Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

২২ জুলাই, ২০২১ ০৭:৪১ পূর্বাহ্ণ

লাইব্রেরী

ল্যাটিন Liber Librarian শব্দদ্বয় থেকে Library শব্দটি এসেছে। এর সংস্কৃতি ও বাংলা প্রতিশব্দ হলো গ্রন্থাগার। গ্রন্থ মানে বই, আগার অর্থ স্থান বা গৃহ। সুতরাং বই রাখার স্থান বা গৃহকে গ্রন্থাগার বলা হয়।

L - Latest

I - Information

B - By

R – Research ,

A - And

R - Reference

Y – For you

এককথায়- গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরী বলতে সাধারনত যেখানে তথ্য সামগ্রী সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং চাহিদা অনুযায়ী দ্রুত পাঠককে প্রদান করা হয় তাকেই বোঝায়। গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরী কে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

(১) National Library (জাতীয় গ্রন্থাগার)

(২) Public Library (গণগ্রন্থাগার)

(৩) Academic Library (একাডেমিক গ্রন্থাগার)

(৪) Special Library ( বিশেষ গ্রন্থাগার)

নিম্নে এ প্রকারগুলোর আলোচনা করা হলো :-

১। জাতীয় গ্রন্থাগার:- জাতীয় গ্রন্থাগার সাধারনত দেশের সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে। অন্যান্য গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার পেছনে যে সকল কারণ বিদ্যমান, এ ক্ষেত্রেও তার সবগুলো কারণ বিদ্যমান। তবে প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছুটা পার্থক্য পরিলতি হয়। জাতীয় গ্রন্থাগার এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার সংগ্রহের পরিধি জাতীয় ভিত্তিক এবং গুরুত্ব আন্তর্জাতিক। দেশ ও জাতি সম্পর্কে দেশী-বিদেশী সকল প্রকাশনা সংগ্রহ করে জাতীয় ঐতিহ্যকে সংরণ করাই এর প্রধান বৈশিষ্ট্য।

২। গণগ্রন্থাগার:- পাবলিক লাইব্রেরি বা গণগ্রন্থাগার জনগণের বিশ্ববিদ্যালয়। সমাজের সকল স্তরের লোকের চাহিদা পূরণের জন্য এর উৎপত্তি বিকাশ। অন্য কোন গ্রন্থাগার এ উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় না। সমাজে সকল প্রকারের সদস্য ছাত্র, যুবক, বৃদ্ধ, মহিলা ও বিভিন্ন পেশাজীবী যেহেতু এর ব্যবহারকারী সুতরাং আবশ্যিকভাবে সংগ্রহ করা হয়ও বহুমূখী।

৩। একাডেমিক গ্রন্থাগার: একাডেমিক গ্রন্থাগার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক ও শিক্ষার্থীদের পাঠ ও গবেষনা প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। এসব গ্রন্থাগারে কেবল পাঠ্য ও পাঠ্য সহায়ক উপকরণই থাকে না, পাশাপাশি বিভিন্ন রেফারেন্স সামগ্রীসহ বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য উপকরণ সংগ্রহীত হয়। একাডেমিক গ্রন্থাগারে অন্যতম উদ্দেশ্য থাকে গবেষকদের প্রয়োজনীয় পাঠ্য উপকরণ সংগ্রহের মাধ্যমে জ্ঞানচর্চায় অগ্রসর পর্যায়ে সহায়তা জোগানো।

৪। বিশেষ গ্রন্থাগার: বিশেষ গ্রন্থাগার আসলে এক ধরনের গবেষণা গ্রন্থাগার, যাকে আমরা টেকনিক্যাল লাইব্রেরীও বলি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে নানা বিষয়ে গবেষণা কর্মের এক বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু হয়। এই গবেষণা কর্মে সহায়তা জোগানোর জন্যই বিশেষ গ্রন্থাগারের আবির্ভাব। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি চিকিৎসাবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি নানা বিষয়ে তথ্য উপকরণ সংগ্রহের মাধ্যমে বিশেষ গ্রন্থাগারগুলো সমাজে এক ব্যাতিক্রমী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

 

 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি