Loading..

প্রকাশনা

২৯ আগস্ট, ২০২৩ ০৭:২৮ অপরাহ্ণ

এশিয়া কাপ পরিসংখ্যানে এগিয়ে ভারত, সাফল্যের আশায় বাংলাদেশ

এশিয়া কাপ

পরিসংখ্যানে এগিয়ে ভারত, সাফল্যের আশায় বাংলাদেশ

এশিয়া কাপ ক্রিকেটের অতীতের ১৫ আসরের পরিসংখ্যানে এগিয়ে রয়েছে ভারত। দ্বিতীয় পজিশনে আছে শ্রীলংকা। আর তৃতীয় পজিশনে রয়েছে পাকিস্তান। 

কিন্তু গত ১৫ আসরে তিনবার ফাইনালে খেললেও শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। 

২০১২ সালে এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। সেই আসরে ভারত-শ্রীলংকাকে টপকে ফাইনালে গিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাত্র ২ রানের ব্যবধানে হেরে যায় মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দলটি। 

এরপর ২০১৬ সালের এশিয়া কাপেরও আয়োজক ছিল বাংলাদেশ। সেই আসরে পাকিস্তান ও শ্রীলংকাকে টপকে ফাইনালে গিয়ে ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে হেরে যায় মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বাধীন দলটি।

এরপর ২০১৮ সালে পাকিস্তান ও শ্রীলংকাকে টপকে ভারতের সঙ্গে ফাইনাল খেলে মাশরারফির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় টাইগারর। দলের বিপদে একাই লড়াই করে যান লিটন। তার ১২২ রানের ইনিংসের সুবাদে ২২২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়ায় শেষ বলে জয় নিশ্চিত করে ভারত। 

এশিয়া কাপের গত ৫ আসরের মধ্যে তিনবার ফাইনালে খেলে শিরোপার দুয়ারে গিয়ে হোঁচট খায় টাইগাররা। 

১৯৮৪ সালে শুরু হওয়া এশিয়া কাপের প্রত্যেক আসরেই একমাত্র দল হিসেবে অংশ নেয় শ্রীলংকা। এশিয়া কাপে একবার করে অংশ নেয়নি ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দল।  

সর্বমোট ১৫টি আসরের মধ্যে কেবলমাত্র ২০১৬ এবং ২০২২ আসরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট ছাড়া ১৩ বার ওয়ানডে ফরম্যাটে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়। 

ওয়ানডে ফরম্যাটে গত ১৩টি আসরে ৫০ ম্যাচ খেলে ৩৪টিতে জয়, ১৬টি হারের রেকর্ড রয়েছে শ্রীলংকার। যেকোনো দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ৬৮ শতাংশ জয় রয়েছে লংকানদের। 

এ সময়ে ৪৯টি ম্যাচের মধ্যে ৩১টিতে জয় ও ১৬টিতে হেরে দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত। ভারতের শতকরা জয়ের হার ৬৫.৬২ শতাংশ।

ক্রিকেটে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ভারত সর্বোচ্চ সাতবার ও শ্রীলংকা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়বার শিরোপা জিতেছে। ভারত ওয়ানডেতে ছয়বার ও টি-টোয়েন্টিতে একবার ট্রফি জিতেছে। শ্রীলংকা ওয়ানডেতে পাঁচবার ও টি-টোয়েন্টিতে একবার শিরোপার স্বাদ পেয়েছে।

ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০০০ এবং ২০১২ আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ দুইবার শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান। ৪৫ ম্যাচে অংশ নিয়ে ২৬টি জয় ও ১৮টিতে হেরে যাওয়ায় পাকিস্তানের শতকরা জয় ৫৯.০৯ শতাংশ। 

এ তালিকায় জয়ের দিক দিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে বাংলাদেশ। ৪৩টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৭টিতে জয় ও ৩৬টিতে হার রয়েছে টাইগারদের। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ হার বাংলাদেশেরই। তাদের শতকরা জয় ১৬.২৮ শতাংশ।

২০১৪ এবং ২০১৮ সালে দু’বার ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলেছে আফগানিস্তান। ৯ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে জয়, ৫টিতে হার ও ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে আফগানদের। তাদের শতকরা জয় ৩৮.৮৯ শতাংশ।

২০০৪, ২০০৮ এবং ২০১৮ ওয়ানডে ফরম্যাটে তিনবার এশিয়া কাপে খেলে ৬ ম্যাচের সবটিতে হেরেছে হংকং।

ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০০৪ এবং ২০০৮ সালে দুইবার অংশ নিয়ে ৪ ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হেরেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। 

এবারের এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো খেলবে নেপাল।

২০১৬ এবং ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে যথাক্রমে-ভারত ও শ্রীলংকা।

এ ফরম্যাটে ১০টি ম্যাচ খেলে ৮টি জয়ে শতকরা ৮০ শতাংশ জয় আছে ভারতের। ১০টিতে খেলে ৬টিতে জিতে শতকরা ৬০ শতাংশ জয় আছে শ্রীলংকার। ১০ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জয়ে পাকিস্তানের জয়ের শতাংশ ৫০।
বাংলাদেশ ৭টিতে অংশ নিয়ে ৩টিতে জয় ও ৪টিতে হেরেছে। ৫টি ম্যাচ খেলে দুটি জয় ও ৩টিতে হেরেছে আফগানিস্তান। সংযুক্ত আরব আমিরাত ৪টি এবং হংকং ২টিতে খেলে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি।

তবে দলের বাজে পারফরম্যান্সের মাঝেও এশিয়া কাপে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও সাব্বির রহমানের। এশিয়া কাপে সবচেয়ে বেশি পাঁচবার আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।

 

আরো দেখুন