Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১০:৪৭ অপরাহ্ণ

ক্লাউডকম্পিউটিং

ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing) হচ্ছে কম্পিউটার রিসোর্স যেমন- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও [[কম্পিউটার সফটওয়্যার |সফটওয়্যার]], নেটওয়ার্ক ডিভাইস প্রভৃতি ব্যবহার করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে (বিশেষত ইন্টারনেট) কোনো সার্ভিস বা সেবা প্রদান করা। ক্লাউড কম্পিউটিং কোনো নির্দিষ্ট টেকনোলজি নয়, বেশ কয়েকটি টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা একটা ব্যবসায়িক মডেল বা বিশেষ পরিসেবা। এই মডেলে ব্যবহারকারী বা ক্রেতার চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে বেশ কিছু চলমান প্রযুক্তির সমন্বয়ে বিভিন্ন রিসোর্স এবং সার্ভিস বিশেষভাবে বাজারজাত করা হয় বা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। ই উন্নত পরিসেবাটি কিছু কম্পিউটারকে গ্রিড সিস্টেম এর মাধ্যমে সংযুক্ত রাখে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং (NIST) অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং এর সংজ্ঞা নিম্নরূপ-

"Cloud computing is a model for enabling ubiquitous, convenient, on-demand network access to a shared pool of configurable computing resources (e.g., networks, servers, storage, applications, and services) that can be rapidly provisioned and released with minimal management effort or service provider interaction."

অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স যেমন- নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, প্রোগ্রাম ও সেবা প্রভৃতি সহজে, ক্রেতার সুবিধা মতো, চাহিবামাত্র ও চাহিদা অনুযায়ী ব্যবহার করার সুযোগ প্রদান বা ভাড়া দেয়ার সিস্টেমই হলো ক্লাউড কম্পিউটিং।

উপবিষয়শ্রেণীসমূহ[সম্পাদনা]

ক্লাউড কম্পিউটিং কম্পিউটিং শক্তি, অনলাইন পরিসেবা, ডাটা অ্যাক্সেস এবং ডাটা স্পেস প্রদান করে যেখানে পরিসেবাগুলি ব্যবহারে ক্লাউড কম্পিউটিং বিষয়ে গভীর ভাবে জানার দরকার পড়েনা, পরিসেবা হিসাবে যে কেউ ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করতে পারেন। ঠিক যেমন বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে বিদ্যুৎ কী করে সংগৃহীত হয় তা জানার দরকার হয় না। ক্লাউড কম্পিউটিং কম্পিউটার ব্যবহারের কতগুলো সমন্বিত উপাদানের সম্মিলিত প্রয়াস যা কিছু সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করে।


ক্লাউড কম্পিউটিং এবং সম্মিলিত প্রযুক্তি[সম্পাদনা]

ক্লাউড কম্পিউটিং এর সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে :

  • গ্রিড কম্পিউটিং
  • প্যারালাল কম্পিউটিং
  • ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং

ডিস্ট্রিবিউটেড, গ্রিড কম্পিউটিং এবং প্যারালাল কম্পিউটিং এর সাথে ক্লাউড কম্পিউটিং এর চরিত্রগত মিল কম।[১]

বৈশিষ্ট্য[সম্পাদনা]

The National Institute of Standards and Technolo (NIST) - ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের নিম্নলিখিত ৫টি প্রধান বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করেছেন-

  1. On-demand Self-service: ক্রেতা চাহিবা মাত্রই সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সার্ভিস বা সেবা দিতে পারবে। ক্রেতা তার ইচ্ছামতো যখন খুশি তার চাহিদা বাড়াতে কমাতে পারবে। যেমন- ক্রেতা সার্ভার ব্যবহারের সময়, নেটওয়ার্ক স্টোরেজ প্রভৃতি তার চাহিদা বা প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারবে।
  2. Broad Network Access: ক্রেতা একটা স্ট্যান্ডার্ড বা সার্বজনীন প্রযুক্তিতে ব্যবহারযোগ্য ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ কিংবা ভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে সক্ষম হবে হবে। যেমন- ব্যবহারকারী একই সাথে মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ওয়ার্কস্টেশন প্রভৃতি ডিভাইস ব্যবহার করার সুবিধা পাবে।
  3. Resource Pooling: ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নেটওয়ার্ক রিসোর্স যেমন- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ডিভাইস প্রভৃতি সংস্থাপন, পরিবর্তন বা আপগ্রেট করতে পারবে।
  4. Rapid Elasticity: ব্যবহারকারী যেকোনো  সময় তার চাহিদার প্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোনো  সুযোগ-সুবিধা, সেবার পরিধি, প্রভৃতি দ্রুত ও যথোপযুক্তভাবে নির্ধারণ করা বা পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখতে পারবে। অনেকক্ষেত্রে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পপাদন করার ব্যবস্থা রাখা যায়।
  5. Measured Service: বিভিন্ন পর্যায়ে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষণাবেক্ষেণের কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা যায়।  যেমন- স্টোরেজ প্রসেসিং, নেটওয়ার্ক ব্যান্ডউইথ, ইউজার অ্যাকাউন্ট প্রভৃতি কাজ সহজভাবে ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করা যায়। বিভিন্ন রিসোর্সের কাজ, ক্ষমতা ও ব্যবহারের মাত্রা নিরূপণ প্রভৃতি কাজ সার্ভিস প্রোভাইডার ও ব্যবহারকারী  উভয়ই দিক থেকে পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা যায়।                                                                                                                                                                        (উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে)

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি