Loading..

খবর-দার

১১ এপ্রিল, ২০২০ ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ

বিজ্ঞান চর্চা । স্নায়ুকোষ বা নিউরন

অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের পঞ্চম অধ্যায়ে ‘স্নায়ুুকোষ বা নিউরন’ সম্পর্কে আলোচনা আছে]

স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একককে স্নায়ুকোষ বা নিউরন বলে। নিউরন মানবদেহের দীর্ঘতম কোষ। নিউরন দুটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত। যথা—

১. কোষদেহ এবং ২. প্রলম্বিত অংশ।

১. কোষদেহ : কোষদেহ নিউরনের প্রধান অংশ। কোষদেহ বিভিন্ন আকৃতির হয়, যেমন—গোলাকার, ডিম্বাকার বা নক্ষত্রাকার। কোষদেহ কোষ আবরণী, সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস দ্বারা গঠিত। এই কোষে সেন্ট্রিওল থাকে না। তাই এরা অন্যান্য কোষের মতো বিভাজিত হয় না।

২. প্রলম্বিত অংশ : কোষদেহ থেকে উৎপন্ন শাখা-প্রশাখাকে প্রলম্বিত অংশ বলে। প্রলম্বিত অংশ দুই প্রকার। যথা—ক) অ্যাক্সন এবং খ) ডেনড্রন।

ক) অ্যাক্সন : কোষদেহ থেকে উৎপন্ন লম্বা সুতার মতো অংশকে অ্যাক্সন বলে। অ্যাক্সনের যে প্রান্তে কোষদেহ থাকে তার বিপরীত প্রান্ত থেকে শাখা বের হয়। সাধারণত একটি নিউরনে একটি মাত্র অ্যাক্সন থাকে।

খ) ডেনড্রন : কোষদেহের চারদিক থেকে উৎপন্ন শাখাগুলোকে ডেনড্রন বলে। এগুলো বেশি লম্বা হয় না। ডেনড্রন থেকে সৃষ্ট শাখাগুলোকে ডেনড্রাইট বলে। এদের দ্বারা স্নায়ুতাড়না নিউরনের দেহের দিকে প্রবাহিত হয়। একটি স্নায়ুকোষের অ্যাক্সন অন্য একটি স্নায়ুকোষের ডেনড্রাইটের সঙ্গে মিলিত হওয়ার স্থানকে সিন্যাপস বলে। সিন্যাপসের মাধ্যমেই স্নায়ুুতাড়না এক স্নায়ুকোষ থেকে অন্য স্নায়ুুকোষে প্রবাহিত হয়। উদ্দীপনা বহন করা, প্রাণীদেহের ভেতরের ও বাইরের পরিবেশের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করা, প্রাণীদেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন করা, মস্তিষ্কে স্মৃতিধারণ করা, চিন্তা করা ও বিভিন্ন কাজের নির্দেশ দেওয়া এবং পরিচালনা করা নিউরনের কাজ।