আমাদের অধ্যক্ষ মো: নিয়াজুর রহমান স্যার কলেজে রোপণ করেছে শত শত বিরলপ্রজাতির বৃক্ষ। লাইলি মজনু তেমনি বিরলপ্রজাতির একটি বৃক্ষ।
লাইলি মজনু প্রেম জগতের একটি পরিচিত নাম। লাইলি ও মজনুর অনবদ্য প্রেম কাহিনী দিয়ে অনেকে প্রেমের গভীরতার পরখ করতে চান। যুগে যুগে তাদের প্রেম উদাহারণ হিসেবে প্রেমিক প্রেমিকারা লালন করেন। সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী হাফছা মজুমদার মহিলা ডিগ্রি কলেজ সেই গভীর প্রেমের ছাপ লালন করছে লাইলি-মজনু নামের এক প্রজাতির গাছ।
‘গাছটি দেখতে অসম্ভব সুন্দর ও আকর্ষণীয়। দেখতে তেমন বড় না হলেও গাছের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য পাতা। পাতার উপরিভাগে রয়েছে কড়া সবুজ ও নিচের অংশে রয়েছে রক্তবর্ণের মতো লাল। এই গাছ সম্পর্কে জনসাধারণের ধারণা কম। তবে, উদ্ভিদ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা গাছটি সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখেন। তাই গাছটি নিয়ে তাদের আগ্রহটাও অনেক বেশী।
কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয় স্যার জানান, গাছটি দুষ্প্রাপ্য। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচয় ও গবেষণা, সংরক্ষণ ও কলেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এটি রোপণ করা হয়েছে।
‘লাইলী মজনু’ নামকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই গাছের পাতার ওপরের অংশ সবুজ এবং নিচের অংশ লাল। সবুজ ও লাল অংশ ঠিক যেন ছায়ার মতো; এটিকে আমরা বন্ধন বলি। বন্ধন বা প্রেমের প্রতীক হিসেবে লাইলী মজনুর কথা বলা হয়। এ জন্য এর নামকরণ করা হয়েছে‘ লাইলি-মজনু’।
এ প্রজাতির গাছ এখন বিলুপ্তির পথে ।একই পাতায় দুই রংয়ের সংমিশ্রণ নিবিড় এক সর্ম্পকের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে এই গাছে। প্রেমের এমন প্রতীক বিশ্বের মধ্যে দুষ্প্রাপ্য হলেও আশ্চর্য্যজনকভাবে হাফছা মজুমদার মহিলা ডিগ্রি কলেজে রয়েছে এমন একটি বিপন্নপ্রায় গাছ।