Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

২৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০৫:২৪ অপরাহ্ণ

বই পড়া ক্লাব

জীবনের জন্য, জীবনের সফলতার জন্য এবং মানবসভ্যতার বিকাশের জন্য প্রয়োজন বই। বই পড়তে হবে, বই লিখতে হবে এবং বইয়ের সঙ্গে করতে হবে মিতালি। বই আমাদের জীবনের পরম বন্ধু। বই পড়লে জীবনের পরতে পরতে এর প্রভাব লক্ষ করা যায়। বই পাঠকের মানসিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, অধ্যয়ন ডিমেন্সিয়া ও আলজেহিমা নামের এই রোগ দুটিকে হ্রাস, এমনকি প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে। মস্তিষ্ককে সচল রাখলে তা কখনোই তার ক্ষমতা হারাবে না। মস্তিষ্ককে শরীরের একটি সাধারণ পেশি হিসাবে বিবেচনা করে বই পড়া চর্চার মাধ্যমে নিয়মিত ব্যায়াম করলে তা শক্তিশালী ও সজীব থাকে। বই পড়লে পাঠকের মানসিক চাপ হ্রাস পায়। অনেকে তাদের মানসিক চাপ কমাতে ব্যায়ামের আশ্রয় নেয়, কেউ কেউ আবার যোগব্যায়াম করে থাকেন। কিন্তু মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তিদের স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে ভালো বই পাঠ করলে তারা মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপন করতে পারেন। বই পড়ার মজা হচ্ছে এটি একজন মানুষকে মুহূর্তের মধ্যেই কোনো এক অজানা জগতে নিয়ে যায় কিংবা এমন কোনো সময়ে ভ্রমণ করায়, যা সে কখনো কল্পনাও করেনি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যথার্থই বলেছেন, ‘বই পড়াকে যথার্থ হিসাবে যে সঙ্গী করে নিতে পারে, তার জীবনের দুঃখ-কষ্টের বোঝা অনেক কমে যায়। বই পড়লে মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়। জনাথন সুইফট বলেছেন, ‘বই হচ্ছে মস্তিষ্কের সন্তান’। গবেষকরা বলেন, বই পড়লে মস্তিষ্কের জটিল কোষগুলো উদ্দীপিত হয় এবং স্নায়ুগুলো উজ্জীবিত হতে থাকে। পড়ার সময় পাঠকের মস্তিষ্ক ভিন্ন জগতে বিচরণ করে এবং পঠিতব্য বিষয়ের প্রতি সে মনোনিবেশ করতে পারে। এভাবে বইয়ের মাধ্যমে মস্তিষ্কের নানাবিধ বিচরণের কারণে পাঠকের মানসিক চর্চা বৃদ্ধি পায়। বই পড়লে শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং শব্দচয়ন ও বাক্য বিন্যাসের অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়। যত বেশি বই পড়া হয়, তত বেশি শব্দভান্ডারে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন শব্দ যোগ হতে থাকে। ফলে বই পড়া শব্দভান্ডার সমৃদ্ধিতে অনেক বেশি সাহায্য করে। নতুন কোনো ভাষা শিখতেও বই পড়ার বিকল্প নেই। এটি খুব দ্রুত নতুন যে কোনো ভাষাকে আয়ত্ত করতে সহায়তা করে। বই পড়ার মাধ্যমে অনেক অজানা শব্দ আয়ত্ত করা যায়, যা পাঠকের প্রাত্যহিক কথোপকথনে কাজে লাগে।

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি