Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১১:৪৮ অপরাহ্ণ

অনলাইন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০২০

অনলাইন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা২০২০

জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় দেশব্যাপী অনলাইন ভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য শিল্পকলা কর্তৃক চিঠি আমরা বিদ্যালয়ে পাই। কিন্তু বিষয়টি নতুন বিধায় কেউ অংশগ্রহণ করতে রাজী হয় না। কীভাবে কী করতে হবে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারছিল না। আমি শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সব ধরণের সহযোগীতার আশ্বাস দেই। সুনামগঞ্জ জেলায় প্রথমে জুম সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি দুইটি বিভাগে প্রথমসহ তিনটি পুরস্কার আমরা লাভ করি। সিলেট বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় জুম সফটওয়্যার ব্যবহার না করে রেকডিং করে পাঠানোর কথা বলা হয়। আমি নিজে তাদের আবৃত্তি ও ৭মার্চের ভাষণ রেকডিং করে নিজেই এডিটিং এর কাজ সম্পন্ন করে সিলেট বিভাগে প্রেরণ করি। সিলেট বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় আমাদের অবস্থান নিম্নে তুলে ধরা হল।

অনলাইন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন: জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় দেশব্যাপী অনলাইন ভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজনের অংশ হিসেবে সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজিত অনলাইন ভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আজ (২৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২টায় সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কশিনারের কার্যালয় সিলেটের আয়োজনে এবং জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেটের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি। জেলা কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক সিলেট এম কাজী এমদাদুল ইসলাম। সংগীত, আবৃত্তি ও ৭ই মার্চের ভাষণ এই তিনটি বিষয়ের দুটি গ্রুপে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। সংগীত ‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে সিলেটের সুস্মিতা তালুকদার মুন্না, দ্বিতীয় হবিগঞ্জের জয়দীপ দাশ গুপ্ত, তৃতীয় সুনামগঞ্জের আদ্রিতা পন্ডিত। সংগীত ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে সিলেটের অর্পিতা তালুকদার অর্না, দ্বিতীয় সুনামগঞ্জের শ্রেয়া চৌধুরী কুহু, তৃতীয় মৌলভীবাজারের তনুশ্রী পাল শ্রেয়া। আবৃত্তি ‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে সুনামগঞ্জের সেজঁতি তরফদার হৃদি, দ্বিতীয় মৌলভীবাজারের অভিক দেব, তৃতীয় হবিগঞ্জের রুকনিন ছাদিদ চৌধুরী। আবৃত্তি ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে মৌলভীবাজারের স্বাগতা সাহা, দ্বিতীয় সিলেটের ঋতশ্রী দে, তৃতীয় হবিগঞ্জের দেবশ্রী ভট্টাচার্য্য। ৭ই মার্চের ভাষণ ‘ক’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে সুনামগঞ্জের শ্রীপর্ণা দে, দ্বিতীয় সিলেটের তাহসিন হায়দার অংকন, তৃতীয় হবিগঞ্জের আরিয়ান উদ্দিন আহমেদ। ‘খ’ গ্রুপে প্রথম হয়েছে সিলেটের সাদমান সাকিব নাবিল, দ্বিতীয় সুনামগঞ্জের আইভি তাবাসসুম নুহা এবং তৃতীয় সুনামগঞ্জের অয়ন তালুকদার জিৎ। পুরস্কার বিতরণী শেষে প্রতি বিষয় ও গ্রুপের প্রথম স্থান অর্জনকারীরা নিজ নিজ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।

যেখানে আমাদের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত ছিল সেখান জাতীয় পর্যায়ে ছাতক সরকারি বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। একাজের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে পেরেছি বিধায় খুব আনন্দ লাগছে। জাতীয় পর্যায়ে ভাল কিছু করতে পারলে আরও ভাল লাগবে। সবার দোয়া কামনা করছি যেন জাতীয় পর্যায়ে ভাল করতে পারি।
এটিই ছিল আমার উদ্ভাবনের গল্প।