Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

২১ আগস্ট, ২০২১ ১০:৫৪ অপরাহ্ণ

শিক্ষার্থীদেরকে স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহন নিশ্চিতকরণ ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে শিখন-শেখানো কার্যক্রম টেকসই করা সম্ভব।
অংশগ্রহনমূলক শিক্ষাঃ শিক্ষণ শিখনের ক্ষেত্রে এমন কতোগুলো পদ্ধতির সমন্বিত ব্যবহার বুঝায় যা প্রয়োগে শিক্ষক শিক্ষার্থী উভয়রই সক্রিয় অংশগ্রহণ করে ফলপ্রসূ এবং সার্থক শিক্ষণ শিখন সম্পন্ন করে।
অংশগ্রহণ মূলক শিক্ষণ শিখন পদ্ধতির সুবিধা-১। সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ। ২। শিক্ষণ শিখনের আগ্রহ বৃদ্ধি।৩। শিক্ষণ শিখনে আনন্দ বাড়ে। ৪। কাজের মাধ্যমে শিখন হয়।৫। শিক্ষক শিক্ষার্থীর সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। ৬। শিক্ষার্থীর মাঝে নেতৃত্বের প্রবণতা বাড়ে।৭। জ্ঞান ও দক্ষতার প্রসারণ হয়। ৮। শিক্ষার্থীর দৃষ্টি ভঙ্গির পরিবর্তন হয়।৯। শিক্ষার্থীর চিন্তা শক্তির বিকাশ ঘটে। ১০। দুর্বল শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস বাড়ে।১১। অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা বাড়ে। ১২। শিক্ষার্থীর মতবিনিময় দক্ষতা বাড়ে।১৩। অর্জিত জ্ঞানের দীর্ঘস্থায়িত্ব লাভ করে।
মনে রাখা প্রয়োজন যে, প্রয়োজনীয় জ্ঞান,মনোবৈজ্ঞানিক দৃষ্টি ভঙ্গি ও সহজ লভ্য উপকরণের উপর নির্ভর করছে অংশগ্রহণ মূলক শিক্ষণ শিখন পদ্ধতি। সকলের আন্তরিকতা ও যথাযথ পাঠদান পরিকল্পনার মাধ্যমে এ পদ্ধতির প্রয়োগ করা সম্ভব।
উৎসাহ-উদ্দীপনাঃ এগিয়ে যাওয়ার অপর নাম উৎসাহ। যে কোনো কাজে উৎসাহ-উদ্দীপনা সে কাজের প্রতি আগ্রহ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। অনেক সময় সামান্য উৎসাহের অভাবে ঝরে যায় অনেক প্রতিভা। উৎসাহটা সবসময় বড়দের দিতে হয়। আজকের প্রজন্ম উৎসাহ পাবে বিগত প্রজন্ম থেকে। আজকের প্রজন্ম থেকে উৎসাহ পাবে আগামী প্রজন্ম। আর আমরা জানি অধিকাংশ শিক্ষার্থীই তাদের অভিভাবকদের চেয়ে শিক্ষকদেরকে বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
তাই শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের বেশী বেশী উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রদান করা। তাদেরকে স্বপ্ন দেখানো আর এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করে দেওয়া। শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে উৎসাহ-উদ্দীপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আশা করা যায়, উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই শিক্ষার্থীরা একদিন অনেক দূর পৌঁছে যাবে ইনশাল্লাহ।