সহকারী অধ্যাপক
০৮ মে, ২০২৪ ০৭:১৭ পূর্বাহ্ণ
যিনি সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন…. আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপপুঞ্জ দ্বারা সুশোভিত করেছি…
যিনি
সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন…. আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপপুঞ্জ দ্বারা সুশোভিত
করেছি…
الَّذِیۡ خَلَقَ
الۡمَوۡتَ وَ الۡحَیٰوۃَ لِیَبۡلُوَکُمۡ اَیُّکُمۡ اَحۡسَنُ عَمَلًا ؕ وَ هُوَ
الۡعَزِیۡزُ الۡغَفُوۡرُ
সূরাঃ
আল-মুলক سورة الملك আয়াতঃ ২-৫ মাক্কী
যিনি
মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন যাতে তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে পারেন যে, কে
তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতিশয়
ক্ষমাশীল। আল-বায়ান
যিনি
সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন- ‘আমালের দিক দিয়ে তোমাদের মধ্যে
কোন্ ব্যক্তি সর্বোত্তম? তিনি (একদিকে যেমন) মহা শক্তিধর, (আবার
অন্যদিকে) অতি ক্ষমাশীল। তাইসিরুল
যিনি
সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা
করার জন্য - কে তোমাদের মধ্যে কর্মে উত্তম? তিনি
পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল। মুজিবুর রহমান
[He] who created death
and life to test you [as to] which of you is best in deed - and He is the
Exalted in Might, the Forgiving - Sahih International
২.
যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদেরকে পরীক্ষা
করার জন্য—কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম? তিনি
পর্যক্রমশালী, ক্ষমাশীল।
তাফসীরে
জাকারিয়া
(২) যিনি সৃষ্টি
করেছেন মৃত্যু ও জীবন তোমাদেরকে পরীক্ষা করবার জন্য; কে
তোমাদের মধ্যে কর্মে সর্বোত্তম?[1] আর তিনি
পরাক্রমশালী, বড় ক্ষমাশীল।
[1] روح (আত্মা)
একটি এমন অদৃশ্যমান বস্তু যে, যে দেহের সাথে
তার সম্পর্ক বহাল থাকে, তাকে জীবিত বলা হয়। আর যে দেহ হতে
তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়, তাকে মৃত্যুর
শিকার হতে হয়। জীবনের পর রয়েছে মৃত্যু। আল্লাহ তাআলা ক্ষণস্থায়ী এই জীবনের ব্যবস্থা
এই জন্য করেছেন, যাতে তিনি পরীক্ষা করতে পারেন যে, এই
জীবনের সদ্ব্যবহার কে করে? যে এ জীবনকে ঈমান ও আনুগত্যের কাজে
ব্যবহার করবে, তার জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান এবং
যে এর অন্যথা করবে, তার জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি।
তাফসীরে
আহসানুল বায়ান
৩ الَّذِیۡ خَلَقَ سَبۡعَ
سَمٰوٰتٍ طِبَاقًا ؕ مَا تَرٰی فِیۡ خَلۡقِ الرَّحۡمٰنِ مِنۡ تَفٰوُتٍ ؕ فَارۡجِعِ
الۡبَصَرَ ۙ هَلۡ تَرٰی مِنۡ فُطُوۡرٍ
যিনি
সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোন অসামঞ্জস্য
দেখতে পাবে না। তুমি আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোন ত্রুটি
দেখতে পাও কি? আল-বায়ান
যিনি
সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান- একটির উপর আরেকটি। তোমরা মহা দয়াময়ের সৃষ্টিকার্যে কোনরূপ
অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তোমরা আবার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখ, কোন
দোষ-ত্রুটি দেখতে পাও কি? তাইসিরুল
তিনি
সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সপ্তাকাশ। দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোন খুঁত দেখতে পাবেনা; আবার
দেখ,
কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি? মুজিবুর
রহমান
[And] who created seven
heavens in layers. You do not see in the creation of the Most Merciful any
inconsistency. So return [your] vision [to the sky]; do you see any breaks?
Sahih International
৩.
যিনি সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে সাত আসমান। রহমানের সৃষ্টিতে আপনি কোন খুঁত দেখতে পাবেন
না;
আপনি আবার তাকিয়ে দেখুন, কোন
ত্রুটি দেখতে পান কি?(১)
(১) মূল ব্যবহৃত
শব্দটি হলো فطور যার
অর্থ ফাটল, ছিদ্র, ছেড়া, ভাঙা-চোরা।
[কুরতুবী]
তাফসীরে
জাকারিয়া
(৩) তিনি সৃষ্টি
করেছেন স্তরে স্তরে সাত আকাশ। দয়াময় আল্লাহর সৃষ্টিতে তুমি কোন খুঁত দেখতে পাবে না;[1]
আবার তাকিয়ে দেখ, কোন ত্রুটি দেখতে পাচ্ছ কি?[2]
[1] অর্থাৎ, তাতে
কোন অসামঞ্জস্য, কোন বক্রতা এবং কোন ত্রুটি ও খুঁত
নেই। বরং তাকে একেবারে সোজা ও সমতল বানানো হয়েছে; যা
এ কথা প্রমাণ করে যে, এ সবের সৃষ্টিকর্তা হলেন কেবল একজন, একাধিক
নয়।
[2] কখনো
কখনো এমন হয় যে, দ্বিতীয়বার ভালভাবে লক্ষ্য করলে কোন
ঘাটতি বা দোষ-ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়। তাই মহান আল্লাহ আহবান করছেন যে, তোমরা
বারবার দৃষ্টিপাত করে দেখ, তাতে কোন ছিদ্র বা ফাটল পাও কি না?
তাফসীরে
আহসানুল বায়ান
:৪
ثُمَّ ارۡجِعِ الۡبَصَرَ کَرَّتَیۡنِ یَنۡقَلِبۡ اِلَیۡکَ
الۡبَصَرُ خَاسِئًا وَّ هُوَ حَسِیۡرٌ
অতঃপর
তুমি দৃষ্টি ফিরাও একের পর এক, সেই দৃষ্টি
অবনমিত ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে। আল-বায়ান
অতঃপর
তোমরা বারবার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখ; ক্লান্ত, শ্রান্ত
ও ব্যর্থ হয়ে দৃষ্টি তোমার দিকে ফিরে আসবে। তাইসিরুল
অতঃপর
তুমি বারবার দৃষ্টি ফিরাও, সেই দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে
তোমার দিকে ফিরে আসবে। মুজিবুর রহমান
Then return [your]
vision twice again. [Your] vision will return to you humbled while it is
fatigued. Sahih International
৪.
তারপর আপনি দ্বিতীয়বার দৃষ্টি ফেরান, সে দৃষ্টি ব্যর্থ
ও ক্লান্ত হয়ে আপনার দিকে ফিরে আসবে।
তাফসীরে
জাকারিয়া
(৪) অতঃপর তুমি বারবার দৃষ্টি ফিরাও, সেই
দৃষ্টি ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে। [1]
[1]
এখানে আবার
তাকীদ করার উদ্দেশ্য হল, নিজের মহাশক্তি এবং একত্বকে আরো বেশী
স্পষ্ট করা।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান
৫ وَ لَقَدۡ زَیَّنَّا
السَّمَآءَ الدُّنۡیَا بِمَصَابِیۡحَ وَ جَعَلۡنٰهَا رُجُوۡمًا لِّلشَّیٰطِیۡنِ
وَ اَعۡتَدۡنَا لَهُمۡ عَذَابَ السَّعِیۡرِ ۵
আমি
নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপপুঞ্জ দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং সেগুলোকে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের
বস্তু বানিয়েছি। আর তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের আযাব। আল-বায়ান
আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা
দিয়ে সুসজ্জিত করেছি আর শয়ত্বানকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য, এবং
প্রস্তুত করে রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি। তাইসিরুল
আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করেছি
প্রদীপমালা দ্বারা এবং ওগুলিকে করেছি শাইতানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং তাদের জন্য
প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি। মুজিবুর রহমান
And We have certainly beautified the nearest heaven with
stars and have made [from] them what is thrown at the devils and have prepared
for them the punishment of the Blaze. Sahih International
৫. আর অবশ্যই আমরা নিকটবর্তী আসমানকে
সুশোভিত করেছি প্ৰদীপমালা দ্বারা(১) এবং সেগুলোকে করেছি শায়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ
এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি।
(১) مَصَابِيح শব্দের অর্থ প্রদীপমালা। এখানে নক্ষত্ররাজি
বোঝানো হয়েছে। [বাগভী; ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া
(৫) আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা
দ্বারা সুশোভিত করেছি এবং ওগুলোকে করেছি শয়তানদের প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র স্বরূপ[1] এবং
তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি।
[1]
এখানে নক্ষত্র
সৃষ্টির দু’টি উদ্দেশ্য বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথমতঃ আসমানের সৌন্দর্যবর্ধন। কেননা, তা
প্রদীপের মত দীপ্তিমান সুন্দর দেখা যায়। দ্বিতীয়তঃ শয়তানদল যখন আসমানের দিকে যাওয়ার
চেষ্টা করে, তখন একে উল্কারূপে তাদের উপর নিক্ষেপ
করা হয়। এর তৃতীয় উদ্দেশ্য যেটাকে অন্যত্র বর্ণনা করা হয়েছে তা হল, তার
দ্বারা সমুদ্রে ও স্থলে পথ ও দিক নির্ণয় করা হয়।