Loading..

পাঠসংশ্লিষ্ট ছবি/ইমেজ

১১ নভেম্বর, ২০২৩ ০৫:০৮ অপরাহ্ণ

৭ ম শ্রেণীর বার্ষিক মূল্যায়ন

শিক্ষার্থীরা  স্বতঃস্ফূর্তভাবে মূল্যায়ন অংশগ্রহণ করছে, তারা এককভাবে, দলীয়ভাবে, মূল্যায়ন অংশগ্রহণ করছে একে অপরকে সহযোগিতা করছে। এতে তারা খুব আনন্দিত। নতুন শিক্ষাক্রম এ আনন্দের মাধ্যমে তারা শিক্ষা গ্রহণ করবে সবখানে।

 একথাও ঠিক যে, বাচ্চাদের বিভিন্ন শিক্ষামূলক কাজে ব্যস্ত রাখা কিন্তু শিক্ষার অপরিহার্য অংশ যদি সেই ব্যস্ততা ফলপ্রসূভাবে করানো হয়ে থাকে। ছেলেমেয়েরা সন্ধ্যা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পড়তে বসবে, পরীক্ষা নামক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে--এটি আমাদের বহুদিনের শিক্ষা কালচার। উত্তরপত্রে যদি শিক্ষার্থীরা কিছু নাই লেখেন তাহলে শিক্ষকরা তাদের কীভাবে মূল্যায়ন করবেন আর অভিভাবকরাই বা কি বুঝবেন? ৪০ শতাংশ মূল্যায়ন কিন্তু সামষ্টিক আর বাকি ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের অবিরত অবলোকনের মাধ্যমে মূল্যায়ন করবেন। মাউশি অধিদপ্তর থেকে যে নির্দেশনা এসেছে তাতে ৪০ শতাংশ সামষ্টিক যা অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন লিখিত পরীক্ষা হবে সেটি দেখা যাচ্ছে না। এখন পুরোটাই মনে হচ্ছে ধারাবাহিক মূল্যায়ন এবং সেটি অভিভাবকদের জানানোর জন্য দিনক্ষণ ঠিক করে দেয়া হয়েছে। 

শ্রেণিকক্ষের এবং মাঠ পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে চিত্র সেটি কিন্তু আনন্দের নয়। শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাচ্ছেন না, গেলেও যাচ্ছেন আর আসছেন, কিছুই পড়ছেন না, লিখছেন না। আজ যারা ক্লাসে আসছেন কাল আর তারা আসছেন না। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে পরীক্ষা মানে লিখিত পরীক্ষার তাড়না থাকায় শিক্ষার্থীরাও মোটামুটি ক্লাসে আসতেন এবং অভিভাবকরাও শিক্ষার্থীরা কিছু শিখছে বলে মনে করতেন, পরীক্ষার মতো প্রতিযোগিতামূলক কোনো বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত থাকলে তারা বুঝতে পারেন শিক্ষার্থীরা কোনো বিষয়ে কী শিখছেন। অর্থাৎ কতো নম্বর পাচ্ছেন। এখন কিন্তু শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে আসছে না। অভিভাবকও সেভাবে তাড়া দিচ্ছেন না। পাঠদান পদ্ধতি আগের চেয়ে একটু বেশি প্রস্তুতি বা কর্মসম্পাদনমূলক হওয়ায় কেউ কেউ এটাকে কষ্টসাধ্য পদ্ধতি হিসেবেই মনে করছেন। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটু ব্যয়সাপেক্ষও বটে। আগের পদ্ধতিতে সাধারণভাবে শিক্ষকগণ একই প্রস্তুতিতে যুগ যুগ ধরে শিক্ষার্থীদের পড়িয়েছেন। এখন নিত্যনতুন চিন্তা করা ও পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োগ হয়ে পড়ছে যা সময়, শ্রম এবং ব্যয়সাপেক্ষ বলে তারা মনে করছেন। মূল্যায়ন প্রক্রিয়া বেশ ঝামেলাযুক্ত যা অধিকাংশ শিক্ষকের পক্ষে সামাল দেয়া বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে যেসব বিদ্যালয় একটু তৎপর সেখানকার ছেলেমেয়েরা প্রচুর প্রজেক্ট ওয়ার্ক করছে যা অনেক অভিভাবক বলছেন সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।  ছেলেমেয়েরা গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থেকে কাজ করায় সকালে ঘুম থেকে ঠিকভাবে উঠতে পারেন না। অন্যদিকে সরাসারি বই পড়ার চাপ না থাকায় তারা মোবাইলসহ অন্যান্য ডিভাইসে বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছেন। 

আরো দেখুন

কোন তথ্য খুঁজে পাওয়া যাইনি