Loading..

নেতৃত্বের গল্প

১৮ মে, ২০২২ ১১:১৫ অপরাহ্ণ

আমার রুপকল্পে ,আমার বিদ্যালয়

আমার রুপকল্পে আমার বিদ্যালয়। 

আমি গজনাইপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৯খ্রিস্টাব্দ এর ৩০এপ্রিল যোগদান করি।এই বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর থেকেই আমার বিদ্যালয়কে কীভাবে নিজের মত করে গড়ে তুলতে পারি এই কল্পনা করতে থাকি। 

আমার কর্মক্ষেত্র /বিদ্যালয় আমার কাছে উপনাসনালয় /মন্দির, শিক্ষার্থীরা আমার কাছে দেবতাতুল্য আর আমি এই মন্দিরের পুজারী।এই লক্ষ্যলে সামনে রেখেই আমি একজন প্রধান শিক্ষক /রুপকার হিসেবে আমার এই রুপান্তরর গল্পের  সুচনা। 

আমার যোগদানের পর আমার যাবতীয় কার্যাবলি একনজরে তুলে ধরলাম

১.বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার পাশাপাশি কেক/মিষিট দিয়ে নতুন বছরের কার্যক্রম শুরু করি।

ক২.করোনাকালীন সময়ে ওস্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই, সার্জিক্যাল মাস্ক ও কেক বিতরণ করি। 

৩.শিক্ষাসপ্তাহ উপলক্ষে শিক্ষার‍্যালী করে থাকি আমার নেতৃত্বে। 

৪.বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন ও এর তাতপর্য তুলে ধরি

যেমন ঃমহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবসে শহীদ মিনারে পুস্পাঞ্জলি প্রদান ও র‍্যালী, আলোচনা সভা করে থাকি। 

জাতির পিতার জন্মদিন পালন করি।

মুজিব নগর দিবস পালন করে থাকি। 

গণহত্যা দিবস পালন করি ও এই দিনে শিক্ষার্থীদেরকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনানোর জন্য স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের আহবান জানাই। এতে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে। 

২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালন করি এবং স্বাধীনতার তাতপর্য নিয়ে আলোচনা করি। 

শেখ রাসেল দিবস পালন করি এবং শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করি।

জাতীয় শোকদিবসে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করি। 

শিশুবরণ অনুষ্ঠান করে থাকি 

ববঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপল করি, শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক বিভিন্ন বই পড়তে উদ্ধুদ্ধ করি।

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বিদ্যালয়কে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করি।

শিশু সনাক্তকরণ -শিশুর প্রতিবন্ধকতা যাচাই পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিভাবকদের অবগত করে থাকি।

ফুল বাগান তৈরির জন্য স্টীল্ব্র বেড়া তৈরি করি, নিয়মিত গাছের পরিচর্যা করে থাকি।

চেয়ার টেবিল ক্রয় করি সহকর্মী দের জন্য।

স্কুল ইউনিফর্ম এর কালার পরিবর্তন করে নীল থেকে সাদা করি। 

নিয়মিত সমাবেশ পরিচালনা আমি নিজে করে থাকি। জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিববছর প্রথম স্থান অর্জন করে থাকে। উপজেলা পর্যায়ে ও অংশগ্রহণ করে। (বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল প্রতি্যগিতা,আন্তঃপ্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বিজয়ফুল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। 

বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নিয়ে যাওয়া ও বাড়ি পৌছানো আমার নিজ দায়িত্বে করে থাকি। 

বিদ্যালয়ে  Lost and found box  স্থাপন, অভিযোগ ও পরামর্শ বক্স স্থাপন, মহানুভবতার দেয়াল, সততার দোকান প্রতিশটা করে থাকি। 

পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করে থাকি। 

শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা ও সহকারী শিক্ষকদের পাঠদান কার্যক্রম যাচাই করে থাকি

মেধা পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ উপস্থিতি পুরস্কার ও সেরা মা পুরস্কার প্রদান করি। বায়োমেট্রিক হাজিরা ক্রয় ও সেটিংস করে রেখেছি

কারিকুলাম সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে থাকি। যেমন- পিকনিক, অটিজম সংক্রান্ত বিষয়, ট্রাফিক আইন,  বাগান তৈরি, বৃক্ষ্রঅরোপঅন  হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে থাকি। 

এছাড়াও স্টুদেণ্টস কাউন্সিল পরিচালনা, কাব কারত্যক্রম ইত্যাদি করে থাকি। 

করোনাকালীন কার্যক্রম ঃ

১.শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্ত্যসচেতনতা সম্পর্কে ধারণা প্রদান করি,। ঊঠান বৈঠক করে করোনা সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষয়ে লিপলেট,মাস্ক বিতবণ করি। 

২,নিজ বিদ্যালয়ের নামে পেইজ খুলে পাঠদান করি, আনয়ান্য পেইজে পাঠদান করি

৩.গুগল মিটের পাঠদান সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষ ণ প্রদান করি। নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে থাকি। 

ওয়ার্কসীট বিতরণ, বাড়ির কাজ পরদান, আদায়, হোম ভিজিট  শিশু জরিপ স্বাস্থ্যবিধি  মেনে করে থাকি। 

মাঝে মাঝে স্টাফএর সবার জন্য খাবার ব্যবস্থা করে থাকি নিজ উদ্যোগে।আমি যোগদানের পর থেকে আমি এই পরিবর্তন এর ধারা অব্যাহত রয়েছে। আমার এই রুপান্তরের গল্প ছিল এপর্যন্ত ই আজ। 

ধন্যবাদ সবাইকে।