর্ব্যত্তিকের ১২ নম্বরকে ১৫ নম্বরে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীদের মোট নম্বর নির্ধারণ করা হবে।

আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতিটি পত্রের মোট পরীক্ষা হবে ৪৫ নম্বরে। এর মধ্যে রচনামূলকে থাকবে ৩০ নম্বর আর নৈর্ব্যত্তিকে থাকছে ১৫ নম্বর। রচনামূলক অংশে ১১টি প্রশ্ন থাকলেও উত্তর করতে হবে ৩টি প্রশ্নের। প্রতিটিতে ১০ নম্বর। আর নৈর্ব্যত্তিকে ৩০টি প্রশ্নের মধ্যে উত্তর করতে হবে ১৫টির। প্রতিটির মান ১ নম্বর। 

মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের ৩০ নম্বরকে ৭০ নম্বরে ও নৈর্ব্যত্তিকের ১৫ নম্বরকে ৩০ নম্বরে রূপান্তর করে শিক্ষার্থীদের মোট নম্বর নির্ধারণ করা হবে।