Loading..

খবর-দার

১৭ অক্টোবর, ২০২০ ১১:৩১ অপরাহ্ণ

২০২০-২১ কর বর্ষে ব্যক্তি করদাতার করের বোঝা কমবে
২০২০-২১ কর বর্ষে ব্যক্তি করদাতার করের বোঝা কমবে
========================
২০২০-২১ বাজেট-এ ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে তিন লাখ টাকায় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এবং কর হার ৫% দিয়ে শুরু করা হবে। আগে কর গণনা শুরু হতো ১০% দিয়ে। এছাড়া কর ধাপেও পরিবর্তন এসেছে।

বিগত কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন মহল থেকে করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি করার দাবি করে হচ্ছিল।

২০১৫-১৬ অর্থ বছরের পর থেকে করমুক্ত আয়ের সীমা আর বৃদ্ধি করা হয়নি। দেশ উন্নত হয়েছে এবং মুদ্রাস্ফিতির প্রভাবও ছিল। এসব কারণে করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি করার দাবি করা হয়েছিলো। কিন্তু কোনো বাজেটেই তা আর রাখা হত না।

এবার করোনাভাইরাসের প্রকোপে বাংলাদেশে ২৬ মার্চ থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য সব বন্ধ হয়ে যায়। মানুষ কয়েক মাসের জন্য ঘরে বন্দি হয়। ব্যবসা-বাণিজ্য সচল না থাকার কারণে তখন অনেকেই চাকরি হারান। আবার যাদের চাকরি টিকে যায় তারা বেতন কম পাচ্ছিলেন। এর ফলে তাদের আয়ে প্রভাব পরে।

এসব কারণে এবার বাজেট পাশ হওয়ার আগেই করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি করার দাবি সামনে চলে আসে। এবং শেষ পর্যন্ত ব্যক্তি করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা যেমন একদিকে বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক তেমনি আরেক দিকে কর হারও হ্রাস পেয়েছে।

করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে যারা এ বছর নতুন করে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতেন তাদের যদি তিন লাখ টাকার নিচে কর যোগ্য আয় থাকে তাহলে তাদের আর কর দিতে হবে না।
আবার যারা বিগত বছর আড়াই লাখ টাকা করযোগ্য আয় অতিক্রম করার ফলে রিটার্ন দিয়েছিলেন কিন্তু এ বছর তাদের করযোগ্য আয় তিন লাখ টাকা অতিক্রম করেনি তাদেরকেও কর দিতে হবে না।

অর্থাৎ এর ফলে তারা করের হাত থেকে বেঁচে গেলেন।

আর যাদের করযোগ্য আয়ের পরিমাণ বেশি তারাও করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি করার ফলে সুবিধা পাবেন। কারণ, এ বছর তারা যখন কর গণনা করবেন তখন তিনি তিন লাখ টাকা বাদ দিয়ে তারপর কর ধাপ অনুযায়ী কর হার ব্যবহার করে করদায় বের করবেন।

এর ফলে প্রথমেই তিনি পঞ্চাশ হাজার টাকার ওপর করমুক্ত সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ এখানেও করের বোঝা কমলো।

আরেকটি বড় পরিবর্তন এ বছর এসেছে, কর হার ১০% এর স্থলে ০৫% দিয়ে শুরু হবে।

উপরে আমরা বলেছি একজন ব্যক্তি করদাতার করযোগ্য আয় যদি তিন লাখ টাকা অতিক্রম করে তাহলে তাকে কর দিতে হবে।
আগে করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে প্রথম চার লাখ টাকার উপর ১০% কর দিতে হত। এখন তিন লাখ টাকা অতিক্রম করার পর প্রথম এক লাখ টাকার ওপর ৫% কর দিতে হবে।

তার পরবর্তী তিন লাখ টাকার উপর ১০% কর দিতে হবে। অর্থাৎ এখানেও প্রথম এক লাখ টাকার উপর অর্ধেক কর কমবে।

করোনাভাইরাসের কারণে মানুষ যখন গৃহবন্দি তখন জাতীয় সংসদে বাজেট পাশ হয়। তখন মানুষ জীবিকা চালানো নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিলেন। কখন চাকরি চলে যায় বা বেতন কমানোর খবর আসে তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন অনেকেই।

এর মধ্যে দুই ঈদে অনেকেই বোনাস পাননি। আর যারা চাকরি না করে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের আয় একদমই বন্ধ ছিল।

এমন একটা সময়ে করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি এবং কর হার হ্রাস করার খবর ব্যক্তি করদাতাদের স্বস্তি দিয়েছে।