Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১৬ আগস্ট, ২০২৩ ১০:৫৮ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা মো. ওসমান গনি | ১৫ আগস্ট , ২০২৩

৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ আগস্ট ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান নামের একটি উদ্ভট রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিলো। কিন্তু প্রগতিশীলরা সে উদ্ভট বিভক্তি মেনে নিতে পারেননি। তারই অংশ হিসেবে ১৯৪৯-এর ১৮, ১৯ ও ২০ জুন পূর্ববঙ্গ মুসলিম লীগের দ্বিতীয় কাউন্সিল আয়োজন করেন। তখন সে দলের প্রথম সারির নেতা চৌধুরী খালিকুজ্জামান পূর্ব বাংলার একাংশকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেন। পরে এই সম্মেলনের প্রতিক্রিয়া হিসেবেই দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতারা ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলির কেএম দাশ লেনে অবস্থিত রোজ গার্ডেন হলরুমে আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে একটি সম্মেলনে মিলিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। শেরেবাংলা সে সম্মেলনে খানিক সময়ের জন্য উপস্থিত থেকে সংক্ষিপ্ত ও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন। এই সম্মেলনেই পাকিস্তানের প্রথম বিরোধীদল হিসেবে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠন করা হয়। সেখানে সভাপতি হন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। তখন শেখ মুজিব জেলখানায় থেকেই সেই দলের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৪০ সদস্যবিশিষ্ট এ অর্গানাইজিং কমিটিতে ২৯ বছর বয়সী শেখ মুজিব সেদিন তার যোগ্যতাবলেই দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হতে পেরেছিলেন। সেই কমিটির অন্যান্য কয়েকজন ছিলেন-সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান, ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন, আলী আহমদ এমএলএ, অ্যাডভোকেট আলী আমজাদ খান, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম খান, ২ নং যুগ্মসম্পাদক খন্দকার মোশতাক আহমদ, সহসম্পাদক একেএম রফিকুল হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ ইয়ার মোহাম্মদ খান প্রমুখ। পরে শেখ মুজিব জেল থেকে ছাড়া পেয়ে দলকে আস্তে আস্তে সংগঠিত করে ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দের ৯ জুলাই পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তিনিই দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি