Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১০:২৫ অপরাহ্ণ

শিখন-শেখানো পদ্ধতিঃ দলীয় কাজ

যে পদ্ধতিতে একাধিক শিক্ষার্থী একত্রে দলগত ভাবে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা নিরীক্ষা, সূক্ষ্ম চিন্তা ভাবনা কিংবা হাতে কলমে কাজে সক্রিয় অংশ গ্রহন করে জ্ঞান লাভের সুযোগ পায় তাকে দলগত কাজ বলে।

দল গঠনের শর্ত-

১। দুর্বল শিক্ষার্থীর সাথে সবল শিক্ষার্থীর মিশ্রণ।

২। সমগোত্রীয় শিক্ষার্থীকে নিয়ে দল গঠন ।

৩। ছাত্র ও ছাত্রীর মিশ্রণে দলগঠন।

৪। ভিন্ন বিষয়/ গোত্রীয় নিয়ে দলগঠন।

দল গঠনে দল ছোট/বড় করতে মনে রাখতে হবে কাজের প্রকৃতি, শ্রেণিতে ছাত্রসংখ্যা, উপকরন।

দলীয় কাজের সাধারণ কৌশল(শিক্ষকের ভূমিকা)-

১। দলীয় কাজের প্রতিটি স্তরের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন।

২। নির্দেশনা প্রদান ও ব্যাখ্যা করা।

৩। দলে সফল হবার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা নিরূপণ।

৪। লিখিতভাবে দায়িত্ব প্রদান।

৫। দলীয় কাজের রুপরেখা প্রণয়ন।

৬। দলের সদস্যদের পারস্পরিক নির্ভরশীলতা।

৭। দলের কাজকে প্রাসঙ্গিক করন।

৮। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও সামর্থ্য বিবেচনা।

৯। দলীয় কাজ নির্বাচন।

১০। দলসমূহের মধ্যে প্রতিযোগিতা মনোভাব সৃষ্টি।

দলীয় কাজের সুবিধা-

১। শিক্ষার্থীর চিন্তন ও মনোপেশীজ উন্নয়ন ঘটে।

২। দক্ষতা ও সৃজনী শক্তির বিকাশ ঘটে।

৩। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটে।

৪। শিক্ষক শিক্ষার্থীর সম্পর্ক মধুর হয়।

৫। শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

৬। পাঠদান কার্যক্রম সহজ, দীর্ঘস্থায়ী ও একঘেয়েমি মুক্ত করা যায়।

৭। যৌক্তিক চিন্তা করার দক্ষতা অর্জন করে।

৮। দৈনন্দিন জীবনে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে পারদর্শী হয়।

৯। শিখন স্থায়ী ও আনন্দদায়ক হয়।

১০। দুর্বল ও অনগ্রসর শিক্ষার্থীরা সহপাঠীর সহযোগিতায় পাঠে আগ্রহী হয়।

১১। শিক্ষককে দুর্বল ও অনগ্রসর শিক্ষার্থীরা বার বার প্রশ্ন করার সুযোগ পায়।

১২। শিক্ষকের সময় ও কাজ কমে যায়।