Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৮ মে, ২০২৩ ১০:৫৮ অপরাহ্ণ

আহসান মঞ্জিল


                     আহসান মাঞ্জিল

মুগল আমলে জামালপুর পরগনার (বর্তমানে বরিশাল ) জমিদার শেইখ এনায়েতুল্লাহ ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অপরুপ সৌন্দর্যের অধিকারি এক আনন্দমহল স্থাপন করে যার নামকরন করেন“ রংমহল” । 

এই রংমহলে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক বিনোদনের আয়োজন করা হতো । জমিদার এনায়েতুল্লাহর পুত্র শেইখ মতিউল্লাহ এই ভবনটি, খুব সম্ভব নবাব আলিবর্দি খানের সময়, ফরাসি ব্যবসায়িদের নিকট বিক্রি করেন । ফরাসিরা 

রংমহলকে তাদের বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করে । এইসময় ফরাসি ব্যবসায়িরা  ব্যবসাতে ভাল করছিল বিধায় এই স্থাপন এর পরিধি এবং আকার বৃদ্ধি করে, কিন্তু পরবর্তীতে ইংরেজদের সাথে যুদ্ধে হেরে যাওয়ায় ইংরেজরা ফরাসিদের সকল সম্পদ দখল করে । তবে ১৮২৭ সালে ফরাসিরা তাদের সম্পদ ফেরত পেলেও ইংরেজদের ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে তারা ভারতবর্ষ ত্যাগ করতে বাধ্য হয় । ভারত ছাড়ার পূর্বে তারা ঢাকার যাবতিয় সম্পদ বিক্রি করে । ঢাকার নওয়াব খাজা আলিমুল্লাহ তা কিনে নেন এবং রঙমহল কে  তার আবাসভূমি রুপে ব্যবহার  করেন । উনার ছেলে খাজা আব্দুল গনি রঙমহলের সাথে আর একটি ভবন সংযুক্ত করেন এবং পুরা ভবনটির নামকরণ করেন “আহসান মাঞ্জিল” । এই পরিবারের খাজা আহসানুল্লাহর মৃত্যুর পর “আহসান মাঞ্জিল” কে যাদুঘর করা হয় এবং জনসাধারনের জন্য দর্শনীয় স্থান রুপে খুলে দেওয়া হয়। 

                                                                            

                                           

আরো দেখুন