সহকারী শিক্ষক
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০১:৪০ পূর্বাহ্ণ
" জলপরী ও কাঠুরে " শ্রেনি- দ্বিতীয়।
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: দ্বিতীয়
বিষয়: আমার বাংলা বই
অধ্যায়: ষষ্ঠ অধ্যায়
তখন জলপরী আবার ডুব দিয়ে একটা লোহার কুড়াল এনে তাকে দেখাল। কাঠুরিয়া এতক্ষণ পরে নিজের কুড়ালখানি চিনতে পেরে সানন্দে বলে উঠল, হ্যা, এটাই আমার।
জলপরী কাঠুরিয়ার এই সততা দেখে মুগ্ধ হল। সে তাকে তার নিজের কুড়ালটি তো ফিরিয়ে দিলই, উপরন্তু সোনার ও রুপার কুড়াল দুটিও উপহার দিয়ে পানির মধ্যে অদৃশ্য হয়ে গেল।
এতখানি সোনা ও রুপা পেয়ে কাঠুরিয়ার অবস্থা বেশ ভালো হয়ে গেল। কেননা সেই কুড়াল দুটি বাজারে বিক্রি করে সে অনেক টাকা পেল, তাতেই তার দিন কাটতে লাগল খুব সুখে ও স্বচ্ছন্দে।
এদিকে হল কি, এই গল্পটি তার মুখ থেকে শোনার পর আর একজন কাঠুরিয়ার মনে বড় লোভ জন্মাল। সে একদিন চুপিচুপি সেই নদীর ধারে গাছ কাটতে গিয়ে ইচ্ছে করে তার কুড়ালটা পানির মধ্যে ফেলে দিল। তারপর সেখানে বসে অভিনয় করে কাঁদতে লাগল। তার কান্না শুনে আবার সেই জলপরী সেখানে আবির্ভূত হল। পূর্বের মতো এবারও প্রথমে একটি সোনার কুড়াল তুলে সে তাকে জিজ্ঞাসা করল, এটা কি তোমার?
সূর্যের আলো পড়ে সোনার কুড়ালটি ঝলমল করে উঠল। তাই দেখে কাঠুরিয়ার চোখ দুটি লোভে চকচক করে উঠল। সে সঙ্গে সঙ্গে বলে ফেলল, হ্যা, এটাই আমার।
তৎক্ষণাৎ জলপরী টুপ করে সেখানে ডুব দিয়ে কোথায় চলে গেল আর উঠল না।
লোভী কাঠুরিয়াটি হায় হায় করতে লাগল এবং নিজের কপালে নিজে চড় মারতে মারতে বলল, হায়! হায়! কেন মিথ্যা কথা বলতে গেলাম, তাই তো আমার এমন শাস্তি হল! সোনার ও রুপার কুড়াল পাওয়া তো দূরে থাক, নিজের যে লোহার কুড়ালটি ছিল তাও হারালাম।