সহকারী শিক্ষক
১২ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩ ০২:১৮ অপরাহ্ণ
কাঞ্চনজঙ্ঘার পর মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে ১০ রঙের টিউলিপ
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: অষ্টম
বিষয়: কৃষি শিক্ষা
অধ্যায়: ষষ্ঠ অধ্যায়
সমতলের চা ও কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্যের পর উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এখন মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে শীত প্রধান দেশের নজরকাড়া ফুল টিউলিপ। ভিনদেশি টিউলিপের সৌন্দর্যে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার দর্জিপাড়া গ্রাম। প্রায় দুই একর জায়গাজুড়ে ১০ রঙের টিউলিপ ফুলের উদ্যান যেন একখণ্ড নেদারল্যান্ড।
এদিকে, টিউলিপ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বেড়েছে পর্যটক সমাগমও। ফলে পর্যটনে যুক্ত হয়েছে নতুনমাত্রা।
এবার দর্জিপাড়া গ্রামের ২০ জন উদ্যোক্তা চাষ করেছেন টিউলিপ। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভলপমেন্ট (ইফাদ)’র সহযোগিতায় দেশের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইকো সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)’র মাধ্যমে পাইলট প্রকল্পে চাষ করা হচ্ছে বিদেশি ফুল টিউলিপ।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি মহান মাতৃভাষা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে এই ফুলের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর পরীক্ষামূলকভাবে দর্জিপাড়া ও শারিয়ালজোত গ্রামের ৮জন প্রান্তিক নারীকে নিয়ে ৬ প্রজাতির ৪০ হাজার টিউলিপ চাষ শুরু হয়। প্রথমবারেই টিউলিপ ফুটিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলেন নারীরা। এবার বাণিজ্যিকভাবে ২০ জন নারীর হাতে প্রস্ফুটিত হচ্ছে ১০ প্রজাতের নজরকাড়া টিউলিপ।
চাষকরা টিউলিপ হলো- অ্যান্টার্কটিকা হোয়াইট (সাদা), ডেনমার্ক (কমলা ছায়া), লালিবেলা (লাল), ডাচ সানরাইজ (হলুদ), ষ্টংগোল্ড (হলুদ),জান্টুপিঙ্ক (গোলাপী), হোয়াইট মার্ভেল (সাদা), মিষ্টিকভ্যান ইজক (গোলাপী), হ্যাপি জেনারেশন (সাদা লাল ছায়া) এবং গোল্ডেন টিকিট (হলুদ)।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই একর জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠা বাগানের এক লাখ গাছে দুলছে বাহারি রঙের ১০ প্রজাতির রাজসিক টিউলিপ। বাগানের ঠিক মাঝখানে সবুজ গমের চারার মধ্যে টিউলিপ ফুটিয়ে দেওয়া হয়েছে জাতীয় পতাকার রূপ। এসব ফুল যেমন সৌন্দর্য বর্ধন করছে, তেমনি ছড়াচ্ছে মুগ্ধতাও। আর উদ্যোক্তারা দেখছেন অর্থনীতিক সমৃদ্ধির স্বপ্ন। পর্যটকে মুখরিত বাগানে সবাই যেন ব্যস্ত ফটোসেশনে।
টিউলিপ ফুলকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সেজন্য ইকো ট্যুরিজমের মাধ্যমে থাকা-খাওয়ার হোটেল ব্যবস্থাও রয়েছে।
টিউলিপ পাইলট প্রকল্প নিয়ে অবহিতকরণ করেন ইএসডিও’র পরিচালক (প্রশাসন) ড. সেলিমা আখতার। তিনি বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় এলাকা। হিমালয় কন্যাখ্যাত এ জেলার তেঁতুলিয়ায় আমরা ইকো ট্যুরিজম গড়ে তুলতে ভিনদেশি টিউলিপ ফুলের চাষ ‘পাইলট প্রকল্প’ গ্রহণ করেছি। টিউলিপ ভিনদেশি নেদারল্যান্ডের উচ্চ মূল্যের দামি ফুল। পর্যটন এলাকায় টিউলিপ ফুলের বাগান সৃষ্টি হওয়ায় পর্যটকদের আকর্ষণও বেড়েছে। দেশ বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এসে বাহারি রঙের টিউলিপ ফুল দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন। কেউ সেলফি তুলছেন। আবার কেউ ফুল কিনছেন।’