Loading..

প্রকাশনা

১৭ অক্টোবর, ২০২১ ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে অনুমোদন কাজ শুরু ২০২৪ সালে

তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে অনুমোদন কাজ শুরু ২০২৪ সালে


Submarine_Cable-techshohor-2

Sheikhrussel day

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : দেশের তৃতীয় সাবমেরিন প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন’ শীর্ষক এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)।

প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯৩ কোটি ১৬ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এতে সরকার দেবে প্রায় ৩০১ কোটি টাকা এবং বাকি ৩৯২ কোটি আসবে বিএসসিসিএল হতে। চলতি বছরের কাজ শুরু হয়ে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে এর বাস্তবায়ন সময়।

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম সাংবাদিকদের জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।

সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে ভুটান ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য ব্যান্ডউইথ কেনার প্রস্তাব দিয়েছে এবং অনানুষ্ঠানিকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব ও নেপাল।

বাংলাদেশ হতে সৌদি আরব, ভারত, নেপাল, ভুটান ব্যান্ডউইথ কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করায় প্রধানমন্ত্রী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন ড. শামসুল আলম।

ড. শামসুল আলম জানান, সিঙ্গাপুর হতে ফ্রান্স পর্যন্ত সংযুক্ত সি-মি-উই-৬ সাবমেরিন ক্যাবলটি ভারত মহাসাগর, আরব সাগর, লোহিত সাগর হয়ে ভূ-মধ্যসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। ক্যাবলটির কোর ল্যান্ডিং স্টেশন হবে সিঙ্গাপুর, ভারত, জিবুতি, মিশর ও ফ্রান্সে।

বাংলাদেশের ব্রাঞ্চটি বঙ্গোপসাগর হয়ে কক্সবাজারের ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।

তিনি জানান, দেশে প্রতিদিন ব্যান্ডউইথের চাহিদা বাড়ছে। এছাড়া ২০২৫ সালে একটি সাবমেরিন ক্যাবল অকেজো হয়ে যাবে। এ জন্য সময়োপযোগী একটি প্রকল্প হাতে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন।

প্রকল্পের আওতায় সাবমেরিন ক্যাবল ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করে স্থাপন করা হবে।  ১৩ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার কোর সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনসহ এক হাজার ৮৫০ কিলোমিটার ব্রাঞ্চ সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হবে।

ড. শামসুল আলম জানান, যন্ত্রপাতি স্থাপন করে লাইট আপ করা এবং সিংগাপুর ও ফ্রান্স ল্যান্ডিং স্টেশনে ক্যারিয়ার নেচারাল পর্যন্ত ল্যান্ড ক্যাবল সংযোগ স্থাপন করা হবে। ল্যান্ডিং স্টেশনে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থাপন, ডাটা সেন্টারের অবকাঠামো ও বৈদ্যুতিক কাজ, একটি ৫০০ কেভিএ স্ট্যান্ড বাই-ডিজেল জেনারেটর স্থাপন, স্বয়ংক্রিয় অগ্নি-নির্বাপণ এবং শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে।

এছাড়া যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য ভবন এবং একটি আন্তর্জাতিক মানের রেস্ট হাউজ নির্মাণ, ২৪২৮ বর্গফুট দোতলা (নিচতলা খালি) ফাংশনাল বিল্ডিং নির্মাণ এবং দুই হাজার ৫৯৫ বর্গফুট তিনতলা রেস্ট হাউস নির্মাণ করা হবে বলে প্রকল্পে উল্লেখ রয়েছে।

দেশের তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে ১০ হাজার জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ নেবে বাংলাদেশ।

এডি/২০২০/ডিসেম্বর০১/১৫৫০

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি