সহকারী শিক্ষক
২৬ অক্টোবর, ২০২১ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষায় গবেষণা ও জার্নালের ভূমিকা
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষায় গবেষণা ও জার্নালের ভূমিকা
শিক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার। শিক্ষা ছাড়া উন্নত বিশ্বের কোন দেশই সার্বিক দিকে সফল হতে পারেনি। তেমনি আমরাও শিক্ষা ছাড়া উন্নত হতে পারব না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করা শিক্ষক নিয়োগের কথা বলেছিলেন। তার কথা দীর্ঘদিন পর বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে। নিশ্চয় এটা শিক্ষাক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন করতে পারবে বলে আমরা আশা করতে পারি।
তবে সবকিছুর আগে যথাযথ মর্যাদাসহ শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করতে হবে। কোন শিক্ষক যেনো হীনমন্যতায় না ভোগে সে দিকেও বিশেষ নজর রাখতে হবে।
আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে তাকালে দেখতে পাই, তারা সমস্যা সমাধানে প্রথমে গবেষণার দিকে গুরুত্ব প্রদান করেছেন এবং গবেষণার মাধ্যমে তারা সকল সমস্যা অতি সুন্দর ভাবে উত্তরণের ব্যবস্থা করেছেন৷ আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রেও নানাবিধ সমস্যা রয়েছে।
যেমন-শিক্ষকদের নানাবিধ সমস্যা, শ্রেণি কক্ষের অপ্রতুলতা, শ্রেণি কক্ষ অব্যস্থাপনা, বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক না থাকা, ছাত্র-ছাত্রীর অধিক্য, ছাত্র-ছাত্রীদের অনিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসা, ছাত্র অনুপাতে শিক্ষক না থাকা, শিক্ষিত বা বিদ্যানুরাগী পরিচালনা কমিটি না থাকা, সঠিক ভাবে মনিটরিংয়ের অভাব ইত্যাদি ইত্যাদি। এখানে আমরা আমাদের সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে যদি ছাত্র, শিক্ষক ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বা যাদের সমন্বয়ে একটি সমস্যা সমাধানের পথ বের করা যায় তাদের দিয়ে সমস্যা সমাধানে একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ে গবেষণার ব্যবস্থা থাকে তাহলে কোন কারণে সমস্যার সৃষ্টি বা এর উত্তরণের সহজ পথ খুঁজে বের করতে পারি।
তাই শিক্ষার সমস্যা সমাধানে গবেষণার ব্যবস্থা রাখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে যদি প্রতি তিন মাস পরপর বা সুবিধামত সময়ে উন্নত বিদ্যালয়ের সচিত্র প্রতিবেদন, বিদ্যালয়ের ভাল কাজ বা সমস্যা সম্পর্কিত বাস্তব বিষয় গুলো তুলে ধরার জন্য ছাত্র, শিক্ষক, বা মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য/প্রতিবেদন গুলোর সমন্বয়ে একটি জার্নাল বের করে প্রতি বিদ্যালয়ে দেওয়া হয় তাহলে ভাল কাজ গুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে৷ যা শিক্ষার উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমি মনে করি।
বর্তমানে বাংলাদেশে অনুকরণ করার মত এখন অনেক উন্নত প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। তারা কি ভাবে উন্নত হলো তার একটি সচিত্র প্রতিবেদন অন্যান্য বিদ্যালয়গুলো উন্নয়নের জন্য রোল মডেল হিসেবে নিঃসন্দেহে কাজ করবে।