Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

০৫ আগস্ট, ২০২১ ০৫:২২ পূর্বাহ্ণ

বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান
বিতর্কের নিয়মাবলী
বিতর্কের নানা রূপ
প্রথম বক্তাঃ পক্ষ দলের প্রথম বক্তা বিষয়টিকে সুন্দরভাবে সংজ্ঞায়ন করবেন, বিষয়ের পক্ষে দলের অবস্থান স্পষ্ট করবেন এবং সম্ভাব্য দুএকটি যুক্তি খন্ডন করবেন। অন্যদিকে বিপক্ষ দলের প্রথম বক্তা পক্ষ দলের প্রথম বক্তার দেয়া সংজ্ঞায়নের মেনে নেয়া অংশ বাদে যদি প্রয়োজন হয় বাকী মূল শব্দগুলোর সংজ্ঞায়ন করবেন, বিষয়ের বিপক্ষে দলের অবস্থান স্পষ্ট করবেন এবং ১ম বক্তার দু’চারটি যুক্তি খন্ডন করবেন।
দ্বিতীয় বক্তাঃ পক্ষ দলের দ্বিতীয় বক্তা বিপক্ষ দলের প্রথম বক্তার দেয়া দলীয় কৌশল ও
অবস্থানের ব্যাখ্যা এবং তা খন্ডন করে বিভিন্ন তথ্য, তত্ত্ব,
যুক্তি ও উদাহরণের মাধ্যমে প্রথম বক্তার দেয়া দলীয় অবস্থান আরও স্পষ্ট করে যাবেন। অন্যদিকে বিপক্ষ দলের দ্বিতীয় বক্তাও পক্ষ দলের দ্বিতীয় বক্তার ন্যায় তার দলের পক্ষে বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করবেন।
দলনেতাঃ পক্ষ দলের দলনেতা তার প্রথম ও দ্বিতীয় বক্তার বক্তব্যের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে
বিভিন্ন তথ্য, তত্ত্ব, যুক্তি ও উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টিকে তার দলের পক্ষে প্রমাণ করে
যাবেন। অন্যদিকে বিপক্ষ দলের দলনেতাও তার দলের পক্ষে বিষয়টিকে প্রমাণ করে যাবেন।
যুক্তি খন্ডন পর্বঃ পক্ষ দলের দলনেতা বিপক্ষ দলের তিনজন বক্তার প্রদত্ত যুক্তিগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যুক্তিগুলো ধরে ধরে খন্ডন করে তাদের যুক্তিকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করবেন। অন্যদিকে বিপক্ষ দলের দলনেতাও পক্ষ দলের প্রদত্ত যুক্তিগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ যুক্তিগুলো খন্ডন করে তাদের যুক্তিকে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করবেন।
বিতর্কের সময় আয়োজক কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবেন। তবে তা সাধারণত বিতর্কের মূল পর্বের জন্য প্রত্যেক বক্তা ৩-৫ মিনিট করে (এক মিনিট পূর্বে সতর্ক সংকেত বাজাতে হবে) ও যুক্তি খন্ডন পর্বে উভয় দলের দলনেতা ২ মিনিট করে সময় পাবেন (দেড় মিনিটে সতর্ক সংকেত বাজাতে হবে)।
সনাতনী বিতর্কে সাধারণত সংজ্ঞায়ন, উচ্চারণ, বাচনভঙ্গি,
তথ্য, তত্ত্ব ও উদাহরণ প্রদান,
যুক্তি প্রয়োগ ও খন্ডন প্রভৃতি বিষয়ে নাম্বার প্রদান করা হয়ে থাকে।
বিতর্কের সবচেয়ে শিল্পিত ধারার নাম বারোয়ারী বিতর্ক। এ বিতর্কে পক্ষ-বিপক্ষ থাকে না। প্রত্যেকে স্বাধীন ভাবে নিজের মনের জানালা খুলে ভাবতে পারে। ভাবনার অভিনবত্ব ও সৃষ্টিশীলতা এ বিতর্কের প্রাণ। এ ধারার বিতর্কের বিষয়গুলোও হয় একটু ভিন্ন ধরণের-যেমন-‘এসো নতুন সূর্য
রচনা করি’-এক্ষেত্রে বিতার্কিক তার ইচ্ছে মত সূর্য বিশ্লেষণ করতে পারে স্বপ্ন দেখতে
পারে/স্বপ্নে আসে শুধু ইত্যাদি।
প্রথমেই সভাপতিকে ধন্যবাদ দিয়ে বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সুন্দর ও সৃজনশীল একটি স্ট্যান্ড পয়েন্ট দাঁড় করাতে হবে।
স্ট্যান্ড পয়েন্টটি দাঁড় করানোর পর বিষয়ের সাথে তার একটি সুন্দর সম্পর্ক দাঁড় করাতে
হবে।
এরপর বিভিন্ন যুক্তি ও কৌশল অবলম্বন করে বিষয়টিকে প্রদত্ত স্ট্যান্ড পয়েন্টের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।
কোন অবস্থাতেই একাধিক স্ট্যান্ড পয়েন্ট নেয়া যাবে না এবং প্রদত্ত স্ট্যান্ড পয়েন্টের বাইরেও যাওয়া যাবে না। বিভিন্ন উদাহরণ আসলেও তা স্ট্যান্ড পয়েন্টের সাথে সম্পর্কিত করতে হবে।
এ বিতর্কে বিষয়, আবেগ ও শব্দচয়নের মধ্যে একটি সুন্দর সামঞ্জস্য তৈরী করতে হবে। শব্দ চয়ন হতে হবে চমৎকার বিষয় ও স্ট্যান্ড পয়েন্ট যেভাবে দাবী করে সেভাবে আবেগ দিয়ে তা প্রকাশ করতে হবে।
পক্ষ দল
প্রথম বক্তা
দ্বিতীয় বক্তা
দলনেতা
বিপক্ষ দল
প্রথম বক্তা
দ্বিতীয় বক্তা
দলনেতা
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেল সংসদীয় বিতর্ক। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের
অনুসরণে এ বিতর্ক করা হয়। সনাতনী বিতর্কের মত এ বিতর্কেও দু’টি দলে ৬ জন বিতার্কিক অংশ নেন। পক্ষদল সরকারী দল এবং বিপক্ষ দল বিরোধী দল হিসেবে বিতর্কে অবতীর্ন হয়। সরকারী দলের ৩ বিতার্কিক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এবং বিরোধী দলের ৩ বিতার্কিক বিরোধী
দলীয় নেতা, উপনেতা ও সংসদ সদস্য হিসেবে বিতর্কে অংশগ্রহণ করে। মডারেটরকে স্পীকার হিসেবে সম্বোধন করতে হয়। সংসদীয় বিতর্ক অল্প সময়েই প্রবল জনপ্রিয় হয়ে উঠার মূল কারণ হল এ ধারার বিতর্কের প্রাণ-
পয়েন্টসমূহ। সংসদীয় ধারার বিতর্কে তিন ধরনের পয়েন্ট উত্থাপিত হয়- পয়েন্ট অব অর্ডার,
পয়েন্ট অব প্রিভিলেজ এবং পয়েন্ট অব ইনফরমেশন
এই বিতর্কে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমস্যা-সম্ভাবনা এবং সমস্যার সমাধান কল্পে উদ্ভূত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সাধারণ পরিষদে যেমন-
প্রত্যেক দেশের প্রতিনিধি থাকে ঠিক তেমনি এই বিতর্কে তার্কিকরা নির্দিষ্ট একটি দেশের প্রতিনিধি হিসেবে নিজ দেশের পররাষ্ট্রনীতির
আলোকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বিভিন্ন সমস্যা এবং এর সমাধানকল্পে করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরেন। একজন সভাপতি পুরো বিতর্কটি মডারেট করেন এবং তার্কিকরা বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি হিসেবে নিজ দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন।
এটি পার্লামেন্টারী বিতর্কের মতই। এখানে চারটি দল অংশগ্রহণ করে। প্রত্যেক দলে ২জন বিতার্কিক থাকেন। দলগুলোকে সরকারী দল ১, সরকারী দল ২,
বিরোধী দল ১ এবং বিরোধী দল ২ বলে। পার্লামেন্টারী বিতর্কের মতই সব নিয়ম এখানে প্রযোজ্য। তবে সরকারী দল ২ সরকারী ১ এর সংজ্ঞা ও বিশে¬ষণ তাদের দলীয় অবস্থান থেকে নতুনভাবে করতে পারবেন। অনুরূপ বিরোধী দলেরও এই সুযোগ থাকছে।
বিতর্কের এই রূপটি প্রতিযোগিতার জন্য নহে। সাধারণত Show Debate হিসেবে এই বিতর্ক করা হয়। খুবই রোমাঞ্চকর এই বিতর্ক। এই বিতর্ক করতে পরিবেশটি লাগে আলো-আঁধারের মত। সচরাচর মোম জ্বালিয়ে কিংবা মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে বিতর্ক মঞ্চটি সাজানো হয়। আলো-আঁধারের মধ্যে
বিতার্কিকরা বসে থাকেন। অথবা মঞ্চের পেছনেও থাকতে পারেন। এই বিতর্কটি অতীত ও বর্তমানের আলোচিত কিছু চরিত্র (ইতিবাচক-নেতিবাচক) নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। একে একে বিভিন্ন চরিত্র এসে তাদের কৃতকর্মের বর্ণনা দেন এবং শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ দেয়ার চেষ্টা করেন। একজনের বিতর্ক শেষে উপস্থিত দর্শকসারি থেকে উক্ত তার্কিককে প্রশ্ন করা যাবে-
তার চরিত্র বা কৃতকর্ম সংশ্লিষ্ট। মৃত বা জীবিত দু’ধরণের চরিত্রই প্লানচ্যাট বিতর্কে উপস্থিত হয়। এই বিতর্কে সবচেয়ে মজার কাজটি করে থাকেন বিতর্ক মডারেটর। যিনি পর্দার আড়াল থেকে পুরো বিতর্কটি পরিচালনা
করে উপভোগ্য করে তোলেন। এই বিতর্কে যিনি মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন তাকে ‘ওঁঝা’
বলা হয়।
সাধারণতঃ বিতর্ক অনুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতা মনোরঞ্জনের জন্য প্রীতি বিতর্ক হিসেবে রম্য
বিতর্কের আয়োজন করা হয়। একটু চটুল বিষয় নির্ধারণ করা হয় এ ধরণের বিতর্কে। যেমন- “মন নয় চাই মোটা মানিব্যাগ, সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের ত্যাগ বেশী।” এবং বিতার্কিকরাও এই বিতর্কে হাস্যরসাত্মক ভাবে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
সনাতনী ও সংসদীয় উভয় ফরমেটে রম্য বিতর্ক করা হয়।
আঞ্চলিক বিতর্ক রম্য বিতর্কেরই একটি ধারা। বারোয়ারী ফরমেটে এ বিতর্কে প্রত্যেক বিতার্কিক নির্দিষ্ট অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষায় বিতর্ক করে থাকে। যেমন, একটি বিতর্কে ৬ জন বিতার্কিক যথাক্রমে বরিশাল, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম,
সিলেট, ঢাকা (অবশ্যই পুরান ঢাকাইয়্যা) ও দিনাজপুরের
আঞ্চলিক ভাষায় বিতর্ক করতে পারে। এ বিতর্কে বিতার্কিক সংখ্যা যে কোন সংখ্যার হতে পারে।
এই বিতর্কটিও ‘শো-ডিবেট’
হিসেবে জনপ্রিয়। জীবিত অথবা মৃত বাস্তব জুটি, অথবা সিনেমা,
নাটক, কিংবা উপন্যাসে জনপ্রিয় কোন জুটির ভূমিকায় ২ জন করে এ বিতর্কে অংশ গ্রহণ করে। জুটি সংখ্যা যে কোন মাত্রার হতে পারে, যেমনঃ দেবদাস-পার্বতী,
অমিত-লাবণ্য, ডি ক্যাপ্রিয়-
উইন্সলেট, বাকেরভাই-মুনা ইত্যাদি চরিত্রে বিতর্ক হয়। তারা প্রত্যেকে নিজেদের ত্যাগকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করে।
আলোচিত ৯ ধরণের বিতর্কের মধ্যে আঞ্চলিক বিতর্ক ছাড়া বাকী ৮ ধরণের বিতর্কই ইংরেজী মাধ্যমে করা যেতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে ইংরেজী মাধ্যমে ৩ ধরণের বিতর্ক হয়।
সনাতনী ধারার বিতর্কের সব নিয়ম নীতি মেনে Traditional Formate এর বিতর্ক হয়।
ইংরেজী মাধ্যমে Parliamentary Formate কেই বাংলা মাধ্যমে সংসদীয় বিতর্ক বলা হয়ে থাকে।
নিয়ম নীতি একই শুধু ভাষা ভিন্ন।
International Debate Compitition যে ফরমেটে অনুষ্ঠিত হয় তাকে
World’s Formate বলে। এই বিতর্কে একই সাথে একই বিষয়ে ৪টি দল অংশগ্রহণ করে। প্রতি দলে বিতার্কিক থাকেন ২জন। তারা
Gov-1, Gov-2, Opp-1, Opp-2 নামে পরিচিত হয়।
আলোচিত ১২ ধরণের বিতর্কের বাইরেও বিতর্ক থাকতে পারে। তবে প্রতিযোগিতা মূলক বিতর্কে সনাতনী, বারোয়ারী ও সংসদীয় বিতর্ক হয়। অন্যান্য ফরম্যাটগুলো বিতার্কিকদের আকৃষ্ট করার জন্য বা নতুনদের এই শিল্পটির সাথে পরিচিত করার জন্য আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই শিল্পটির অব্যাহত চর্চাই পারে আগামী প্রজন্মকে ‘নতুন বাংলাদেশ’ উপহার দিতে। শক্তির জোর নয় যুক্তির জোর
দিয়ে সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মানে বিতার্কিকরা অগ্রণী ভূমিকা রাখবে সেই স্বপ্ন
আমরা দেখতেই পারি।
বিতর্ক অঙ্গনে ৯১ এর সংবিধান সংশোধনীর আগে থেকেই বিভিন্নভাবে সংসদীয় বিতর্কের চর্চা প্রচলিত থাকলেও অনেকটা জাতীয় রাজনীতির উপচে পড়া প্রভাবে মূলধারার বিতর্ক মডেল পরিণত হয় ’৯২-৯৩ বা সমসাময়িক সময়ে। অল্প সময়ের মধ্যে সংসদীয় রীতির বিতর্ক একটি জনপ্রিয় ধারায় পরিণত হয়। জাতীয় টেলিভিশনে এবং প্রাইভেট টিভি চ্যানেলগুলোতে সংসদীয় নীতি বিতর্কের প্রচলন বলে দেয় প্রচলিত সনাতন ধারা বা অন্য যে কোন ধারার মতই এই ধারাটিও যথেষ্ট সমৃদ্ধ এবং শক্তিশালী।
সংসদীয় বিতর্কের মূল ধারাটি এসেছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘হাউস অব কমন্স’ বা নিম্ন কক্ষের অধিবেশনে আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক বা ইস্যুভিত্তিক তর্কযুদ্ধকে অনুসরণ করে। এ পর্যন্ত সংসদীয় রীতির বাংলাদেশী এবং আন্তর্জাতিক রূপরেখায় তেমন বিশেষ কোন পার্থক্য নেই।
১.১ সংসদীয় বিতর্কে দুইটি দল অংশগ্রহণ করবে।
১.২ দল দুইটি সরকারি ও বিরোধী দল হিসেবে চিহ্নিত হবে।
১.৩ সরকারি এবং বিরোধী উভয় দলে তিনজন করে বিতার্কিক থাকবেন। তবে ২ (দুই) জনের সংসদীয় বিতর্কও অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে নিয়ম সবই তিনজনের সাথে একই থাকবে, তবে বক্তার সম্বোধন হবে তিন জনের সংসদীয় বিতর্কের ১ম ও ৩য় বক্তার অনুরূপ।
১.৪ বিতার্কিকদের পরিচিতিঃ
ক. সরকারি দল-
১ম বক্তা - প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদনেতা
২য় বক্তা - মন্ত্রী/সরকার দলীয় হুইপ
৩য় বক্তা - সরকার দলীয় সংসদ সদস্য
খ. বিরোধী দল-
১ম বক্তা - বিরোধী দলীয় নেতা
২য় বক্তা - বিরোধী দলীয় উপনেতা/বিরোধী দলীয় হুইপ
৩য় বক্তা - বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য
১.৫ বক্তব্য প্রদানের ক্রমটি নিম্নরূপ হবে-
প্রধানমন্ত্রী
বিরোধী দলীয় নেতা
মন্ত্রী/সরকার দলীয় হুইপ
বিরোধী দলীয় উপনেতা/বিরোধী দলীয় হুইপ
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য
বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য
বিরোধী দলীয় নেতা (যুক্তিখন্ডন)
প্রধানমন্ত্রী (যুক্তিখন্ডন ও সমাপনী বক্তব্য)
১.৬ বিতর্ক দুইভাবে বিভক্ত। গঠনমূলক ও যুক্তিখন্ডন।
১.৭ একজন স্পীকার বিতর্ক পরিচালনা করবেন।
১.৮ বিতর্ক মঞ্চে স্পীকার ও দুই দলের বিতার্কিক ব্যতিত একজন সময় রক্ষক (স্পীকার এর ডান দিকে) এবং আয়োজক কর্তৃক নির্ধারিত অনূর্ধ্ব দুইজন স্বেচ্ছাসেবক (স্পীকার এর বামদিকে) উপবেশন করবে।
১.৯ সময়সীমা সংক্রান্ত ধারাসমূহ-
ক. প্রধানমন্ত্রী তাঁর গঠনমূলক পর্বে উদ্বোধনী বক্তব্যে সময় পাবেন ৫ মিনিট। এক্ষেত্রে ৪ মিনিট শেষে সতর্ক সংকেত এবং ৫ মিনিট শেষে চূড়ান্ত সংকেত দেওয়া হবে।
খ. প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী ৫ জন বক্তা (সরকারী দলীয় হুইপ/মন্ত্রী ও সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এবং বিরোধী দলীয় নেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা বা হুইপ, বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য) প্রত্যেকে গঠনমূলক পর্বে ৫ মিনিট করে সময় পাবেন। এক্ষেত্রে ৪ মিনিট শেষে সতর্ক সংকেত এবং ৫ মিনিট শেষে চূড়ান্ত সংকেত বাজানো হবো।
গ. যুক্তিখন্ডন পর্বে বিরোধী দলীয় নেতা ৩ মিনিট সময় পাবেন। এক্ষেত্রে ২ মিনিট শেষে সতর্ক সংকেত এবং ৩ মিনিট শেষে চূড়ান্ত সংকেত দেওয়া হবে।
ঘ. প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা তাদের যুক্তিখন্ডন ও সমাপনী বক্তব্যের জন্য ৩ মিনিট সময় পাবেন। এক্ষেত্রে ২ মিনিট শেষে সতর্ক সংকেত এবং ৩ মিনিট শেষে চূড়ান্ত সংকেত দেওয়া হবে।
ঙ. প্রত্যেক বক্তাকে অবশ্যই তার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বক্তব্য শেষ করতে হবে।
১.১০ সংসদীয় ধারায় বিতর্কের মঞ্চ ও স্থানকে অধিবেশন কক্ষ বা হাউস বলে অভিহিত করতে হবে।
১.১১ সম্বোধন সংক্রান্ত ধারাসমূহ-
ক. বিতার্কিকগণ সংসদ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন তাই তাদের সম্বোধন করা হবে সংসদীয় রীতিতে।
খ. সরকার দলীয় সদস্যদের যথাক্রমে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’, ‘সম্মানিত মন্ত্রী মহোদয়’ বা ‘সম্মানিত হুইপ’ এবং ‘সম্মানিত হুইপ’ এবং ‘সম্মানিত সরকার দলীয় সংসদ সদস্য’ রূপে সম্বোধন করা হবে।
গ. বিরোধী দলীয় সদস্যদের ‘সম্মানিত বিরোধী দলীয় নেতা’, ‘সম্মানিত বিরোধী দলীয় উপনেতা’ বা ‘সম্মানিত বিরোধী দলীয় হুইপ’ এবং ‘সম্মানিত বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য’ রূপে সম্বোধন করতে হবে।
ঘ. বিতার্কিকগণ স্পীকারকে ‘জনাব/সম্মানিত/মাননীয়’ স্পীকার বলে সম্বোধন করে নিজ নিজ বক্তব্য পেশ করবেন।
ঙ. এছাড়াও অবমাননাকর নয় এমন যে কোন সম্বোধন স্পীকার ও উভয় দলের বিতার্কিকদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে।
চ. কোনক্রমেই স্পীকারকে ‘মহামান্য’ বলে সম্বোধন করা যাবে না।
১.১২ একাধিক (অনূর্ধ্ব তিনটি) বিষয়ের মধ্যে থেকে অংশগ্রহণকারী দলসমূহ বাছাই প্রক্রিয়ায় একটি বিতর্কের বিষয় নির্ধারণ করবে। বাছাই প্রক্রিয়াটি আয়োজকদের দ্বারা নির্ধারিত এবং পরিচালিত হবে।
১.১৩ ‘কয়েন টস’ এর মাধ্যমে সরকারি ও বিরোধী দল নির্বাচিত হবে।
১.১৪ বিষয় ও পক্ষ নির্ধারিত হবার ২০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে বিতর্ক অবশ্যই শুরু করতে হবে।
১.১৫ প্রস্তুতি গ্রহণের সময় বিতার্কিকরা তাদের প্রয়োজন মত বই, পত্রিকা এবং জার্নাল ব্যবহার করতে পারবেন।
২.১ একজন মনোনীত স্পীকার বিতর্কটি পরিচালনা করবেন।
২.২ স্পীকারের দায়িত্বসমূহ নিম্নরূপঃ
ক. তিনি উত্থাপিত আপত্তিসমূহ বিবেচনা করবেন।
খ. প্রয়োজনে সাময়িক সময়ের জন্য বিতর্ক অধিবেশনের মূলতবি ঘোষণা করবেন।
গ. অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যাবলী দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবেন।
২.৩ যদি বিচারক সংখ্যা ২-৩ জন হয় সেক্ষেত্রে স্পীকার এবং বিচারকার্য পরিচালনা করতে পারেন তবে এর বেশি বিচারকের উপস্থিতির ক্ষেত্রে স্পীকার শুধুমাত্র বিতর্ক পরিচালনা করবেন।
২.৪ বিভিন্ন উত্থাপিত আপত্তি সম্বন্ধে স্পীকারের সিদ্ধান্তই নিরপেক্ষ এবং চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
২.৫ স্পীকার নিজে বিতর্ক শেষে এর মান ও দিক সম্পর্কে সংক্ষেপে বিশ্লেষণ করবেন এবং জুরি বোর্ডের এক বা একাধিক সদস্যকে মূল্যায়ন করার ফ্লোর দেবেন। তবে সমগ্র ব্যাপারটিই নির্ধারিত সময়ের উপর নির্ভর করবে।
২.৬ স্পীকার কোন বক্তার নির্ধারিত সময় শেষ হবার ১৫ সেকেন্ড পর (যদি বক্তা বক্তব্য চালিয়ে যায়) তাকে একবার সতর্ক করে দেবেন। এর ৫ সেকেন্ডের মাঝে বক্তব্য শেষ না হলে স্পীকার তাকে শেষ বাক্য বলে বসে পড়ার অনুরোধ জানাবেন।
২.৭ স্পীকার কোনভাবেই কোন বক্তার বক্তব্যের মাঝে তাকে শুধু ধন্যবাদ দিয়ে বসে পড়তে বলতে পারবেন না।
২.৮ যদি বক্তা তার নির্ধারিত সময়ের পর ১৫ সেকেন্ড এবং স্পীকার কর্তৃক সতর্কিত হবার ৫ সেকেন্ড পরেও বক্তব্য পেশ না করেন তাহলে তার অতিরিক্ত সময় গণনা করা হবে এবং উক্ত সময়ের কোন বক্তৃতাই গ্রহণযোগ্য হবে না এবং মাননীয় স্পীকার সময়রক্ষকের কাছ থেকে অতিরিক্ত সময়ের হিসাব নিয়ে তা স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা জুরি বোর্ডের কাছে পাঠাবেন।
২.৯ বিতর্ক শুরুর পূর্বে স্পীকারের নিকট বিতর্কের সকল নীতিমালা সরবরাহ হবে এবং স্পীকারের সমগ্র ব্যাপারটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকতে হবে, যাতে করে বিতর্ক চলাকালীন এর আবহ নষ্ট না হয়।
২.১০ স্পীকারের যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হাউজ এ উপস্থিত বিতার্কিক, দর্শক, স্বেচ্ছাসেবক ও কর্তব্যরত কর্মকর্তাবৃন্দ সকলেই বাধ্য থাকবেন।
৩.১ বিল সংক্রান্ত ধারা-
ক. সেই সব বিষয়বস্তু বিল হিসেবে গ্রহণযোগ্য পাবে যেগুলো সরকারি দল সংসদে আইন হিসেবে পাশ করাতে চায় (যেমনটি সত্যিকার সংসদে হয়)।
খ. বিলের দ্বান্দ্বিক আবেদন থেকে বাস্তবধর্মী প্রায়োগিক আবেদনটিই মূখ্য।
গ. সে বিষয়গুলোই বিলের মর্যাদা পেতে পারে যেগুলো ‘হোক’ অথবা ‘উচিত’ শব্দমালা দিয়ে শেষ হয়।
ঘ. উদাহরণ - শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড প্রদান রহিত করা হোক।
-অর্থনৈতিক স্বার্থে বাংলাদেশের অবিলম্বে গ্যাস রপ্তানি করা উচিত।
৩.২ কোন বিতর্কের বিষয়কে একবার বিল হিসেবে উত্থাপিত করলে-
ক. পুরো বিতর্কে বিষয়বস্তুকে বিল হিসেবে উচ্চারণ করতে হবে। পুনরায় একে প্রস্তাব হিসেবে উল্লেখ করার অবকাশ নেই। তা না হলে এটি Point of Order এর আওতায় আসবে।
খ. বিল এর মূল বিশ্লেষণ হবে নির্দিষ্ট (Specified এবং Identified) কি কারণে বিলটি উত্থাপন করা হয়েছে এবং এটি পাস করে তার প্রভাব কি কি হবে এগুলো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা করতে হবে।
গ. বিল উত্থাপিন করলে এর সাথে অনেকগুলো ধারা উল্লেখ করা অত্যাবশ্যকীয় নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে ধারা প্রয়োগ ভালো ফলাফল বয়ে আনে। যেমন- থ্রি হুইলার নিষিদ্ধ করা উচিত। এই বিলের উপর বিতর্কে কিছু ধারা আসেত পারে।
- থ্রি হুইলার বিকল্প সি.এস.জি চালু করা হবে।
- নতুন সি.এন.জি জ্বালানী হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করা হবে যার যথেষ্ট মজুদ আমাদের আছে (এবং এর সাথে কিছু তথ্য)।
- ক্ষতিগ্রস্থ চালকদের পুনর্বাসন করা হবে (কিভাবে করা হবে তার ব্যাখ্যা)।
ঘ. ধারা সংযোজন করা যায় তখনই যখন সেগুলো ‘বিল’ এর উদ্দেশ্য ও প্রায়োগিক দিক সম্পর্কে সুষ্পষ্ট ধারণা দেয়।
৩.৩ প্রস্তাবের সংজ্ঞাঃ যেগুলো সংসদীয় বিতর্কে ‘বিল’ হবার মত অবস্থায় থাকছে না সেগুলো সবই প্রস্তাব হিসেবে পরিগণিত। সবধরনের বিষযই প্রস্তাবের মর্যাদা পাবে। অন্যভাবে বললে সকল ধরনের বিল প্রস্তাবও বটে কিন্তু সকল প্রস্তাব বিল নয়।
৩.৪ প্রস্তাবের ধরন ও বিশ্লেষণঃ
ক. তুলনামূলক অনুষঙ্গঃ
সংজ্ঞা ও উদাহরণ- এ ধরনের বিষয়বস্তুতে দুটো মূল চলক (Variable) এর মধ্যে একটিকে অপরটির চাইতে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে প্রমানের চেষ্টা করা হয়, যেমন-
- দারিদ্র বিমোচন নয়, তথ্য প্রযুক্তির উত্তরণই একবিংশ শতকের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
- কৃষি নয়, শিক্ষাই হবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সোপান।
খ. প্রধান/মূল বিতর্কঃ
সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যাঃ এধরনের বিতর্কের বিষয়ে ‘ই’ প্রত্যয় কিংবা ‘মূল’ বা ‘প্রধান’ জাতীয় শব্দ থাকে। কিন্তু এরা কখনোই একমাত্র বোঝায় না। যেমন-
- শিক্ষার অভাবই অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান বাধা।
- যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় চরিত্রহীনতাই বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের প্রধান কারণ।
উভয় বিষয়ে ‘ই’ (প্রথমটিতে) এবং ‘প্রধান’ (দ্বিতীয়টিতে) কখনোই একমাত্র বোঝায় না। ‘ই’ প্রত্যয় ব্যবহার করা হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর উপর Emphasis করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ‘প্রধান’ ও ‘মূল’ শব্দদ্বয়ের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য।
বিশ্লেষণ ধারাঃ এ ধরণের বিষয়বস্তু নিয়ে বিতর্ক হলে সরকারি দলকে অবশ্যই ‘মূল’ বা ‘প্রধান’ কারণটি নিয়ে বিতর্ক করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের সুবিধাটি হল যে, তারা অন্য যে কোন কারণকেই মূল কারণ থেকে উৎসারিত হিসেবে প্রমান করার চেষ্টা করতে পারে। তাদের আরেকটি সুবিধা হলে-তারা বিরোধী দলের কাছে অন্য কোন ‘প্রধান’ বা ‘মূল’ অনুষঙ্গের নাম চাইতে পারে। একবার সরকারি দল প্রস্তাবটি এইভাবে উত্থাপন করলে বিরোধী দলকে অবশ্যই আরেকটি ‘মূল’ বা ‘প্রধান’ কারণ চিহ্নিত করতে হবে। সেক্ষেত্রে বিতর্কটি আবার ঐবধফ ঃড় ঐবধফ বিতর্কে পরিণত হবে।
গ. একটি নির্দিষ্ট বক্তব্য (Statement): যেমন-
- জাতিসংঘ একটি অচল সংস্থা।
- বর্তমানে প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে বিচ্যুত।
লক্ষ্য করে দেখতে হবে এ ধরণের বিষয়বস্তুতে আগের দু’ধরণের মত কোন বাঁধাধরা Grammatical নিয়ম নেই। এখানে দু পক্ষের কোন পক্ষই নির্দিষ্ট কোন বিন্দুতে আটকা থাকতে বাধ্য নন। ‘মূল’ বা ‘প্রধান’ অথবা শুধুমাত্র দুটো অনুষঙ্গতেই বাঁধা হয়ে থাকতে হচ্ছে না কাউকে। এ ধরনের বিতর্ক একটু কঠিন কারণ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও আরো অনেক বিষয়ে বিতার্কিকের জ্ঞানের প্রয়োজন। যথেষ্ট পরিমাণ জ্ঞান থাকলে বিষয়কে যে কোন দিকে ‘মোড় ঘোরানো’ বা ÔTwist’ করানো সম্ভব। এধরনের প্রস্তাবে সরকারি দলের সুবিধাটি হচ্ছে তার বিষয়বস্তুকে যেভাবে সংজ্ঞায়িত করবে বিরোধী দলকেও সেভাবেই বিতর্ক করতে হবে। যেমন- ‘বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিচ্যুত’ -এই প্রস্তাবের উপর বিতর্ক করতে গেলে সরকারি দল যদি ‘বর্তমান প্রজন্ম’ বলতে ৮০’র দশকের পরবর্তী প্রজন্ম বোঝায় তবে বিরোধী দলকেও তা মেনে নিতে হবে। তাদের তখন বর্তমান প্রজন্মের Time limit পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কোনভাবেই কোন সমান্তরাল বিতর্ক শুরু করা যাবে না।
৪.১ সংসদে প্রত্যক বক্তার বক্তব্যের কিছু সুনির্ধারিত ও সুনির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক।
৪.২ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য-
ক. বিষয়বস্তুর পূর্ণ ব্যাখ্যা এবং যদি কোন শব্দ সংজ্ঞার দাবী রাখে তা প্রদান করা।
খ. বিষয়বস্তুর ব্যাখ্যার সাথে সাথে প্রধান প্রধান দলীয় যুক্তিগুলো উপস্থাপন করা এবং দলীয় অবস্থানকে সুদৃঢ় করা।
গ. কোন বিল নিয়ে আলোচনা হলে প্রস্তাবিত আইনের সংশ্লিষ্ট কোন উপধারা থাকলে তা উল্লেখ ও ব্যাখ্যা করা।
ঘ. কোন প্রস্তাবের মাধ্যমে প্রচলিত কোন ব্যবস্থার পরিবর্তন চাইলে এর পরিবর্তে তারা কী চাইছেন এবং কীভাবে চাইছেন তা ব্যাখ্যা করা।
ঙ. সর্বোপরি পরবর্তী বক্তা কী বলেন তা উল্লেখ করা। যাতে শ্রোতাদের কাছে বক্তব্য অসমাপ্ত মনে না হয় তা নিশ্চিত করা।
৪.৩ বিরোধী দলীয় নেতার বক্তব্য-
ক. প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত সংজ্ঞা বা প্রস্তাবের ব্যাখ্যার যদি যৌক্তিক অসংগতি থাকে তবে নিজস্ব ব্যাখ্যা প্রদান করা।
খ. যদি প্রধানমন্ত্রীর ব্যাখ্যা ও সংজ্ঞার সাথে একমত হয় তবে বিরোধিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করা।
গ. উত্থাপিত প্রস্তাবের/বিলের বিপরীতে Counter Model তুলে ধরা।
ঘ. পরবর্তী বক্তার সম্ভাব্য যুক্তিগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদান করা।
৪.৪ সরকারি এবং বিরোধী দলের পরবর্তী দুই বক্তার বক্তব্য-
ক. দলীয় নেতার প্রদত্ত সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা অনুযায়ী কথা বলা।
খ. দলীয় নেতার প্রধান প্রধান যুক্তিগুলোকে আবর্তন করে নিজস্ব বক্তব্যকে উপস্থাপন করা।
গ. দলীয় নেতার প্রদত্ত ‘দলীয় অবস্থান’ বা ‘দলীয় কৌশল’ সুদৃঢ় করা।
ঘ. বিপক্ষ দলীয় কিছু কিছু যুক্তি খন্ডন করা।
ঙ. নিজ অবস্থানের সাপেক্ষে যৌক্তিক উদাহরণ প্রদান করা।
চ. উভয় পক্ষের তৃতীয় বক্তাকে সংসদে তার নিজ নিজ দলের বক্তব্যের সারাংশ প্রদান করতে হবে।
৪.৫ যুক্তিখন্ডন পর্বে শুধুমাত্র যুক্তিখন্ডনই করা যাবে তা নয়, স্ট্র্যাটেজিও খন্ডন করা যাবে।
৫.১ কোন বক্তার বক্তব্যের মাঝখানে বা

আরো দেখুন