কম্পিউটার অপারেশন সুপারভাইজার
১২ অক্টোবর, ২০২৩ ০৩:২৩ অপরাহ্ণ
মানুষের কল্যাণে সৌরশক্তি।
ধরন: সাধারণ শিক্ষা
শ্রেণি: সপ্তম
বিষয়: বিজ্ঞান
মহান আল্লাহর এই নিয়ামতের মাধ্যমে আমরা যেমন আলো পাই, দিন ও মাসের হিসাব রাখতে পারি, সময়ের হিসাব রাখতে পারি। তেমনি এটি আমাদের জ্বালানি চাহিদা পর্যন্ত মেটাতে সক্ষম।
সুবহানাল্লাহ!
তা ছাড়া পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রাণী, গাছপালা, তরুলতা ইত্যাদি বেঁচে থাকার জন্য সূর্যের আলো ও তাপের প্রয়োজন আছে। এ কারণেই হয়তো মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনের মাধ্যমে মানবজাতিকে জানিয়েছেন যে তিনি চন্দ্র-সূর্যকে অনর্থক সৃষ্টি করেননি। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তিনি সূর্যকে করেছেন তেজোদীপ্ত, আর চন্দ্রকে করেছেন আলোকময় আর তার (হ্রাস-বৃদ্ধির) মানজিল সঠিকভাবে নির্ধারণ করেছেন, যাতে তোমরা বছর গুণে (সময়ের) হিসাব রাখতে পারো। আল্লাহ এটা অনর্থক সৃষ্টি করেননি, তিনি নিদর্শনগুলোকে বিশদভাবে বর্ণনা করেন জ্ঞানী সমপ্রদায়ের জন্য।
(সুরা ইউনুস, আয়াত : ৫)
এই আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তিনি সূর্যকে করেছেন তেজোদীপ্ত।’ বাস্তবেও সূর্য বিশাল এক অগ্নিগোলকের নাম। নাসার তথ্যমতে, এক সেকেন্ডের প্রতি ১.৫ মিলিয়ন ভাগ সময়ে সূর্য যতটুকু শক্তি বিকিরণ করে, তা সমস্ত মানুষের সারা বছরের ব্যবহৃত শক্তির চেয়েও বেশি। (স্পেস ডটকম)
যদি কোনো কারণে মাটির নিচের মজুদ তেল, গ্যাস, কয়লা, পেট্রলসহ সব জ্বালানি শেষ হয়ে যায়, তখনো পৃথিবীর জ্বালানি চাহিদা মেটানোর জন্য সৌরশক্তি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে, যা আসে সূর্যের আলো থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন সূর্য পৃথিবীর ওপর যে আলো ফেলছে, তার শক্তি পৃথিবীর সারা বছরে ব্যবহৃত মোট জ্বালানি শক্তির তিন গুণের সমান।