সহকারী শিক্ষক
২৩ জুলাই, ২০২১ ১০:৩৯ অপরাহ্ণ
" হরীতকীর হরেক গুণ ", -সন্তোষ কুমার বর্মা,- সহকারী শিক্ষক, -ভান্ডারদহ জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, পাটগ্রাম, লালমনিরহাট। মোবাইল- ০১৭৬৮৯২৬৬৫৮
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: অষ্টম
বিষয়: শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য
‘অরল তিতা গরল তিতা, আর তিতা নিমপাতা, সকল থাকি অধিক তিতা, তিতা সুখের কথা।’ সিলেটের আঞ্চলিক এই প্রবাদের অর্থ, অরল-গরল-নিমপাতার মতো ভালো কথা শুনতেও প্রথমে খারাপ লাগে। ফল পাওয়া যায় পরে। হরীতকী ঠিক তাই। তিতা স্বাদের এই ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর। হরীতকীকে অন্যতম মহৌষধ বলা হয়। ভেষজ গাছ হিসেবে হরীতকীর খ্যাতি বিশ্বজোড়া হলেও আদিনিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে। চিকিৎসা তো বটেই, রান্নাতেও হরীতকীর নানা ব্যবহার। একসময় বনাঞ্চলে এই গাছ চোখে পড়ত, এখন বাড়ির আঙিনাতেও লাগানো হয়। তবে দেশের প্রায় সব জায়গায় প্যাকেটজাত হরীতকী পাওয়া যায়।
হরীতকীর ফল-বীজ-পাতা সবকিছুই উপকারী। রোগ প্রতিরোধে প্রতিষেধক হিসেবে বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসজনিত রোগের ক্ষেত্রে ভালো কাজ দেয়। ট্যানিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফ্রুকটোজ, সাকসিনিক অ্যাসিড এবং বিটা সাইটোস্টেরল-সমৃদ্ধ হরীতকী দেহের রক্ত পরিষ্কার ও শক্তি বৃদ্ধি করে এবং রক্তচাপ ও অন্ত্রের খিঁচুনি কমায়। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়বিক দুর্বলতা, অবসাদ এবং অধিক ওজনের চিকিৎসায় হরীতকীর ব্যবহার আছে। এ ছাড়া অ্যানথ্রাকুইনোনের উপস্থিতি খাদ্যে রুচি বাড়ায়। এসব তথ্য জানান বারডেম হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ।