Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

২১ অক্টোবর, ২০২৩ ০৩:০৯ অপরাহ্ণ

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন

ভাষা আন্দোলনের কারণ, প্রয়োজনীয়তা এবং তাৎপর্য



আপাত দৃষ্টিতে ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫২ সালকে বাংলার ভাষা আন্দোলনের সময়সীমা হিসেবে বিবেচনা করা হলেও মূলত বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব বাংলায় (বর্তমান বাংলাদেশ) সংগঠিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। ভাষা আন্দোলন- মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে বাংলা ভাষাকে ঘিরে সৃষ্ট এ আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন পাকিস্তান অধিরাজ্যের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি গণদাবির বহিঃপ্রকাশ। এই “রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই”- এর গণদাবি থেকেই মূলত স্বাধীন রাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’র গণদাবি ওঠে।  

১৯৪৭ সালে অখণ্ড ভারতবর্ষ ভেঙে তিন খণ্ডে দু’টি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। একটি রাষ্ট্র আজ অবধি অখণ্ড টিকে গেলেও আরেকটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ২৩ বছরের মাথায় ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়া দ্বিতীয় রাষ্ট্রটি পাকিস্তান। দুই ভৌগলিক খণ্ডে জন্ম নেওয়া এই দেশটি এতটাই অদ্ভুত ভৌগলিক ও রাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে সৃষ্টি হয় যে, প্রতিষ্ঠার শুরুতেই এর পতন নিশ্চিত হয়ে যায়। পাঁচ বছরের মাথায় ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে প্রাণ দেয় বাঙালিরা। ১৯৪৭ সালে গঠিত পাকিস্তান এরপর অখণ্ড হিসেবে টিকেছে মাত্র ১৯ বছর। ১৯ বছর পর থেকেই বাঙালির জাতীয়তাবাদের চেতনা পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে অলাদা করে ফেলে। পরিশেষে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হয়ে যায় তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান। গঠিত হয় নতুন স্বাধীন দেশ- বাংলাদেশ।

ইতিহাসবিদদের মতে, মূলত ১৯৪৮ থেকে ভাষা আন্দোলনের যে চেতনা বাঙালির ভেতরে জাগ্রত হয়েছিল এবং তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা ভাষাভাষী মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় বাংলার প্রতি যে মাতৃত্ববোধ, ভ্রাতৃত্ববোধ, মমত্ববোধের জন্ম হয়েছিল সেই থেকেই বাংলার মানুষের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) স্বাধীনতার নেশা সৃষ্টি হয়েছিল। ভাষা অন্দোলন থেকে মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্ভব। আর এই জাতীয়তাবাদের শক্তিই বাঙালিকে একত্রিত করে স্বাধীন রাষ্ট্রের সূচনা করেছিল।   

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ছিল অনিবার্য। বলা চলে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আদিপর্ব। তৎকালীন সরকার পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন রাষ্ট্রের অংশ নয়, বরং একটি ঔপনিবেশের মতো শাসন করার নীতি গ্রহণ করে, অনেকটা ব্রিটিশ ঔপনিবেশের মতো করেই পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে শোষণের পাশাপাশি সাংস্কৃতিকভাবেও কঠোর দমন-পীড়ন করতে থাকে। বাংলার মানুষ ব্রিটিশ ঔপনিবেশ শাসন থেকে আরেকটি ঔপনিবেশ শাসনের কবলে পড়ে পিষ্ট হতে থাকে। বাংলার মানুষদের দমনের চীর ব্যবস্থা হিসেবে পাকিস্তান সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষা বাংলা’র পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্র শুরু করে।

‘ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা’- শীর্ষক গ্রন্থে ড. অজিত কুমার দাস ভাষা আন্দোলনের কারণ হিসেবে লিখেছেন, “আমরা দেখেছি যে, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তি সম্পন্ন হবার পর নবগঠিত ভারত রাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দ দেশে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রকৃতির সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তণের নীতি গ্রহণ করেন। অপরদিকে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী ও মুসলিম লীগ নেতৃত্ব দেশে যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রকৃতির সংসদীয় শাসন অর্থাৎ জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠার নীতি গ্রহণ না করে- পূর্ব বাংলার নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষের ওপর এক ঔপনিবেশ সুলভ নীতি চাপিয়ে দিতে চায়। এই নীতির অংশ হিসেবে তারা পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা বাংলা’র পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্র শুরু করে। যেখানে পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৫৪.৬% লোক বাংলা ভাষা এবং মাত্র ৭% লোক উর্দু ভাষায় কথা বলে- সেখানে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার অর্থই ছিল বাঙালি জনগণকে দাবিয়ে রাখা, শোষণ করার এক ষড়যন্ত্র।”   

বিজ্ঞজনদের মতে, ভাষা এমন একটি বিষয়- যার মাধ্যমে মানুষের সকল দক্ষতা প্রকাশের চূড়ান্ত রূপ মেলে। ফলে বাংলার সংস্কৃতিকে ধ্বংসের নিমিত্তে ভাষাকেই প্রধান লক্ষ্য করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানিরা। কেননা রাষ্ট্রভাষায় দক্ষতা না থাকলে রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ কঠিন হয়ে পড়বে, আর এতে বাঙালিরা অবাঙালিদের থেকে পিছিয়ে পড়বে- এমনটাই ছিল পাকিস্তানিদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।  

অজিত কুমার দাস তার বইয়ে আরও লিখেছেন, “বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর এই ষড়যন্ত্রের মূল উদ্দেশ্য ছিল দুটি। প্রথমত, পূর্ব বাংলার জনগণকে নেতৃত্বশূন্য ও আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা। কারণ, বাংলার পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করা হলে বাঙালি জনগণকে চাকরি তথা প্রশাসনে অংশগ্রহণের জন্য একটি বিদেশি ভাষা শিক্ষার বোঝা বহন করতে হতো। এতে করে বাঙালির স্বাভাবিকভাবেই অবাঙালিদের থেকে পিছিয়ে পড়তো।”

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে অজিত কুমার দাস উল্লেখ করেছেন, ভাষায় আঘাতের মাধ্যমে সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি বাংলার মানুষের যে গভীর যোগাযোগ, সেই যোগাযোগকে শিথিল করে দেওয়ার চেষ্টা করঅ হয়েছে। কেননা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি টান দুর্বল হয়ে গেলে বাঙালিরা আত্মপরিচয় ভোলা জাতিতে পরিণত হবে এবং এতে তাদের মধ্যে স্বাধীনতার বাসনা কোনোদিনই জাগবে না।

এ প্রসঙ্গে অজিত কুমার দাস লিখেছেন, “দ্বিতীয়ত, পূর্ব বাংলার জনগণ বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত ছিল। তারা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জন্য গর্ববোধ করতো। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ ছিল তাদের আদর্শ, চেতনা, মূল্যবোধ। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পূর্ব বাংলার জনগণের এমন বাঙালি সংস্কৃতি প্রীতিকে সন্দেহের চোখে দেখতো। তারা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে হিন্দুদের সংস্কৃতি বলে মনে করতো। তারা আরও মনে করতো যে, পূর্ব বাংলার জনগণের এ ধরনের সংস্কৃতি চর্চা ভারতের ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।”

ভাষা নিয়ে পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রের কারণ হিসেবে অজিত কুমার দাস উপসংহার টেনে লিখেছেন, “মোটকথা, পূর্ব বাংলার জনগণের বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে তাদের নেতৃত্বশূন্য এবং আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার লক্ষ্যেই পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং এই ষড়যন্ত্রের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ইসলামীকরণের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।”

এসব কারণেই ভাষা আন্দোলন অনিবার্য হয়ে পড়ে। স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ভাষা আন্দোলনের যথেষ্ঠ তাৎপর্যও রয়েছে। পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের মাত্র ৫ বছরের মাথায় ঢাকায় পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে তুমুল আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল। আর ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে রক্ত ঝরেছিল বাঙালি ছাত্রদের।

ভাষা আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে গবেষক এবং কলামিস্ট ড. বিএম শহীদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘সুদীর্ঘ প্রায় দুইশ’ বছর ব্রিটিশদের অপশাসন ও কুশাসনের অবসান ঘটার পর ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারতীয় উপমহাদেশে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান এবং হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল নিয়ে ভারত গঠিত হলেও শুধু ধর্মীয় কারণে বাংলাদেশ পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের আদর্শগত কোনো যোগসূত্র ছিল না বললেই চলে। মূল কারণ হিসেবে বলা যায়, উভয় অঞ্চলের মধ্যকার ভাষাগত বিরোধ। ভাষাগত বিরোধের কারণে বাংলার জনগণ পাকিস্তানের মৌলিক আদর্শের (Fundamental Ideology) সঙ্গে কখনও একাত্মতা অনুভব করতে সক্ষম হয়নি। এছাড়া পূর্ব বাংলার মানুষের প্রতি নানাভাবে বৈষম্যমূলক নীতি আরোপ করা হয় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। মূলত এসব কারণেই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরেই ভাষা আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয় এবং ১৯৪৭ সালের সেপ্টেন্বরে পূর্ব বাংলায় ‘তমুদ্দুন মজলিস’ নামে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। তমুদ্দুন মজলিসের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন তরুণ অধ্যাপক আবুল কাশেম। আর সেই ভাষা আন্দোলনের প্রভাব বাংলার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রতিটা পরতে পরতে প্রত্যক্ষ করা যায়। যার সার্থক ফসল আজকের এ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।’

গবেষক এবং কলামিস্ট ড. বিএম শহীদুল ইসলামের মতে, ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি।  ভাষা আন্দোলন বাঙালির গণচেতনা ও স্বাধিকার আন্দোলনের এক বলিষ্ঠ ভূমিকা। ভাষার জন্য আন্দোলন এবং জীবনদানের মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত করা পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত। বিশ্বের আর কোনো দেশের মানুষের ভাষার জন্য সংগ্রাম ও রক্তদানের ইতিহাস নেই। তাই ভাষা আন্দোলন বাংলার জনগণের মধ্যে নতুন জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটায় এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত করে। এ আন্দোলনই পর্যায়ক্রমে বাঙালি জাতিকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিল, তা পরবর্তী আন্দোলনগুলোর জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনে। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের ঐতিহাসিক বিজয়, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য বিশেষভাবে প্রেরণা জুগিয়েছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। সুতরাং ভাষা আন্দোলনই পরবর্তীকালে সব রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার পথকে সুপ্রশস্ত করেছে, এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তাই এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ভাষা আন্দোলনই বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূলভিত্তি ও চেতনা এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সফল অনুপ্রেরণা।

ভাষা আন্দোলনের কারণে বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশের বেশ ক’টি দোয়াড় খুলে। তারমধ্যে, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালির মনে জাতীয়তাবোধ সৃষ্টি করে। এই ভাষা অন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালির মধ্যে দাবি আদায়ের লড়াই-সংগ্রামের যে শিক্ষা অর্জিত হয়, তা পরবর্তীকালে ১৯৭১ সালের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালির হৃদয়ে অসাম্প্রদিয়ক চেতনার জন্ম দেয়,  ফলে ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে একতা, সম্প্রীতি সৃষ্টি এবং বাঙালি সত্ত্বার একটি মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়। ভাষা আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগ সরকারে শোচনীয় পরাজয় ঘটে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন পরবর্তীকালে সকল আন্দোলন-সংগ্রামের প্রেরণার উৎস হিসেবে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, শিক্ষা আন্দোলন- ছাত্রদের ১১ দফা, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করে। ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই এই বাংলায় ছাত্র রাজনীতির প্রসার ও বিস্তার ঘটে। ভাষা আন্দোলনের ফলেই বাংলা সাহিত্যের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়


তথ্য সূত্রঃ অনলাইন 

আরো দেখুন