Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০৭:৫৪ অপরাহ্ণ

অজু করার পদ্ধতি

গ্রন্থঃ সহীহ ফিক্বহুস সুন্নাহ

অধ্যায়ঃ ওযূ


 

সংক্ষিপ্তভাবে ওযূর পূর্ণাঙ্গ নিয়মাবলী 


أَنَّ حُمْرَانَ مَوْلَى عُثْمَانَ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، رَأَى عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ دَعَا بِإِنَاءٍ، فَأَفْرَغَ عَلَى كَفَّيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ، فَغَسَلَهُمَا، ثُمَّ أَدْخَلَ يَمِينَهُ فِي الإِنَاءِ، فَمَضْمَضَ، وَاسْتَنْشَقَ، ثُمَّ غَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثًا، وَيَدَيْهِ إِلَى المِرْفَقَيْنِ ثَلاَثَ مِرَارٍ، ثُمَّ مَسَحَ بِرَأْسِهِ، ثُمَّ غَسَلَ رِجْلَيْهِ ثَلاَثَ مِرَارٍ إِلَى الكَعْبَيْنِ، ثُمَّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ «مَنْ تَوَضَّأَ نَحْوَ وُضُوئِي هَذَا، ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»


হুমরান থেকে বর্ণিত, তিনি উসমান বিন আফ্ফান (রাঃ) কে দেখেছেন যে, তিনি পানির পাত্র আনিয়ে উভয় হাতের তালুতে তিন বার পানি ঢেলে তা ধুয়ে নিলেন। এর পর ডান হাত পাত্রের মধ্যে ঢুকালেন। তার পর কুলি করলেন ও নাকে পানি দিয়ে নাক পরিষ্কার করলেন। তারপর তার মুখম-ল তিন বার ধুয়ে দুই হাত তিনবার কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নিলেন। এর পর মাথা মাসাহ করলেন। তার পর উভয় পা গিরা পর্যন্ত তিনবার ধুয়ে নিলেন। পরে বললেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন: যে ব্যক্তি আমার মত এ রকম ওযূ করবে তারপর দু’রাক‘আত সালাত আদায় করবে, যাতে দুনিয়ার কোন খিয়াল করবে না। তার পেছনের গোনাহ মাফ করে দেয়া হবে।[1]


এ হাদীস এবং সামনে বিস্তারিত বর্ণনায় যে সকল হাদীস আসবে, সেগুলোর আলোকে ওযূর বর্ণনা নিম্নরূপ:


(১) অপবিত্রতা দূর করার জন্য ওযূর নিয়ত করা।

(২) বিসমিল্লাহ বলে ওযূ শুরু করা।

(৩) দু‘ হাতের কব্জি ৩ বার করে ধৌত করা।

(৪) ডান হাতের এক অঞ্জলি পানি নিয়ে মুখে ও নাকে দেয়া। অতঃপর কুলি করা ও নাক পরিষ্কার করা

(৫)তার পর বাম দিকে নাক ঝেড়ে ফেলা। এরূপ তিন বার করবে।

(৬) দাড়ি খিলাল সহ সমস্ত মুখমণ্ডল তিন বার ধৌত করা

(৭) দু’হাতের আঙ্গুলগুলো খিলালসহ ডান হাত ও বাম হাত পর্যায়ক্রমে কনুই পর্যন্ত ধৌত করা।

(৮) সমস্ত মাথার সামনে থেকে পিছনে একবার মাসাহ করা। (৯) দু কানের বাহির ও ভিতর মাসাহ করা।

(১০) দু’পায়ে গিট পর্যন্ত ধৌত করা। প্রথমে ডান পা ও পরে বাম পা এবং দু’পায়ের আঙ্গুলগুলো খিলাল করা।


[1] সহীহ; বুখারী (১৫৮), মুসলিম (২২৬)।

আরো দেখুন