৪৪ হাজার গানের রচয়িতা গফরগাঁও এর কৃতি সন্তান, প্রখ্যাত সুরকার ও গীতিকার আব্দুল হাই আল হাদী।
তাকে বাংলাদেশের আধুনিক, পল্লীগীতি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী,মারফতি,বাওইয়া গানের গীত সম্রাট বলে অভিহিত করা হয়। তিনি ৪৪ হাজার গানের গীত রচনা করে ইতিহাস হয়ে আছেন।
১৯৪০ সালে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাইথল ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের অজপাড়া গাঁয়ে মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা আব্দুল করিম সরকার --মাতার নাম সকিনা বেগম-।
ছোট কাল থেকে বাঁশের বাঁশির সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠে হাদীর।
উদাস দুপুরে বিশাল বটছায় বসে রাখালের মনকাড়া বাঁশির মেঠো সুর মুগ্ধ হতেন আব্দুল হাই আল হাদী।
বাবা আব্দুল করিম সরকার বাঁশির পিছনে অযথা সময় নষ্ট না করার জন্য ছেলেকে দমক দিয়ে ছিলেন।
অভিমান করে তিনি একসময় বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
তিনি দেউলপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু করেন।
কাওরাইদ কেএম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫৬ সালে মাধ্যমিক পাশ করেন।
কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৭২ সালে রেডিও বাংলাদেশ স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে। খান আতাউর রহমানের সানিধ্যে এসে বড় প্রাপ্তির সম্মুখীন হন।
এক হৃদয় হীনার কাছে হৃদয়ের দাম কি আছে চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তার রচনায় এই দেশের বিখ্যাত শিল্পীরা কন্ঠ দিয়েছে।
কন্ঠ দিয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীরা।
সাবিনা ইয়াসমিন, এন্ড্রু কিশোর, রুনালায়লা,রফিকুল আলম,বেবী নাজনীন সহ দেশি-বিদেশি অনেক শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেন।
তিনি ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।
তিনি একজন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ ছিলেন।
৪৪ হাজার গানের রচনা করে বাংলাদেশের গীতিকার হিসেবে সঙ্গীতের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।