Loading..

মুজিব শতবর্ষ

০২ অক্টোবর, ২০২৩ ০৮:২২ অপরাহ্ণ

আমার চোখে বঙ্গবন্ধু "৭ম শ্রেণি সাদিয়া রাহি

কোথা হতে সেই বজ্র কন্ঠ ভাসে । .মুছে দিয়ে সকল দীর্ঘশ্বাস। .ভাসলো চোখে অবাক লক্ষ মানুষের চাহনি। .দেখলাম কত লক্ষ মানুষ বসেছে তাকেবাঙ্গালী জাতির আশির্বাদ, মৃত্যুঞ্জয়ী নেতা, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সনের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুংগী পাড়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। স্কুল জীবনেই তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার জাতীয় নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নজরে পড়েন বঙ্গবন্ধু। পরবর্তীতে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়াকালীন সক্রিয়ভাবে তিনি ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং ইংরেজদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার ভূমিকা রাখার পাশাপাশি পাক-ভারত স্বাধীনতা আন্দোলনেও তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেছিলেন। যে আশা-আকাংখা নিয়ে পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল, সহসাই পশ্চিম-পাকিস্তানীরা পূর্ব-পাকিস্তানের জনগণের সেই আশায় চরম নিরাশা সৃষ্টি করল এবং বাধ্য হয়ে পূর্ব-পাকিস্তানের জনগণ স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনে সংযুক্ত হতে লাগল। বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি গঠিত হলো ছাত্রলীগ এবং ১৯৪৯ সালের ২৩ই জুন জন্ম হলো মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী একমাত্র রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। ১৯৫২ সনের ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ৬২-এর ছাত্র আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ-অভ্যূত্থান, ৭০-এর নির্বাচন এবং ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রত্যেক আন্দোলন ও সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ছিলেন নেতৃত্বের আসনে অসীন এক লৌহমানব, অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্ব, এক অপরাজেয় জাতীয় মহান নেতা, বাংলার মানুষের একক ও অতুলনীয় কন্ঠস্বর, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এবং বাংলাদেশ অভ্যূদয়ের মহানায়ক, যিনি জীবনের প্রায় ১৩ (তের) বছর জেলখানার অন্ধকার প্রকোষ্ঠে দিনাতিপাত করেছিলেন।

আরো দেখুন