Loading..

উদ্ভাবনের গল্প

২৯ নভেম্বর, ২০২২ ১১:৩৭ অপরাহ্ণ

উদ্ভাবনের গল্প "রিডিং পড়ি নিয়ম মেনে খবর পড়ে তথ্য জেনে "

যদি পড়ে বাংলাদেশ তাহলেইতো এগুবে বাংলাদেশ। এসো সংবাদ পাঠ করি সাবলীল পাঠের অভ্যাস গড়ি।  আসসালামু আলাইকুম। আমি সাহিদা আক্তার, সহকারী শিক্ষক, বাসাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিবালয়, মানিকগঞ্জ।আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক।আমি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের জন্য একটি উদ্ভাবনী আইডিয়া তৈরি করেছি যা শিশুদের পঠন দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। আইডিয়াটি হলো"" রিডিং পড়ি নিয়ম মেনে 

খবর পড়ে তথ্য জেনে।" প্রাথমিক বিদ্যালয় হলো শিক্ষা জীবনের প্রথম ধাপ ভিত্তি প্রস্তুরও বলা যেতে পারে। এই ভিত যতটা মজবুত হবে শিক্ষা জীবনের যাত্রাও ততটা সহজ হবে। শিশুদের জ্ঞান, দক্ষতা, দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সাথে সাথে মৌলিক চাহিদা ভিত্তিক শিক্ষা দেওয়া হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

ব্যবহারিক জীবনে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো হাতে কলমে শেখানো  হয়। এর জন্য প্রয়োজন সাবলীলভাবে  রিডিং পড়া বিভিন্ন বিষয়ের তথ্য জানা।  বাংলা ভাষা শুদ্ধভাবে বলা ও পড়ার জন্য রিডিং পড়া জরুরি। তাছাড়া বাংলা ভাষার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় প্রাথমিক শিক্ষায় বেশি তাই বাংলা পড়া জরুরি। করোনা পরবর্তী সময় গুলোতে আমি লক্ষ্য করলাম বেশিরভাগ শিশুর সাবলীলভাবে পড়তে সমস্যা হচ্ছে। আমার বিদ্যালয়টি নিতান্তই গ্রামে। তাই অভিভাবকরাও তেমন সচেতন না। দুই শিফটের বিদ্যালয় আমার দ্বিতীয় শিফটের শিশুদের ১২ঃ০০টা থেকে ক্লাস। তাদের আসার কথা ১১ঃ৩০ এ সেখানে অনেক ছাত্র ছাত্রী আগেই চলে আসে বারণ করা সত্বেও। তারা এ সময়টা শুধুই  খেলাধুলা করে কাটায়। তাদের এই সময়টা কাজে

লাগাতে তাদের সাবলীল পঠন দক্ষতা বাড়াতে, জ্ঞান ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে আমার সহকর্মীদের সহায়তায় তৈরি করলাম  সংবাদ পাঠের কর্ণার। এই কর্ণার তৈরি করে সেখানে একটা করে দৈনিক পত্রিকা রাখার ব্যবস্থা করা হলো। পত্রিকাটি হয় একদিন পরের অর্থাৎ আগের দিনের পত্রিকাটি দোকান কিংবা কারো ব্যক্তিগত  ব্যবহৃত  পুরান কাগজের দামে ক্রয় করে শিশুদের  পড়ার জন্য ব্যবস্থা করা।এই কর্ণারে  বসে শিশুরা বিশেষ করে তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিশুরা তাদের অবসর সময়ে যেন সংবাদ পাঠ করে তার জন্য উৎসাহিত করা হলো। সাথে  আমরা শিক্ষকরা মনিটরিং শুরু  করি  ও শিশুদের খবর পাঠে সহযোগিতা করা অব্যাহত রাখি।কিছুদিন পর দেখা গেল শিশুদের পঠন দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক খানি। জ্ঞান ভাণ্ডার ও সমৃদ্ধ হয়েছে। শিশুদের খবর পাঠে আগ্রহী করে তুলতে তাদের জন্য খবর পাঠের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করে পুরস্কার দেয়া হলো। নিয়মিত ক্লাসে খবরের শিরোনাম জিজ্ঞেস কিংবা আজকের খবরের কাগজে কি ছিল প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে যাচাই করা হয় পঠন অগ্রগতি। কিছু দিন এভাবে চলার পর দেখলাম অনেকটা পরিবর্তন এসেছে তাদের পরিবর্তনে অভিভাবকরাও সন্তুষ্ট।